মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে-উকুন দূর হওয়ার উপায়
মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে এটা নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তিত।সবারই কমন সমস্যা হিসেবে দেখা যায় উকুন।কোন যখন হয় তখন মানুষ জেগে থেকো মাথা চুলকায় এবং ঘুমিয়ে থেকেও মাথা চুলকায়।উকুন বিস্তার করে এক মাথা থেকে আরেক মাথায়।
বর্তমান সময়ে আমরা মাথার উকুন নিয়ে সবাই অনেক চিন্তিত।মাথায় উকুন থাকা অবস্থায় যখন আমরা মাথা চুলকায় তখন এই মাথা চুলকানোর ফলে আমাদের ব্রেনে আঘাত করে।তাই চলুন আমরা জেনে নেই মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে এবং উকুন দূর হওয়ার উপায় গুলো সম্পর্কে।
পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়বেন ক্লিক করুন
মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে
একটা ছোট্ট উকুন থেকে শুরু হয়ে পুরো মাথায় এই উকুন বিস্তার করে থাকে।তারপর ছড়ায় অন্যান্য মাথায়।উকুন থেকে কিভাবে মুক্তি পাওয়া সম্ভব সেটি আলোচনা করব আজকের আর্টিকেলে।উকুন মাথায় চুলের গোড়ায় গিয়ে রক্ত খায়।কারো মাথা যদি উকুন থাকে তখন সেই মানুষটা যার সাথে মিশবে চলাফেরা করবে তার মাথাও উকুন যাবে। বলা হয়ে থাকে পুকুরে নদীতে গোসল করলে উকুনের প্রভাব পড়ে।যে সকল মানুষের মাথায় উকুন রয়েছে সে সকল
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নে জবা ফুলের উপকারিতা ও ব্যবহার
মানুষের চিরুনি তোয়ালে এসব ব্যবহার করলে অন্য একটা সুস্থ মানুষের শরীরে স্থানান্তর হয়।বৈজ্ঞানিকদের মতে, মাথা পরিষ্কার না রাখলে বা মাথা ময়লা থাকলে উকুন জন্ম নিতে পারে।কোন উকুনের জীবন চক্র একটা দিন থেকে শুরু হয়।একটি মা ও কোন পাঁচ থেকে দশটা পর্যন্ত ডিম দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।তাহলে বোঝা যায় উকুনেরা কত তাড়াতাড়ি বংশবিস্তার করে ফেলে।কোন উকুনের রং সাদা অথবা হলুদ রঙের হয়ে থাকে।তবে এই উকুনের আকার আয়তন
ছোট হয়ে থাকে যা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না।মা উপর থেকে এক সপ্তাহ পর ডিম ফেটে বাচ্চা বেরিয়ে আসে।সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাগুলো সাদা রংয়ের হয়ে থাকে।সাথে সাথে রক্তচোষা শুরু করে।প্রায় দুই থেকে তিন দিন এসব বাচ্চা যুবকে পরিণত হয়ে যায়।
উকুন দূর হওয়ার উপায়
উকুনের জন্য আমরা অনেকে অনেক বিষনাশক শ্যাম্পু বিষনাশক তেল ও চিরুনি ব্যবহার করে থাকি।কিন্তু এতে করে আদৌ কি উকুন দূর হয়? অনেকে আবার ঘরোয়া পদ্ধতিতে নিমপাতা এলোভেরা নিমের তেল ভ্যাসমল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু সেগুলোতেও কোন কাজ হয় না। আমরা আপনাদের একটা ওষুধের নাম বলবো যেটা আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে কিনে এনে ব্যবহার করতে পারবেন। উকুন দূর হওয়ার ওষুধ হলো Alice & Licnil।
Alice অথবা Licnil ঔষধের ব্যবহার বিধি।
৬ মাস বা তার বেশি বয়সের মানুষরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। কর চুল শুকনো অবস্থায় প্রথমে মাথার তালুতে এ ওষুধটি লাগাবেন। তারপর চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত ভালোভাবে ওষুধটি ব্যবহার করবেন। তারপর ঘড়ি ধরে দশ মিনিট রেখে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলবেন। চুলে শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করবেন না। চুলে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চাইলে অন্তত ১ দিন অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা পর ব্যবহার করবেন। এই ওষুধটি একবার ব্যবহারেই চুলের সব উকুন মারা যায়।২০১০ সালে ইউএসএ(USA) এর ১৩ টি শহরে একটি গবেষণায় দেখা গেছে এই ওষুধটি একবার ব্যবহারে ৯৫ শতাংশ মানুষের উকুন নির্মূল হয়ে গেছে। তাই আপনারা যারা মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে এটা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তারা এই ওষুধটি নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন আশা করা যায় উপকৃত হবেন।
Alice অথবা Licnil ব্যবহারের সাবধানতা
উকুন মারার জন্য এই ওষুধটি একদম নিরাপদ।ইউএসএ(USA) তে এটা OTC ওষুধ। বছরের পর বছর মনিটর করার পর যখন দেখা যায় এই ওষুধ খুবই নিরাপদ এবং কার্যকর, কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। ডাক্তারের তত্ত্বাবধন ছাড়াই যে ওষুধ মানুষ ব্যবহার করতে পারে সেটিকে ওটিসি(OTC) অনুমোদন দেওয়া হয়। এখানে দুইটা ব্যাতিক্রম আছে। যারা গর্ভবতী বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা এই ওষুধটি ব্যবহার করার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।
আরো পড়ুনঃ ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
আর এই ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসাবে রয়েছে খুশকি হওয়া,চামড়া জ্বালাপোড়া করা,চামড়া শুষ্ক হওয়া, চোখে গেলে চোখ যন্ত্রণা হওয়া। খেয়াল রাখবেন যাতে চোখে না যায়। শুকিয়ে গেলে হালকা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। তবে এটি একবার ব্যবহার করার পর ওপেন চলে গেলে এ সমস্যাগুলো আর দেখা দিবে না। তাই আপনারা ভয় না করে এই ওষুধটি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আপনার মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে ও চুল সুস্থ রাখতে ওষুধটি ব্যবহার করুন।
উকুন মারা যাওয়ার পর যেসব কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে
মাথায় উকুন আছে এমন মানুষের সংস্পর্শে আসা যাবে না।অন্যদের ব্যবহৃত সাবান তোয়ালে চিরুনি ব্যবহার করা যাবে না এবং অন্য কেউ নিজের এসব জিনিস ব্যবহৃত করতে দেওয়া যাবে না।আক্রান্ত এমন বিছানা বালিশে উকুন থাকতে পারে তাই এসব থেকে দূরে থাকতে হবে।উকুন সাধারণত তাদের হয় যাদের হাইজেনিক কন্ডিশন ভালো না।বিশেষ করে যারা নিয়মিত গোসল করে না।অথবা গোসল করলে ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে মাথার চুল পরিষ্কার করেন না।
অর্থাৎ যাদের চুলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকে তাদের জন্য প্রভাব বেশি হয়।জার্মানিতে ছোয়াচে বা সংক্রমণ রোগ সর্দি কাশির পরে রয়েছে উকুনের স্থান।বিশেষ করে আজ ৮ থেকে ১১ বছর বয়সের শিশুদের ক্ষেত্রে।ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের চুল লম্বা বড় থাকার কারণে মেয়েদের মাথার চুলে উকুন আরাম বোধ করে।উকুন এক মাথা থেকে আরেক মাথায় যাই।অল্প বয়সী মেয়েরা বন্ধুবান্ধবদের সাথে মাথায় মাথা লাগিয়ে সেলফি বা ছবি তুলতে বেশ পছন্দ করে।
আরো পড়ুনঃ কোন স্কিনের জন্য কোন ফেসওয়াস সবচেয়ে ভালো
ছবি তোলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার"হ্যারামান ফেল্ডমায়ার"।সন্তানের মাথায় উকুন হলে জার্মান মায়েরা বিছানা বালিশ নতুন করে ধুতে শুরু করেন। এক্ষেত্রে মাইক্রোবায়োলজি ও হাইজিন চিকিৎসক হ্যারামান ফেল্ডমায়ার জানান, রক্তচোষা ছাড়া উকুন ৪ ঘন্টার বেশি বাঁচতে পারেনা।উকুনের আসল বাড়ি ঘর হল মাথা বা চুলের গোড়া।মাথায় উকুন হলে অনেকেরই মাথা চুলকায় এবং লজ্জা পায়।যদিও এতে লজ্জার কোন কারণ নেই।
কারণ এর জন্য তো মানুষ নিজে দায়ী নয়।এক অসতর্ক মুহূর্তে কাছের কারো মাথা থেকে হয়তো নিজের মাথায় উকুন এসে থাকবে।তাই লজ্জা ভয় না পেয়ে উকুন তাড়ানোর ব্যবস্থা করাটাই শ্রেয়।তাই আমাদের মাথায় অতিরিক্ত পরিমাণ উকুন হয়ে গেলে আমাদের মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে এবং তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সে বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে।এ বিষয়টি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা হয়েছে।মরা সেটা নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত ও হতাশ না হয়ে আরা
লেখকদের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল মাথার উকুন কিভাবে দূর হবে এবং মাথায় কেন উকুন হয় ও কি কি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।আশা করা যায় আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের মাথার উকুন একেবারে চিরতরে দূর হয়ে যাবে।আপনারা যারা মাথায় উপর নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কোন পদ্ধতিতেই কাজ হচ্ছিল না তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি।আমাদের উল্লেখ করা ঔষধটি একবার ব্যবহারই আপনার
মাথার উকুন থেকে মুক্তি পাবেন।যথাসম্ভব ওষুধটি ব্যবহারের ব্যবহারবিধি ও সতর্কতা মেনে চলবেন। আপনার যদি আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগে এবং উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অন্যদেরকে জানানোর জন্য শেয়ার করে দিবেন।আর এ বিষয়ে আপনাদের আরো কিছু জানার থাকলে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url