কিভাবে হিজাবিদের চুলের যত্ন নিবেন-গরমে হিজাবিদের চুলের যত্ন
সারাদিন হিজাব করে দিন শেষে আসলেই কি চুলের যত্ন নেওয়া সম্ভব। বর্তমান সময়ে অনেক মেয়েরা এখন হিজাব করে বাইরে বের হয়। এমন অবস্থায় তাদের সারাক্ষণ মাথা ঢেকে রাখতে হয় এর কারণে চুলের পুষ্টি কিছুটা কমে আসে। তাই আজকে আমরা আপনাদের জানাবো হিজাবিদের চুলের যত্ন সম্পর্কে।
সারাদিনের নানান কর্মব্যস্ততার বিভিন্ন কারণে আমাদের তেমন চুলের যত্ন নেওয়া হয় না। এক্ষেত্রে মাথায় বা চুলের গোড়ায় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যেমনঃ চুল পড়ে যাওয়া, ড্যানড্রাফ ইত্যাদি।সূর্যের তাপ ও ধুলাবালীর জন্য মেয়েদের বাড়তি চুলের যত্ন প্রয়োজন।তাই চলুন আমরা জেনে নেই হিজাবিদের চুলের যত্ন কিভাবে নিতে পারি।
পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
গরমে হিজাবিদের চুলের যত্ন
গরমে আমরা বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় চুলে শ্যাম্পু করে বের হতে পারি।সপ্তাহে অন্তত ৩ থেকে ৪বার শ্যাম্পু করতে পারি।এক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের চুলের ত্বক শক্ত হয় এবং চুল পড়া কিছুটা হলেও কমে আসে।প্রতিদিন গোসল করার আগে চুলে লেবু ব্যবহার করতে পারি।গরমকালে ঘামে ধীরে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে এর ফলে সহজে চুল উঠতে শুরু করে এছাড়াও ঘাম মাথার স্ক্লাপ এর স্বাভাবিক তেলের ফলে চুলের তৈলাক্ত ভাব এসে যায়।
আরো পড়ুনঃ চুলের যত্নের জবা ফুলের ব্যবহার ও উপকারিতা
চুল আঁচড়াতে গেলেই চুল চিরুনিতে জড়িয়ে যায়।চুলের ফুরফুরে ভাব নষ্ট হয়ে যায়।তাই এক্ষেত্রে চুল নষ্ট হওয়ার আগে চুলের সঠিক যত্ন নিন।প্রতিদিন মেনে চলুন কিছু ঘরোয়া প্রাকৃতিক পদ্ধতিঃ-
- প্রথমে একটি বাটিতে দুই থেকে তিন চা চামচ টক দই অথবা মেয়োনিজ নিন
- এরপর এতে মেথি ঢালুন এবং আস্তে আস্তে এটিকে মিক্সড করুন
- উক্ত এই তিনটি উপাদান মিশিয়ে নেওয়া হয়ে গেলে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে দেন
- এরপর উক্ত তৈরি উপাদানটি আপনার চুলের গোড়া থেকে শুরু করে সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন
- উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি প্রয়োগ করলে আপনার চুলের গোড়া শক্ত হবে চুল লম্বা হবে এবং চুল পড়া কমবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
ঠান্ডার সমস্যায় হিজাবিদের চুলের যত্ন
আপনারা অনেকেই আছেন যাদের কম বেশি সময় ঠান্ডা লেগে থাকে,এমন অবস্থায় আপনি কিভাবে চুলের যত্ন নিবেন সে নিয়ে চিন্তিত হয়ে যান। এক্ষেত্রে আপনি যেটা করেন তা হল আপনাদের যাদের ঠান্ডা সমস্যা আছে তারা গোসল করার সময় হালকা গরম কুসুম পানি দিয়ে গোসল অথবা চুলে শ্যাম্পু করেন এর ফলে আপনাদের চুল খুব সহজে অল্পতেই ঝড়ে পড়ে যায়। আমাদের মাথায় রাখতে হবে কোন অবস্থাতেই চুলে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।
আপনাদের যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তারা গোসল করার পরেই হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিতে পারেন।ভেজা চুলে কখনোই ঘুমানো যাবে না।এতে করে কি হয় জানেন,ভেজা চুলে আমাদের চুলের গোড়া নরম থাকে এবং ভেজা চুলে ঘুমালে আমাদের চুল খুব সহজে ঝরে পড়ে তাই গোসল করার পরপরই আমাদের উচিত যত সম্ভব চুল শুকিয়ে নেওয়া। তাই যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তারা চুলের যত্ন একটু কম পরিমাণে নেওয়া উচিত এবং সবকিছু খেয়াল রাখা উচিত।
হিজাবিদের খুশকি সমস্যার সমাধান
বর্তমান সময়ে মেয়েদের বাইরে যাওয়ার পর দিনের বেশিরভাগ সময় হিজাব পড়ে থাকা হয়।আপনারা অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত চুলের যত ঠিকমত নেন না।সপ্তাহে এক দুইবার শ্যাম্পু করেন।এ ক্ষেত্রে আপনাদের অনেক পরিমাণে ময়লা জমে যায়।আর দিনের বেশিরভাগ সময়ই হিজাব করে থাকার জন্য চুলে বাতাস ঠিকমতো পায় না,এর ফলে গিয়ে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়।আর এই সমস্যার সমাধানে আমরা সপ্তাহে অন্তত ৩বার অর্থাৎ
একদিন পরপর চুলের শ্যাম্পু করে ভালো কোন কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারি।ময়লা ও খুশকির সমস্যার সমাধানে আমরা চুলের গোড়ায় এবং আগায় অ্যালোভেরা জেলও ব্যবহার করতে পারি।তবে আপনার চুল যদি অতিরিক্ত ড্যামেজ হয়ে থাকে তাহলে একজন হেয়ার এক্সপার্ট এর সাহায্য নিন।চুলে কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করলেও চুল খুশকি মুক্ত থাকবে। আমরা অনেকেই কাজকর্মের চাপে চুলে শ্যাম্পু করার সময় পায়না। তাই ব্যবহার করুন ড্রাই শ্যাম্পু।
আরো পড়ুনঃ চেহারায় গ্লো আনা ও গ্লো বৃদ্ধির উপায়
বর্তমান বাজারে বিভিন্ন ধরনের ড্রাইভ শ্যাম্পু পাওয়া যায়।সেগুলোর মধ্যে উন্নত মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই আছেন চুল পুরোপুরি না শুকিয়ে হিজাব করে ফেলেন।এই কাজটি আপনি কখনোই করবেন না।চুলগুলো আগে পুরোপুরি বাতাসে ভালোভাবে শুকিয়ে নিবেন।হিজাব বাধার আগে আমরা খোপা দিয়ে চুল বাধি এক্ষেত্রে কখনোই শক্ত করে চুল বাধা উচিত নয়। কারণ এর কারণে চুল গোড়া থেকে উঠে আসে।তাই চেষ্টা করুন সম্পূর্ণ শুকিয়ে নিয়ে তারপর হিজাব বাধার।
তাই অন্তত ১ থেকে২ দিন ভালো কোনো তেল ব্যবহার করুন।যেমনঃ-অলিভ অয়েল, কোকোনাট অয়েল, আমন্ড অয়েল তেল হালকা গরম করে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ধীরে ধীরে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।মাথায় চুল ঘেমে যাওয়ার ফলে মাথা চুলকায় এর ফলে ময়লা বসে যায়।আর এক্ষেত্রে চুল আঠালো হয়ে যায়।তাই এক্ষেত্রে আপনি চুলে গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন।আমাদের চুলের ত্বকে অধিক পরিমাণে অক্সিজেন প্রয়োজন কিন্তু হিজাবের কারণে তা পায় না।
যার ফলে আমাদের চুলগুলো ড্যামেজ হয়ে যায়।তাই আপনার সিল্ক হিজাবগুলো শীতের জন্য রেখে দিন।এক্ষেত্রে আপনি গরমের জন্য নরম সুতি হিজাবগুলো করতে পারেন।এর ফলে মাথার ঘাম গুলো সুতি হিসেবে শোষণ করে নিবে এবং মাথায় স্বল্প পরিমাণ হলো অক্সিজেন পাবে।যেহেতু বর্তমান সময়ে প্রায় কম বেশি সবাই হিসাব ব্যবহার করে তাই উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় দেখে আপনারা হিসাব ব্যবহার করবেন।তাহলে চুলগুলো সুস্থ সুন্দর থাকবে।
চুলের যত্নে বাদামের উপকারিতা
আমরা হয়তো অনেকেই জানি না চুলের যত্নে বাদামের উপকারিতা কতটা।কাজু বাদাম,পেস্তা বাদাম,চিনা বাদাম,কাঠবাদাম এগুলোতে আছে অনেক স্বাস্থ্যকর ফ্যাক্ট। যা আমাদের চুলের গোড়ার শক্ত রাখতে এবং চুল লম্বা করতে অনেক সাহায্য করে।আর এগুলোর অভাবে কখনো কখনো মাথার চুল পড়ে যায় এবং চুলের রং হালকা ড্যামেজ হয়ে যায়।চুলের যত্নে বাদামে রয়েছেন নানান পুষ্টিগুণ। যেমনঃ-ভিটামিন ই,ভিটামিন সি, প্রোটিন,ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম
ও আরো নানান ধরনের উপাদান।বিভিন্ন তেলের উপাদান হিসেবে রয়েছে বাদামের চাহিদা।বাদাম চুলের জন্য বিশেষ একটি উপকারী ফল।বাদামের তেল বা বাদামের বিভিন্ন খাবার বা কাঁচা বাদাম আমাদের চুলের ত্বক শরীরের ত্বক এবং শরীরে প্রোটিনের জন্য খুবই উপকারী।চুলের সৌন্দর্য একটি অলংকার স্বরূপ।তাই এই চুল নিয়েই কিন্তু নারীদের চিন্তার কোন শেষ নেই। আপনারা প্রতিদিন হিজাব করার আগে তুলে এনারকে বাঁধেন।
আরো পড়ুনঃ ডাব সাবান দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
তাই আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে ইনার ক্যাপ্টা যেন ময়লা না থাকে।অন্তত দুই থেকে তিনদিন পর পর ইনার কেপটা ওয়াশ করতে হবে।কারণ ইনার ক্যাফে ময়লা থাকলে সেই ময়লা আমাদের চলে যেতে পারে এবং চুলের ড্যামেজর সৃষ্টি হয়।যে ইনার কেসটা আপনারা ব্যবহার করবেন সেটা যেন খুব বেশি টাইপ না হয় এবং খুব বেশি শক্ত ম্যাটেরিয়াল না হয়।এটা খুবই ইম্পোর্টেন্ট একটি ব্যাপার।কারণ ইনার ক্যাপ্টা আমাদের স্কিনের সাথে লেগে থাকে।
তাই গরমে ওইটা একটু ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এফেক্টেড হয় বেশি।চাপ, ক্যাপ,স্কার্প এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে ফেলবেন ব্যাকটেরিয়ার সংক্রান্ত অন্য কোন সমস্যা থেকে বাঁচতে এগুলো পরিষ্কার করা খুবই জরুরী।নিজের ব্যবহৃত হিজাব অন্যকে পড়তে দিবেন না এবং অন্যের হিজাব নিজে কখনোই পড়বেন না।এতে আপনার চুলে খুশকি উকুনের পরিমাণ বেশি হওয়া ইত্যাদি আরো বিভিন্ন কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।আপনারা চাইলে বেবি শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। এতে কেমিক্যাল কম থাকে।
চুলের যত্নে চিরুনির ভূমিকা
সারারাত ঘুমিয়ে থাকার ফলে আমাদের চুল ভীষণ এলোমেলো হয়ে থাকে বা জট বেঁধে থাকে।ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথেই আমাদের বিভিন্ন কাজ থাকার ফলে আমরা হিজাব করে বাইরে চলে যাই চুলের যত্ন নেওয়ার সময় পায় না।এর ফলে দেখা যায় নানান সমস্যা তাই ঘুম থেকে উঠেই চুল চিরুনি দিয়ে আচড়ে নিন।এর ফলে আমাদের চুলের সারারাত ন্যাচারাল বাম প্রডিউস হয় চুল আঁচড়ানোর ফলে তা পুরোপুরি চুলে ছড়িয়ে পড়ে তাই ঘুম থেকে ওঠার পর দুই থেকে তিন মিনিট
চুল ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত আচড়ে নিন।আপনাদের কাছে এই ব্যাপারটা হাস্যকর লাগলো এই কথাই সত্য যে চুলের যত্নের চিরনের কিন্তু অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে।বর্তমান সময়ে হয়তো এটা হারিয়ে গেছে, কিন্তু আপনি যদি একবার ৯০ দশকের দিকের কথা বলেন তাহলে, আমাদের দাদী নানিদের দেখা যেত তারা চুলের যত্নে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করত। আর এর ফলে তাদের চুল হতো খুব ঘন কালো এবং স্বাস্থ্য উজ্জ্বল।কাঠের চিরনি চুলের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
হিজাবিদের চুলের যত্নে শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার এর ব্যবহার
বাইরের ধুলোবালের ময়লা এবং পুষ্টিহীনতায় আমাদের চুলে দেখা যায় নানান রকমের সমস্যা। যাদের নরমাল হেয়ার তারা সপ্তাহে তিন দিন চুলের শ্যাম্পু করতে পারেন। আবার যাদের অনেক বেশি রাফ হেয়ার সেক্ষেত্রে দুদিন পরপর শ্যাম্পু করতে পারেন। আর যাদের অয়েলি হেয়ারের প্রবলেম তারা একদিন পরপর শ্যাম্পু করতে পারেন। তবে শ্যাম্পু করা না হলেও একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, পানি দিয়ে চুল ধুলেও যেন স্ক্যাল্প পুরোপুরি পরিষ্কার হয়।
এবংপরিষ্কার করার সময় কখনো গরম পানি ব্যবহার করবেন না। চুলের যত্নে আমরা অনেকেই একটা ভুল কাজ করে থাকি আর তা হল, গোসলের পরপরই আমরা চুল আঁচড়ে ফেলি। এটা কিন্তু আমাদের চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর। কারণ এর সময় আমাদের চুলের গোড়ার নরম থাকে এবং চুল পড়ার সম্ভাবনা আরও বেশি বেড়ে যায়। তাই গোসল করার পরপর দয়লা দিয়ে চুল হালকা করে মুছে নিন, এরপর চুল কিছুটা শুকিয়ে গেলে তারপর চিহ্ন দিয়ে আঁচড়ে নিন।
শ্যাম্পু করার সময় চুল গুলোকে হাত দিয়ে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।কন্ডিশনার কখনোই স্ক্যাল্পে ব্যবহার করবেন না কারণ এতে করে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে। শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে চুল থেকে শ্যাম্পু কন্ডিশনার পুরোপুরি ভাবে পরিষ্কার হয়ে গেছে কি না।চুল আমাদের অনেক সেনসিটিভ একটা জিনিস। তাই চুলের যত্নে আমাদের অতি যত্নবান হতে হবে।
আরো পড়ুনঃ মুখের যত্নে মুলতানি মাটির ব্যবহার ও উপকারিতা
অন্তত ছয় মাস পর পর আমাদের উচিত চুলের আগা থেকে কিছু অংশ চুল কেটে ফেলা। এতে করে চুলের আগা ফাটা দূর হবে এবং চুল লম্বা ও সিল্কি হবে। আমাদের ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্ন নেওয়া উচিত। আমাদের ত্বকের সৌন্দর্যের জন্য যেমন ত্বকের কেয়ার করা উচিত তেমনি চুলের সৌন্দর্যের জন্য উচিত চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া। নারীদের সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে তাদের ত্বক ও চুলের উপর। তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্মের পাশাপাশি চুলের যত্ন নিতে হবে।
তবেই আপনারা নারীরা হয়ে উঠবেন রূপে গুনে লক্ষী। এখনকার সময় হিজাব পরে বাড়ি থেকে বের হয় প্রায় ৮০% নারী। তাদের মধ্যে খুব কম নারী আছে যারা হিজাব করার পাশাপাশি চুলের যত্ন নেয়। তবে অনেক মানুষই আছে যারা চুলের সমস্যা নিয়ে অনেক চিন্তিত। আমাদের মাথার ত্বকের ও চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে আমাদের উচিত হিজাবের পাশাপাশি চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া। আপনি যদি আপনার চুলকে সুস্থ রাখতে চান,
তাহলে বিভিন্ন বিউটি পার্লার থেকে বিভিন্ন কেমিক্যাল দিয়ে স্পা, হেয়ার রিবডিং, হেয়ার কালার, হেয়ার ট্রিটমেন্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আমাদের চুলের সমস্যা আরও বেশি দেখা দেবে। তাই যতটা সম্ভব ঘরোয়া উপায়ে হেয়ার রিবডিং করুন। এবং আপনাদের চুলের আরো কোন সমস্যা থাকলে সেগুলো আগে ডক্টরের পরামর্শ নেন এবং তারপর ট্রিটমেন্ট করুন। এতে করে আপনার চুল অকালেই নষ্ট হবে না এবং সমস্যার সঠিক সমাধান পাবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,স্যার/ম্যাম আজকের আর্টিকেলের মূল বিষয় ছিল হিজাবিদের চুলের যত্ন।আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি গরমে হিজাবিদের চুলের যত্ন ঠান্ডা সমস্যা চুলের যত্ন খুশকির সমস্যায় চুলের যত্ন হিজাবিদের চুলের যত্নে শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার সম্পর্কে সত্যের উপর বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয় গুলো আপনি যে সঠিকভাবে মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার
চুল অকালে ঝরে পড়া ও অস্বাস্থ্যকর হওয়া থেকে বাঁচবে। তাই আপনারা যারা নিয়মিত হিজাব করে বাইরে বের হন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেল উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ। আজকের আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আর একজনকে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে সে উপকৃত হতে পারে। এ বিষয়ে সংক্রান্ত আরো কিছু জানা থাকলে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url