টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

কামরাঙ্গা আমাদের সবার কাছে একটি অতি পরিচিত ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলের স্বাদ টক-মিষ্টিতে বিদ্যমান। এটি প্রথমে সবুজ হয়ে থাকে এবং পাকার সময় হলুদ বর্ণ ধারণ করে। মূলত গাছটি খুব সহজেই চাষ করা যায়। তাই আজকে আমরা আপনাদের টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত জানাবো।

টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও কামরাঙ্গার উপকারিতা সম্পর্কেকামরাঙ্গা হলো ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল,এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এতে বিদ্যমান থাকা উপাদান গুলো আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করে থাকে। যেমনঃ- ত্বক চুলের জন্য বেশ কার্যকরী, দাঁত, মাঁড়ি,হাঁড় মজবুত রাখে ও মেদ কমাতে সাহায্য করে। তাই চলুন আজকে জেনে নেই টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।

সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন

টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি

সবার পরিচিত একটি ফল কামরাঙ্গা। এর ইংরেজি নাম হল Chinese gooseberry এবং বৈজ্ঞানিক নাম Averrhoa carambola Linn। বিভিন্ন জাতের কামরাঙ্গার মধ্যে তাই যাদের কামরাঙ্গা গুলো খুব বেশি মিষ্টি এবং স্বাদ হয়। ছাদে কিংবা টবে খুব সহজে কামরাঙ্গা চাষ করা যায়। থাই জাতের কামরাঙ্গার ফলন খুব ভালো হয়। আমাদের গ্রাম বাংলার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কামরাঙ্গার গাছ কমবেশি পরিমাণে দেখা যায়।

এই থাই মিষ্টি জাতের কামরাঙ্গা অতি সহজে ছাদে বা টবে চাষ করা যায়। একটি থাই মিষ্টি জাতের কামরাঙ্গার কলমের চারা থেকে মাত্র ৫থেকে ৬ মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া সম্ভব। আজ যদি বীজের চারা হয় তাহলে ফল পেতে ৩থেকে ৪ বছর সময় লাগবে। সারা বছরই কমবেশি ফল গাছে থাকে তবে জুন থেকে চুলায় এবং ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে একটু বেশি পরিমাণে ফল পাওয়া যায়। আপনারা যারা টবে কামরাঙ্গা চাষ করতে চাচ্ছেন নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

আপনারা যারা টবে কামরাঙ্গা চাষ করতে আগ্রহী তারা ইচ্ছা করলে ছোট টবে এমনকি ১২ ইঞ্চি টবে চাষ করতে পারবেন। ছাদে টবে কামরাঙ্গার চারা লাগানোর জন্য আপনাকে ২০ ইঞ্চি ড্রাম বা টব সংগ্রহ করতে হবে। আপনারা অনেকেই জানেন আবার অনেকেই জানেন না টবে বা কোন ড্রামে চারা বা গাছ লাগানোর জন্য উক্ত পাত্রটির কয়েকটি ছিদ্র করে নিতে হয় যেন পানি নিষ্কাশন হতে পারে। তাই ড্রামের তলায় ৪ থেকে ৫ ছিদ্র করে নিবেন।
ছিদ্র করার কারণ হলো যাতে গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে। আপনি গিয়ে ছিদ্র গুলো করবেন সেই পরিমাণে ইটের টুকরোগুলো সেই জায়গায় দিয়ে দিবেন যেন পানি একেবারেই বের না হয় আস্তে আস্তে বের হতে পারে। এবার যে কাজটি করতে হবে সেটি হল উপযুক্ত মাটি তৈরি। এক্ষেত্রে দুই ভাগ বেলে দোয়াঁশ মাটি,১ ভাগ গোবর,৪৫-৫০ গ্রাম টিএসপি সার,৪০-৫০ গ্রাম পটাশ সার সবগুলো একসাথে একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে ভরে নিতে হবে।

এবং পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিতে হবে ১০ থেকে ১৫ দিন। এরপর মাটি কিছুটা হালকা খুঁচিয়ে হালকা করে আলগা করতে হবে এভাবে ৪-৫ দিন রেখে দিতে হবে। আর যখন মাটিটা হবে তখন একটি সরল সুস্থ কলমের চারা উক্ত স্থানে বা টবে রোপন করে দিতে হবে। চারা রোপনের সময় বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন যাতে গাছের গোড়া যেন মাটি থেকে আলাদা না হয়ে যায়। আপনারা উক্ত গাছটিকে উক্ত স্থানের মধ্য বরাবর সোজা করে লাগাবেন।

গাছ রোপনের পর সেই সাথে গাছের গোড়ায় মাটি কিছুটা উঁচু করে দিতে হবে এবং মাটিগুলো হাত দিয়ে হালকা করে চেপে দিতে হবে। এতে গাছের গোড়া দিয়ে বেশি পানি ঢুকতে পারবে না। গাছটি রোপনের পর প্রথম অবস্থায় গাছটিকে একটি মজবুত কাঠি বা লাঠি দিয়ে হালকা করে বেঁধে রাখবেন। যারা লাগানোর পরপরই বেশি পরিমাণে পানি দিবেন না এবং চারা রোপনের পর ছয় থেকে সাত দিন সেগুলোর পানি দিবেন তবে অতিরিক্ত পরিমাণে নয়।

গাছ রোপনের পর কিছুদিন হয়ে গেলে আস্তে আস্তে পানির পরিমাণ দেওয়া বাড়াতে হবে। লক্ষ্য রাখবেন যেন গাছের গোড়ায় পানি জমে না থাকে আবার এমনও যেন না হয় যেন একেবারেই গাছের গোড়া শুকিয়ে যায়। কামরাঙ্গার গাছ বেশি পরিমাণে পানি সহ্য করতে পারেনা(এটি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের বললাম আমার গাছটি মারা যাওয়ার কারণেই ছিল বেশি পরিমাণে পানি থাকার জন্য)। খেয়াল রাখবেন যাতে পানি শুকিয়ে না যায়।

কামরাঙ্গা চাষের পরিচর্যা সম্পর্কে জানুন

যারা লাগানোর পর প্রথম দিকে একটু অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। গাছ যখন আস্তে আস্তে বড় হবে তখন পানির পরিমান বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিশেষ করে ছাদের গাছে গ্রীষ্মকাল অনেক বেশি পরিমাণে পানি দিতে হবে। আমরা অনেকেই যে কোন গাছ লাগানোর পর মনে করি গাছ লাগানোর জন্য শেষ আর কোন কাজ নেই। কিন্তু না গাছ লাগানোর থেকে গাছের যত্ন পরিচর্যা নেওয়া বেশি জরুরী। তাই আমাদের যে কোন গাছের ক্ষেত্রেই পরিচর্যা সঠিকভাবে করা লাগবে।

কামরাঙ্গার গাছ লাগানোর ৪ থেকে ৫মাস পর নিয়মিত ২৫ থেকে ৩০ দিন অন্তর অন্তর সরিষার খোল পচা পানিতে প্রয়োগ করতে হবে। পরিসর খোল ১০ দিন পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে তারপর সেই পচা করলে পানি পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিতে হবে।১০ মাস থেকে ১ বছর পর টবের উক্ত মাটি পরিবর্তন করে নতুন মাটি দিতে হবে। 2 ইঞ্চি পোস্টে এবং ৬ ইঞ্চি গভীরে শিকড়সহ মাটি ফেলে দিয়ে নতুন সার মিশ্রিত করে মাটি দিয়ে তা ভালোভাবে ভরে দিতে হবে।
যদি কামরাঙ্গার গাছের মরা ডাল থাকে তাহলে তবে তা কেটে ফেলে দিতে হবে। আপনি যদি অধিক ফলন পেতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিবছর ফল দেওয়ার পর ডালগুলোকে একবার করে ছাটাই(ছোট করে) করে দিতে হবে। এক্ষেত্র আবার আপনাকে ৮থেকে ১২ দিন পর পর আপনার টব কিংবা গ্রামের মাটি কিছুটা খুঁচিয়ে(আলগা) করে দিতে হবে। এতে করে গাছ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারবে এবং গাছের ফলন ভালো হবে।

পোকামাকড় ও রোগ বালাই দমন= কামরাঙ্গার গাছে তেমন রোগ ও পোকামাকড় নেই বললেই চলে। কামরাঙ্গা ধরার পর পাখার কিছুদিন আগে থেকে পাখির উৎপত্ত বেড়ে যায়। যেহেতু আমরা ছাদে টবে কামরাঙ্গা চাষ করব সেহেতু আমাদের গাছ থেকে ফল পাকার আগ মুহূর্তে জাল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কারণ ফল ধরা থেকে শুরু করে টাকা পর্যন্ত টিয়াপাখি ফলগুলোকে অর্ধেক খেয়ে কেটে কেটে ফেলে যায় এবং নষ্ট করে।

কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানুন

আমরা যারা উপর থেকে মনোযোগ সহকারে পড়ে আসছি তার এতক্ষনে বুঝে গেছি কামরাঙ্গা গাছের পরিচয় এবং পরিচর্যা সম্পর্কে। চলুন এবার আপনাদের কামরাঙ্গের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিই। প্রতি ১০০ গ্রাম কামরাঙ্গার খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছেঃ-
  • খাদ্য শক্তি-৩১ কিলোক্যালরি।
  • শর্করা-৬.৭৩ গ্রাম
  • চিনি-৩.৯৩ গ্রাম
  • চর্বি০.৩৩ গ্রাম
  • খাদ্য আশঁ-২.৮ গ্রাম
  • আমিষ-১.০৪ গ্রাম
  • প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড-০.৩৯১ মিলিগ্রাম
  • ফোলেট-১২ আইইউ
  • ভিটামিন সি-৩৪.৪ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম-১৩৩ মিলিগ্রাম
  • জিংক-০.১২ মিলিগ্রাম
  • থায়ামিন-০.০১৪ আইইউ
  • রিভোফ্লোভিন-০.০১৬ মিলিগ্রাম
  • নিয়াসিন-০.৩৬৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন বি৬-০.০১৭ মিলিগ্রাম
  • ভিটামিন ই-০.১৫
  • ক্যালসিয়াম-৩ মিলিগ্রাম
  • আইরন-০.০৮ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম-১০ মিলিগ্রাম
  • ফসফরাস-১২ মিলিগ্রাম
  • ম্যাংগানিজ-০.০৩৭ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম-২ মিলিগ্রাম।
উল্লেখিত এত সব গুণাবলী দিয়ে কামরাঙ্গা ভরপুর। নিশ্চয়ই আমরা যারা পড়লাম তারা জানতে পারলাম কামরাঙ্গাতে পুষ্টি উপাদান কি পরিমাণ আছে। এতসব উপাদান যদি থাকে তাহলে দিদি কামরাঙ্গা খাওয়া যায় নিয়মিত পরিমাণ মতো তাহলে আমাদের শরীরের কতই না উপকার হবে। কামরাঙ্গায় থাকায় এসব বিদ্যমান উপাদান গুলো আমাদের শরীরে অনেক ঔষধি গুন হিসেবে ও কার্যকারিতা করে থাকে। চলুন জেনে নেই কামরাঙ্গার ঔষধি গুন গুলো।

কামরাঙ্গার ঔষধি গুণ= পুরনো এই প্রাচীন ফলটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধি ফল। এ গাছের ফল থেকে পাগল পর্যন্ত সময় হারবাল মেডিসিনের জগতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
  • কামরাঙ্গা শীতল টক ও মিষ্টি তাই ঘাম, কফ,বাতনাশক হিসেবে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
  • পাকা কামরাঙ্গা রক্ত অর্শের এক মহা ঔষধ
  • শুষ্ক এই ফলটির জ্বর এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় থাকে(জ্বর থাকা অবস্থায় মুখের রুচি ঠিক রাখে)
  • জন্ডিস ও স্কার্ভি নিবারণে কামরাঙ্গা অত্যন্ত ফলপ্রসূ ওষুধ হিসেবে কাজ করা হয়
  • কামরাঙ্গা গাছের পাতা ও কচি ফলের রসে ট্যানিন রয়েছে। এর কারণে এর রস রক্ত জমাট বাজাতে সাহায্য করে। তাই যদি আপনি পাতা বেটে ক্ষত বা কাটাই তাহলে লাগিয়ে দেন তাহলে আপনার রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
  • ডায়রিয়া ও জন্ডিসহ গুরুতর অসুস্থতার পর শারীরিক খতা কাটিয়ে উঠতে কামরাঙ্গা সাহায্য করে
  • ইন্দোচীনে এর পাতা চুলকানি এবং কৃমিনাশক ঔষধ রূপে ব্যবহার করা হয়।
  • ফ্রান্স ও গায়ানাতে কামরাঙ্গা ফলের রস আমাশয় রোগের ব্যবহার করা হয়।
  • এর কাঠ পিত্তশূলে এবং অতিসারে প্রয়োগ করা হয়। 
  • কামরাঙ্গার মূল(জড়) বিষনাশক হিসাবে ব্যবহার করা হয়।

কামরাঙ্গা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

সাধারণত ফল হিসেবে কাঁচা বা পাকা কামরাঙ্গা বেশ জনপ্রিয়। শুধু বাংলাদেশী নয় এশিয়ার অনেক দেশের ডায়াবেটিকসহ আরো কিছু রোগের চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে কামরাঙ্গা রস একসঙ্গে অথবা প্রতিদিন একটি করে নির্দিষ্ট পরিমাণে অনেকদিন ধরে পান করে থাকে। কামরাঙ্গায় নানান পুষ্টিগুণ রয়েছে সেটি আমরা একটু আগে আলোচনা করলাম। তার মধ্যে আরও বিশেষ দুইটি পুষ্টিগুণ রয়েছেঃ১(অক্সালিক অ্যাসিড) ২(ক্যারাম্বক্রিন)।
  • কামরাঙ্গায় থাকা এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির(অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
  • পাকা কামরাঙ্গা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে
  • ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে খেলে বমি বন্ধ হয়
  • এর পাতা ও কুচি ফলের রস এ রয়েছে ট্যানিন যা রক্ত জমাট বাজাতে সহায়তা করে
  • শুকনো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য অনেক উপকারী
  • কামরাঙ্গা আমাদের ত্বককে মসৃণ করে
  • এ পাতা ওর ডগার গুঁড়ো খেলে জলবসন্ত ও বক্র কৃমি নিরাময় হয়।
  • পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়
মনে রাখবেন কামরাঙ্গার সবার জন্য নিরাপদ নয়। ফলটি বেশি বিভিন্ন নামে পরিচিত। এর ফলটির উৎপত্তি মূলত শ্রীলঙ্কায়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়া ভারত মালয়েশিয়া ফিলিপাইন ইউরুপ আমেরিকার মহাদেশের চাষ হয় এবং এটি বিশ্বব্যাপী টক মিষ্টি ফলের হিসাবে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। কিছু উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ কামরাঙ্গায় উল্লেখযোগ্য আরো রয়েছে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন বি৯(ফোলেট)।
আমরা যারা এতখন ধরে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লাম তারা আমরা নিশ্চয়ই জানতে পেরেছি কামরাঙ্গার পুষ্টিগুণ ও কামরাঙ্গা উপকারিতা সম্পর্কে। আমরা কামরাঙ্গায় থাকা বিদ্যমান পুষ্টিগুণ গুলো তুলে ধরেছি এজন্য যারা এই পুষ্টিগুণ গুলোতে ভুকবেন তারা কামরাঙ্গা খেয়ে অল্প পরিমাণে হল তার ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।ব্রিঃদ্রঃ= অতিরিক্ত যেকোনো জিনিসই বিষ স্বরূপ তাই, আমাদের যেকোন জিনিস পরিমাণ মতো খাওয়া উচিত।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক,স্যার/ম্যাম আজকে আমরা আলোচনা করলাম টবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি ও কামরাঙ্গা উপকারিতা সম্পর্কে ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। আশা করছি আপনারা যদি মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনারা সম্পূর্ণ বিষয়টি সত্যের ওপর জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে যদি কোন ভুল ভাঙতে হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বলবেন। কারণ তাদের থেকেও আমাদের অনেক কিছু শিখার আছে।

আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের পরিচিতি ভালো লাগে তাহলে আপনি আপনার বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন এতে করে তারা উপকৃত হবে। আর আপনারা যদি এই সংক্রান্ত আরো কোনো বিষয় জানা থাকে তাহলে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দেবেন। আমরা আপনাদের অতি শীঘ্রই তা জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url