ঠোঁট গোলাপি করার উপায় এর সম্পর্কে ১০টি গোপনীয় টিপস

ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানতে চাই।আমরা সবাই চাই আমাদের ঠোঁট আকর্ষণীয় উজ্জ্বল দেখাক।কিন্তু দেখা যায় বিভিন্ন কারণ আমাদের ঠোঁট কালচে ভাব হয়ে যায়।এক্ষেত্রে আমাদের প্রথমেই জানতে হবে কেন আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
ঠোঁট গোলাপি করার উপায়
তাই আমাদের ঠোঁট কিভাবে আকর্ষণীয় করব এই সম্পর্কে আপনাদের জানাবো আজকের আর্টিকেলে। আমাদের ঠোঁট বিভিন্নভাবে ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে এক্ষেত্রে ঠোঁটের প্রতি আমাদের যত্নবান হতে হবে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে।

 পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন

ঠোঁট কেন কালো হয়

বর্তমান সময়ে আমাদের প্রায় অনেক মানুষেরই সমস্যা হচ্ছে ঠোঁট কালো হয়ে যাওয়া।আপনি যদি পুরনো দিনের লিপস্টিক বা সস্তা লিপস্টিক প্রসাধনে যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে যায়।যদি ঠোঁটক গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে প্রথমেই আপনাকে মাদক সেবন থেকে বিরত থাকতে হবে।কেননা মাদকদ্রব্য সেবন করলে বা ধূমপান করলে আমাদের ঠোঁট অনেক কেমিক্যাল এর সংস্পর্শে এসে কালো হয়ে যায়।
যদি আমরা বাইরে যাই অথবা সরাসরি রোদ এসে আমাদের ঠোঁটে পড়ে তাহলে রোদের প্রতিবেদন রোশনি আমাদের ত্বক তুলিয়ে পুড়িয়ে ফেলে।যা আমাদের ঠোঁটকে কালো করে দেয়।জেনেটিক বা জিনগত কারণ বাবা-মার বৈশিষ্ট্যের কারণে আমাদের কালো হতে পারে।ঠোঁটে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করার ফলে এবং এটি ভালোভাবে পরিষ্কার না করার ফলে আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে।তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো আমাদের খেয়াল করে ঠোঁটের প্রতি যত্নবান হতে হবে।

ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে ১০টি টিপস

টিপস-১= ভোটের মেকআপ যথাযথভাবে পরিষ্কার করা।এই টিপসটি আমি সবার আগে উল্লেখ করতে চাই কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে এটাই আমাদের সবচেয়ে কমন ভুল।আমরা যারা ভারী মেকআপ করি না তারাও কিন্তু সাধারণত বাইরে যাওয়ার আগে হালকা লিপি ঠোঁটে দিয়ে বের হয়।কিন্তু কয়জন বাসায় এসে লিপস্টিক দিয়ে সঠিকভাবে আবার পরিষ্কার করে।অনেক সময় লিপস্টিকটি খাওয়া বা মুখ মুছতে গিয়ে অনেকটাই উঠে যাওয়া।

আমরা মনে করি পানি দিয়ে হালকা করে ধুলেই ঝামেলা শেষ।এই একই কাজটি আমরা দিনের পর দিন মাসের পর মাস ধরে করতেই থাকে তাহলে সেটা থেকে কন্টেন্টর্মাটারিক্সক দেখা দিতে পারে।হাইপার ট্রিটমেন্ট টেশন বা ঠোঁট ধীরে ধীরে কালো হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।তাহলে সমাধান ডাবল ক্লিনজিং করলে কোন ক্ষতি নেই।অন্তত ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন।ভালোভাবে ধোয়া মানে কিন্তু জোরে জোরে ঘষা নয়, আলতোভাবে ধুতে হবে।

টিপস-২= ঠোঁটে স্ক্রাব ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।যত ছোট মিহি দানা হোক না কেন সেটা কিন্তু আমাদের ঠোটের জন্য নয়। আমাদের ঠোঁট আমাদের শরীর বা মুখের ত্বকের চেয়ে অনেক পাতলা। আমাদের মুখের ত্বকে যেমন সেলুলে লেয়ার থাকে ১৬ টি সেখানে  ঠোঁটে থাকে মাত্র পাঁচ থেকে ছয়টি। মুখের জন্য যে স্ক্রাব সে স্ক্রাবটি আমাদের ঠোঁটের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। দয়া করে চিনি কফি মসুর ডাল বাটা ইত্যাদি এগুলো দিয়ে ঠোঁটের উপরে অত্যাচার করবেন না। 

যদি মনে হয় এগুলো ব্যবহার করে ঠোঁট গোলাপি লাগছে অর্থাৎ কাজ করছে তাহলে সেটি আপনার সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। শরীরের যেকোনো অংশে খুব জোরে জোরে ঘষলে সাময়িকভাবে লাল হয়ে যাবে বা সাময়িক উজ্জ্বল লাগতে পারে, কিন্তু এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব হয় খুব মারাত্মক। যেহেতু আমাদের ঠোঁটের চামড়া গুলো থাকে পাতলা তাই হাইপার ট্রিটমেন্টেশনের ঝুঁকিও থাকে বেশি। তাহলে সমাধান ঠোঁটে ভালোভাবে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রেখে ঠোঁট নরম হয়ে এলে খুব নরম 

কোনো তোয়ালে বা কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজে আলতো করে ঠোঁটে মাসাজ করে নিলে দেখবেন ঠোঁটে ডেলেক্স উঠে এসেছে। যেমন হবে তেমনি হাইপার ট্রিটমেন্টেশন এর ঝুঁকি কমবে।

টিপস-৩=SPF যুক্ত লিপস্টিক বা লিপ বাম ব্যবহার করা। আমাদের ঠোঁট আমাদের শরীরে এমন একটি স্থান থাকে যেখানে ইউভিরে সাইন করার সুযোগও বেশি থাকে। ঠোঁটের রং পরিবর্তন হওয়ার ক্ষেত্রে হরমোনের পরে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ইউভিরে। জন্মের পর থেকে ১০ থেকে ২৫ বছর ধরে টানা সানবারের প্রভাব একটু কল্পনা করুন তো। তাহলে সমাধান SPF যুক্ত লিপ প্রোডাক্ট।

টিপস-৪= ফিজিক্যাল সান প্রটেকশন নিতে ভুলবেন না। সব সময় আমি যা করি, দীর্ঘ সময় যদি রোদে থাকা হয় তাহলে ফিজিক্যাল সান প্রটেকশন অর্থাৎ সানগ্লাস, ছাতা বা মাক্স ব্যবহার করা খুবই জরুরী। এটাই হলো আপনার ঠোঁট গোলাপি করার উপায় এর একটি সেরা মাধ্যম

টিপস-৫= নকল, নিম্নমানের মেয়াদ উত্তীর্ণ লিভ প্রোডাক্ট ব্যবহার করবেন না। একটা লিপস্টিক দুই বছর সময়মতো ব্যবহার করা যায়। তার থেকে বেশি পুরনো হয়ে থাকলে সেটিকে আপনি আজই ফেলে দিন। আর খেয়াল রাখুন আপনার লিপস্টিক টি যেন আসল হয় এবং ভালো ব্র্যান্ডের হয়। তবে একটা জিনিস মনে করিয়ে দিতে চাই লিপস্টিকের যত ভালো থাকুক না কেন যত মানুষের জন্যই শুট করুক না কেন লিভ প্রোডাক্টে এমন কোন উপকরণ আছে যা আপনার অ্যালার্জি আছে তা কিন্তু অবশ্যই এভোয়েড করুন।
টিপস-৬= এলার্জি বা ইরিটেটিং উপাদান এড়িয়ে চলা। এমনকি আপনার টুথপেস্ট এর উপাদানও এলার্জি হতে পারে। যদিও এটা বোঝা খুব কঠিন যে কোন প্রোডাক্ট বা কোন উপাদানে এলার্জি হচ্ছে। কসমেটিক প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে বোঝা গেল কিন্তু ধরা যায় না ঘরোয়াটিস গুলোর মাধ্যমে। দুর্ভাগ্যবশত আমাদের পা থেকে মাথা পর্যন্ত সব কিছু কেমিক্যাল হলো আমরা কেমিক্যাল আর ন্যাচারাল আলাদা মনে করি। অথচ এসব ন্যাচারাল বস্তুতে উপাদান সংখ্যা এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি।

টিপস-৭= জিব্বা দিয়ে বারবার ঠোঁট ভেজাবেন না।এটি ঠোঁটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ঠোঁটের চামড়া উঠাবেন না। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঠোঁটে ভেসলিন অথবা অন্য কোন প্রোডাক্ট লাগিয়ে নিবেন। সকাল বেলা উঠে টিপস-২ এ যে পদ্ধতিতে বলা আছে সে অনুযায়ী আলতো করে ঠোঁটের উপরে যে ডেক্সিলোটি আছে সেটি তুলে নিবেন। আমাদের ত্বকের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি পানি শূন্যতায় ঠোঁট  ভুগে থাকে। তাই এ পদ্ধতিতে বেশি কার্যকর হবে। 

দিনের বেলা ভ্যাসলিন ব্যবহারের কোন অসুবিধা নেই কিন্তু ভেসলিন যেহেতু আমাদের থেকে প্রটেকশন দেয় না সেজন্য আমাদের দিনের বেলা SPF যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করার জরুরী।

ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায় টিপস-৮

মাদকদ্রব্য এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকুন। এটির কালো ধোয়া আমাদের ঠোটের উপরে একটি কালো চামড়ার আবরণ সৃষ্টি করে। এতে করে আমাদের ঠোঁট কালো হয়ে পড়ে। মাদকদ্রব্য ও ধূমপান রেগুলার সেবন করলে ঠোঁট গোলাপি হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু এসব মাদকদ্রব্য থেকে বিরত থাকলে আমাদের দেওয়া টিপসগুলো কাজে লাগবে। তাই ছেলে মানুষরা এসব বিরত থাকুন এবং সম্পূর্ণ আর্টিকেলটিতে তুলে ধরা বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করুন।
ছেলেদের ঠোঁট গোলাপি করার উপায়

টিপস-৯= মেডিকেল কন্ডিশন বা মেডিসিন এই সবগুলো টিপস ফলো করার পর যদি আপনি ঠোঁটের কোন উন্নতি না দেখতে পান তাহলে খেয়াল করুন আপনার কোন উপাদানের ঘাটতি হচ্ছে। সেটি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করে নিন। অনেক সময় মেডিসিন গ্রহণের পর ঠোঁট কালো হতে পারে তাহলে সে বিষয়টি মাথায় রাখবেন।

টিপস-১০= নিজেদের এশিয়ান বৈশিষ্ট্যকে মেনে নেওয়া। এশিয়ান বা রি চ স্কিনটনের অধিকারী জেনেটিকলি অনেক বেশি মিনালিনের অধিকারী। এই অধিক  মেনালিনের ছাপ যেমনঃ-ছাপ আমাদের আন্ডার আর্ম, থাই এরিয়া বা বিভিন্ন এরিয়াতে দেখা দেয়। ছোটবেলায় গোলাপি থাকলেও ধীরে ধীরে হরমোনের পরিবর্তনের সাথে সাথে কিন্তু আমাদের ঠোঁটের রং পরিবর্তন করে ফেলে। দুনিয়ায় এমন কোন পদ্ধতির নেই আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করে দিতে পারবে।
কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতি গুলো সাময়িক সময়ের জন্য আপনার ঠোঁটকে গোলাপি করতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। তাই আমাদের সব বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। তাই ঠোঁট গোলাপি করার উপায় সম্পর্কে জানতে হলে উপরোক্তার সব বিষয়গুলো পড়ে মানতে হবে

লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল ঠোঁট গোলাপি করার উপায় গুলোর সম্পর্কে। আশা করা যায় আজকের আর্টিকেলটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়লে প্রাকৃতিকভাবে ঠোঁট উজ্জ্বল করতে পারবেন।কারন আমি আর্টিকেলের সম্পূর্ণ কথাগুলো নিজে মেনে উপকৃত হয়েছি।তাই আপনারা যারা ঠোঁট সুন্দর ও উজ্জ্বল করতে চান তাদের জন্য আজকের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি।আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে 

অন্যজনকে এসব বিষয় জানার জন্য শেয়ার করে দিবেন।এই সংক্রান্ত আরো কিছু জানার থাকলে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url