ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার ২০টি আশ্চর্য গুনাগুন-রূপচর্চায় অ্যালোভেরা

ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার ২০টি আশ্চর্য গুনাগুন সম্পর্কে জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।অ্যালোভেরা এমন একটি উদ্ভিদ যা সকলের খুবই পরিচিত।অ্যালোভেরা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য যুক্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ঔষধি গাছ।

ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরাআমরা অনেকেই আছি যারা ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার ব্যবহার ও গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে চাই।তাই আপনি যদি এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনার জন্য।চলুন জেনে নেওয়া যাক রূপচর্চায় অ্যালোভেরা সম্পর্কে।

পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন

রূপচর্চায় অ্যালোভেরা 

অ্যালোভেরা ভরপুর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ যা ক্ষত নিরাময়ে ও মুখের বলিরেখা প্রতিরোধে, হজমের উন্নতিতে, রক্তের শর্করার ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে।এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অ্যালোভেরা জেল বিশেষ করে ত্বক মুখ ও চুলকে উন্নত করে এবং তাদের সৌন্দর্য বজায় রাখে।অ্যালোভেরারউপকারিতা অপরিসীম।আজ থেকে ৬০০০ বছর আগে মিশরে অ্যালোভেরার উৎপত্তি ঘটে। এটি দেখতে অনেকটাই ক্যাকটাস বা কাঁটাযুক্ত ফনিমনসার মতো হলেও ক্যাকটাস নয়।
অ্যালোভেরা লিলি প্রজাতির উদ্ভিদ।আফ্রিকার মরুভূমি অঞ্চল ও মাদাগাস্কারে অ্যালোভেরার আদি নিবাস। এটি একটি বহু জীবি ভেষজ উদ্ভিদ।অ্যালোভেরার আরেকটি নাম হলো ঘৃতকুমারী।এটির পাতাগুলির পুরু ও পাতার দুই ধারে করাতের মতো কাটা বিদ্যমান।পাতার ভেতর লালার মত পিচ্ছিল শাঁস থাকে।অনেকেই অ্যালোভেরার শাঁস জুস করে খাই।এই শাঁসের সঙ্গে জল বরফ লেবুর রস ও সামান্য মধু মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে ত্বক এবং চুলের সমস্যা ও শরীরের নানান 

রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।প্রাচীনকাল থেকে ভেষজ চিকিৎসাশাস্ত্রে অ্যালোভেরার ব্যবহার রয়েছে।তাই আজ আমরা জানবো অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার পুষ্টি উপাদান

অ্যালোভেরাতে ২০ রকমের খনিজ উপাদান রয়েছে। মানুষের শরীরে জন্য যে ২০টি অ্যামিনো অ্যাসিড প্রয়োজন তার ৮টি রয়েছে এর মধ্যে। এছাড়াও এলোভেরার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি,ভিটামিন বি২,ভিটামিন বি৬,ভিটামিন বি১২,ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ই।এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম,সোডিয়াম,পটাশিয়াম, আয়রন,মাঙ্গানিজ,জিংক,অ্যামিনো এসিড ও ফলিক এসিড।অ্যালোভেরা তে এতসব ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকার কারণে 

হাঁটুর ব্যথা,হার্টের সমস্যা,দাঁতের সমস্যা,কোলেস্টেরলের সমস্যা ভালো করে এবং ব্লাড প্রেসার কে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চারণ স্বাভাবিক রাখে ও সারা শরীরে অক্সিজেনকে ছড়িয়ে দেয়।অ্যালোভেরার অক্সিজেনকে বহন করার বিশেষ ক্ষমতা আছে। অ্যালোভেরা শরীরে দূষিত রক্তকে বের করে রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য কর।শরীরের ক্লান্তি দূর করে এছাড়াও শরীরে বহুবিধ সমস্যার সমাধান হলো অ্যালোভেরা।তাই চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার উপকারিতা সম্পর্কে।

ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার উপকারিতা

ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ভূমিকা সম্পর্কে আমরা সকলেই কম বেশি জানি।ত্বকের যত্ন নিতে অ্যালোভেরার জেল অপরিসীম।ত্বকের যে কোন সমস্যা যেমন ব্রণ,চুলকানি,রোদে পোড়া দাগ,র্যাশ আরো অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় অ্যালোভেরা জেল।আপনি যদি অ্যালোভেরা জেল যদি প্রতিদিন নিয়মিত করে লাগাতে পারেন তবে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ।অ্যালোভেরা জেল ত্বকে বয়সের ছাপ আসতে দেয় না।অ্যালোভেরা জুস খেলে আপনার শরীরে হাইড্রেটেড থাকে যার ফলে আপনার ত্বক সতেজ ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করার নিয়ম

অ্যালোভেরা জেল ত্বকে ব্যবহারে সময় মুখ হাত ভালো করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।অথবা আপনি ত্বকের যে স্থানটিতে জেল ব্যবহার করবেন সে স্থানটি পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজন হলে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে নিন।তারপর একটি এলোভেরা পাতার কিছুটা অংশ থেকে জেল সংগ্রহ করে ত্বকে ও মুখে ভালো করে জেলটি লাগিয়ে নিন।পর থেকে 10 থেকে 15 মিনিট শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং এরপর 
ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের উজ্জ্বলতা আনতে সপ্তাহে অন্তত ৩বার ব্যবহার করুন। আপনি যদি এইভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ত্বকের কালো দাগ মেছতা ত্বকের তৈলাক্ত ভাব ইত্যাদি সমস্যার সমাধান পাবেন।

অ্যালোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

অ্যালোভেরা মধ্যে ব্রণ দূর করার অসাধারণ গুন রয়েছে।অ্যালোভেরা তে থাকা বিদ্যমান অ্যান্টি ইনফ্লামেন্টরি উপাদান যা ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে ও ত্বকের উপরে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।ফলে নিয়মিত অ্যালোভেরা তোকে ব্যবহার করার ফলে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমে যায়।ব্রণ দূর করতে অ্যালোভেরার সাথে কাঁচা হলুদ, চিনি ও নিম পাতা একসাথে মিক্স করে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখলে ব্রণ দূর হয়ে যাবে।
অ্যালোভেরা দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা ও ব্যবহারবিধি

ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার উপকারিতার পাশাপাশি চুলের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা অপরিসীম।বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মেয়েদের একটি বড় কমন সমস্যা হল চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা।চুলের ক্ষেত্রে চুল ঘন করতে চুল পড়া কমাতে চুলের নারিশমেন্ট থেকে শুরু করে চুলের সকল সমস্যার সমাধান হলো অ্যালোভেরা।এছাড়াও অ্যালোভেরা খুশকি দূর করতে সাহায্য করে, কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এন্টি ফাঙ্গাস উপাদান।

চুলের নারিশমেন্ট= যেকোনো হেয়ার অয়েল এর সাথে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে চুলে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন এতে করে চুল মজবুত হয় এবং চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।চুলে অ্যালোভেরা জেল মাসাজ করার পর যেকোনো হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।এতে করে আপনার চুল হয়ে উঠবে ঝলমলেও মসৃণ।তাই চুলের নারিশমেন্টের জন্য অ্যালোভেরা জেল অত্যন্ত কার্যকারী ও উপকারী একটি উপাদান।
চুলের যত্নে এলোভেরার ব্যবহার বিধি= একটি পাত্রে অ্যালোভেরার পাতা থেকে জেল সংগ্রহ করুন তারপর ওই পাত্রে কিছুটা লেবুর রস দিয়ে দিন।অ্যালোভেরা জেল রেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন।মিশ্রণটি মাথাতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন।১০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন দেখবেন চুল সিল্কি হয়ে গেছে।আপনি যদি এই মিশ্রণটি সপ্তাহে অন্তত তিনবার ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চুলের পুষ্টির জন্য অনেক উপকারে আসবে।

অ্যালোভেরা জেল এর সাথে একটি ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন। ভালো করে মেশানো হয়ে গেলে মিশ্রণটি আলতো করে চলে লাগিয়ে ফেলুন।খেয়াল রাখবেন চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত যেন ভালোভাবে লাগানো হয়।এভাবে লাগানোর পর ১৫থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন এরপর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পরিষ্কার পানি দিয়ে হারবাল যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।এতে করে আপনি আপনার চুলের নানান সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন আশা করা যায়।

ডায়াবেটিস প্রতিরোধে ও হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরার উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অ্যালোভেরা অন্যতম ভূমিকা পালন করে।অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত পান করলে ডায়াবেটিস অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায় ডায়বেটিস হলে আমাদের রক্তে সুগার বা শর্করার পরিমাণ বাড়তে থাকে।এলোভেরা জুস রক্তের সুগারের পরিমাণ ঠিক রাখে এবং শরীর রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে।তাই আপনি যদি নিয়মিত নিয়ম অনুযায়ী অ্যালোভেরা খেতে পারেন তাহলে আপনার ডায়াবেটিস প্রতিরোধে অনেকটাই সক্ষম হবেন।

হজম শক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা= অ্যালোভেরা জুস হযম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।এটি আমাদের অন্তরে খারাপ ব্যাকটেরিয়া রোধ করার সাথে সাথে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। অ্যালোভেরা জুষে উপস্থিত এন্টি ইনফর্মেটরি উপাদান পাকস্থলীকে ঠান্ডা রাখে ও গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।তাই আপনারা যদি আপনাদের হজম শক্তি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক রাখতে চান তাহলে নিয়ম করে অ্যালোভেরার জুস নিয়মিত খেতে পারেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করে অ্যালোভেরা

তেল মশলাযুক্ত খাবার, মাংস বেশি করে খাওয়ার ফলে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভুগেন। অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত সেবন করার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।এছাড়াও এলোভেরার জেলে রয়েছে ২০ রকমের অ্যামিনো অ্যাসিড যা ইনফ্লামিশন বা খারাপ ব্যাকটেরিয়া ও কোলেস্টেরল ধ্বংস করে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে, এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। অ্যালোভেরা জেল ফাইবার যুক্ত হওয়ায় এটিকে শীতল রাখে ও রেচন প্রক্রিয়ার গতিকে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি= অ্যালোভেরা জুস নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অ্যালোভেরাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান যা আমাদের মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এলোভেরা এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও এন্টিফাঙ্গাল সমৃদ্ধ একটি গাছ। অ্যালোভেরা শরীরের টক্সিন দূর করে মানবদেহে সুস্থ রাখে।শরীরের ক্লান্তি দূর করার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন সকালবেলা অ্যালোভেরা জুস খেলে দেহের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।

হার্ট ও দাঁতের যত্নে অ্যালোভেরার উপকারিতা

আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার উপকারিতার পাশাপাশি আপনার হৃদ যন্ত্র ও দাঁতকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এলোভেরা।
  • অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে
  • ব্লাড প্রেসার এর ভারসাম্য বজায় রাখে
  • রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শরীরের দূষিত রক্ত নষ্ট করে 
  • রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
  • তা তো দাঁতের মাড়ি ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় এই অ্যালোভেরা জুস
  • যাতে যে কোন সমস্যার উপায় হল অ্যালোভেরা

স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার ১০টি উপকারিতা

ক্যান্সার প্রতিরোধে= অ্যালোভেরা জুস ক্যান্সার প্রতিরোধে অনেক সাহায্য করে থাকে।এতে রয়েছে অ্যালো ইমোডিন যা স্তন ক্যান্সারের বিস্তার রোধ করে।অ্যালোভেরা আরো অন্যান্য ক্যান্সার প্রতিরোধেও বিশেষভাবে ভূমিকা পালন করে।
  • শরীরের ওজন কমাতে অ্যালোভেরা জুস ভূমিকা অতুলনীয়। অ্যালোভেরা জুস অধিক পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফর্মেটরি উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে অধিক পরিমাণে সাহায্য করে থাকে।
  • আমাদের অনেকেই মুখের ঘা এর সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য এলোভেরা খুবই একটি উপকারী উপাদান। মুখের যে অংশে গা হয়েছে সেই অংশ জ্যোতি ভালো করে অ্যালোভেরা জেল লাগানো যায় তাহলে মুখের ঘা কিছুদিনের মধ্যে ভালো হওয়ার আশা থাকে
  • এলোভেরা মুখের দুর্গন্ধ কাটাতে সাহায্য করে। মুখের জীবাণুর দূর করা মাড়ি ফুলে যাওয়া মাড়ি থেকে রক্ত পড়া ইত্যাদি সমস্যা সমাধানও অ্যালোভেরার গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে এর কারণ অ্যালোভেরা রয়েছে ভিটামিন সি এর মত উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান
  • বাড়ির কাজে বেশি সময় ধরে যারা একই পজিশনে কাজ করেন বা বেশি ভারী কাজ করেন তাদের কোমর ও হাটু সমস্যা দেখতে পাওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে অ্যালোভেরা জেল তাদের সমস্যা দূর করতে পারে এর কারণ বেশ কিছু সময় ধরে অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন তাতে আরাম পাবেন
  • আমরা নানান ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকি।কিন্তু এসব কেমিক্যাল আমাদের ঠোঁটের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে সে ক্ষেত্রে এলোভেরা প্রাকৃতিক মর্যাদা হিসেবে কাজ করে। তাই এলোভেরা জেল নিয়মিত ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও মসৃণ
  • চোট আঘাতের ব্যথা নিরাময় এলোভেরার জুরি মেলা ভার।খেলাধুলা করতে গিয়ে বা কোনো ভারী কাজ করার সময় আমরা প্রায় চোট আঘাত পেয়ে থাকে।যে অংশে আমরা চোট পেয়ে থাকি সেই অংশটি আমাদের ফুল এগিয়ে রক্ত জমাট বেধে যায় এই অবস্থাতে ওই অংশে যদি আমরা ভালো করে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নেই তাহলে এক দুই দিনের মধ্যে ব্যথা কমে যাবে আশা করা যায়
  • বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাথার ত্বকের জ্বালা বা চুলকানি মুক্তি করে।এলোভেরা মাথা ত্বকের প্রাকৃতিক PH ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা মাথার ত্বকে প্রয়োজনীয় পুষ্টির সরবরাহ করে যার ফলে আমাদের মাথার ত্বকে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
  • অ্যালোভেরার এন্টি ইনফ্লেমেটরি প্রভা ও সহ অন্যান্য যৌগ রয়েছে যা আমাদের পিসি এবং জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
  • অ্যালোভেরার এন্টি এনফ্লামেটরি এবং এন্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ক্ষত নিরাময়ের সাহায্য করে

 লেখকের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল ত্বকের যত্নে ও স্বাস্থ্যবিধিতে অ্যালোভেরার আশ্চর্য সব কার্যকারী উপকারিতা সম্পর্কে।আশা করা যায় আজকের আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি অ্যালোভেরার সম্পর্কিত সকল তথ্য সত্যের উপর জানতে পেরেছেন।আপনি এখান থেকে জানতে পেরেছেন অ্যালোভেরা পুষ্টি উপাদান ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। আপনি যদি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হয়ে থাকেন 

তাহলে এইসব আশ্চর্যজনক উপকারিতা অন্যজনকে জানানোর জন্য শেয়ার করে দিবেন।আমাদের এসব সকল তথ্য অনেক জায়গা থেকে পড়ে সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে যদি কোন ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে আমাদের বলবেন আমরা তা ঠিক করে নিব।আর আপনাদের এই সংক্রান্ত যদি আরো কিছু জানার থাকে অতি অবশ্যই কনবক্সে জানিয়ে যাবেন আমরা আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url