টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি ফলন ১০০% নিশ্চিত-আঙ্গুর চারা তৈরি
প্রিয় পাঠক,আজকে আমি আপনাদের জানাবো টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি। আপনারা অনেকেই আছেন যারা ছাদ বাগানে টবে আঙ্গুর চাষ করতে চান, কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে চাষ না জানার কারণে আপনারা আঙ্গুরের ফলন তেমন পান না। তবে আমাদের অনেকেরই জানা অজানা আছে যে বাংলাদেশের মাটিতে আঙ্গুর ফল তেমন মিষ্টি হয় না।
তাই আজকে আমরা আপনাকে জানাবো টবে আঙ্গুর চাষ করে ফলন ১০০% নিশ্চিত পাবেন কিভাবে। যেহেতু আমাদের দেশে বাণিজ্যিক ভাবে তেমন খুব বেশি পরিমাণে আঙ্গুর চাষ হয় না। তাই আমরা এই সম্পর্কে তেমন বেশি কিছু জানিনা।চলুন যেনে নেওয়া যাক টবে আঙ্গুর গাছ চাষ এর সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে।
সূচিপত্রঃনিজের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
ছাদে টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি
আমাদের সবার কাছে জনপ্রিয়ো একটি ফল হচ্ছে আঙ্গুর। কিন্তু এর চাষাবাদ তেমন বিস্তৃত নয়। আপনি চাইলে খুব সহজে আপনার বাসাবাড়ির ছাদ বাগানে অথবা বেলকনিতে খুব সহজে চাষ করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে প্রথমেই জানা লাগবে আঙ্গুর চাষের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে। কারণ সঠিক পদ্ধতিতে চাষ প্রক্রিয়া না জানলে আপনি ফলন ঠিকমতন পাবেনন না। তাই আজকে আপনাদের আমি টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতির সম্পন্ন সঠিক প্রক্রিয়াটি জানিয়ে দিব।
আঙ্গুর চাষের জন্য সর্বপ্রথম আপনার যেটা প্রয়োজন হবে সেটা হল একটি সুস্থ উত্তম আঙ্গুর গাছের চারা। এটা আপনি আপনার বাসার আশেপাশের যে কোন নার্সারি থেকে অথবা আপনার পরিচিত কোন আত্মীয়-স্বজনের থেকে নিতে পারেন। এরপর মাটি ও জলবায়ু এবং আঙ্গুরের ধরন আঙ্গুর চাষ করার সময় বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এক্ষেত্রে মাটি অবশ্যই শনিস্কাশি তো ও পুষ্টির সমৃদ্ধ মাটি হতে হবে। এতে করে গাছের পুষ্টিগুণ বজায় ঠিক থাকবে।
আরো পড়ুনঃটবে কামরাঙ্গা চাষ পদ্ধতি
উল্লেখিত উপকরণগুলো সঠিকভাবে সম্পূর্ণ করার পর আপনাকে একটি সুন্দর পাত্র নিশ্চিত করতে হবে। কারণ একটি গাছের জন্য একটি পাত্র আবশ্যক। আঙ্গুর চাষের জন্য পাত্র সাইজ ১৫-১৮ ইঞ্চি হল সবচাইতে উত্তম। আপনি চাইলে ১২ ইঞ্চি টবে লাগাতে পারেন। আবার আপনি যদি চান তাহলে টবে না লাগিয়ে ড্রামে লাগাতে পারেন। এরপর আপনাকে যা করতে হবে সেটি হল, গাছের জন্য আদর্শ মাটি তৈরি করতে হবে। যার জন্য বিভিন্ন উপকরণ লাগবে।
টবে আঙ্গুর গাছ চাষের জন্য সবচেয়ে আদর্শ মাটি হচ্ছে বেলে দোআঁশ মাটি। অন্য মাটিতেও এই গাছ হয় তবে ফলনের দিক বিবেচনা করলে বেলে দোআঁশ মাটি গাছের জন্য সর্বোত্তম। মাটি নিশ্চিত করার পর মাটির সঙ্গে কিছু জৈব সার মিশে নিতে হবে যাতে করে গাছ অনেক শক্তিশালী হয়। কারণ গাছ শক্তিশালী না হলে ফলনের আশা তেমন করা যায় না। আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের মাটিতে মিষ্টি আঙ্গুর মানে অবিশ্বাস্য কিছু। তবে হ্যাঁ,মিষ্টি আঙ্গুর জন্মানোও সম্ভব।
আপনি যদি সঠিক চারা নির্বাচন করে সঠিক পদ্ধতি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সঠিকভাবে পরিচর্যা করে গাছের যত্ন নেন তবে আপনার দ্বারা মিষ্টি আঙ্গুর ফলানো সম্ভব। আঙ্গুর একটি লতা জাতীয় গাছ তাই এর জন্য আপনাকে অবশ্যই মজা অথবা ছাউনি তৈরি করতে হবে। আপনি চাইলেই নিজে বাসা বাড়িতে জুতো দিয়ে ছাউনি তৈরি করতে পারেন। কারণ আঙ্গুর গাছের জন্য এটিও একটি প্রয়োজনীয় জিনিস। গাছ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে ডগা মেল হওয়া অনেক জরুরী।
উল্লেখিতএসব প্রক্রিয়াগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে উপস্থাপন করেন তাহলে এবার আপনি চারা লাগানোর জন্য প্রস্তুত। এতক্ষণ আমি আপনাদের জানালাম আঙ্গুর চাষ পদ্ধতিতে আপনার কি কি উপকরণ প্রয়োজন হবে। বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন মাটি প্রস্তুতকরণ করার সময় মাটিতে যেন কোনরকম আগাছা ঘাস পাচড়া না থাকে। না হলে এতে করে পরবর্তী সময়ে আঙ্গুর গাছের চারা বৃদ্ধিতে অনেক বাধা দিবে।
টবে আঙ্গুর চাষ গাছ লাগানোর পদ্ধতি
উপরের সব কাজগুলো সম্পূর্ণ করার পর এবার আপনার চারা লাগানোর পালা। আপনি আপনার নির্দিষ্ট পাত্রটি টব অথবা ড্রাম প্রস্তুত করা মাটি দিয়ে পরিপূর্ণ করে দিবেন। তবে হ্যাঁ,খেয়াল রাখবেন আপনার টব অথবা ড্রামের নিচে যেন ৫ থেকে ৬টি ছিদ্র থাকে। ছিদ্র করার কারণ অতিরিক্ত পানি যেন গাছের গোড়ায় জমে না থাকে। এরপর আপনি যে জায়গায় চারা লাগাবেন সেই জায়গাটার ৬ থেকে ৮ইঞ্চি মাটি সরিয়ে একটি সুস্থ আঙ্গুর গাছের চারা বসিয়ে দিবেন।
এরপর চারা লাগানোর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়ে গেলে গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে ভরাট করে দিবেন। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু পানি দিয়ে দিবেন। এরপর গাছ লাগানোর সময় কাল থেকে ফলন পাওয়ার আগ পর্যন্ত গাছের গোড়ায় কোন প্রকার আগাছা জন্মাতে দিবেন না,আর যদি আগাছা ঘাস পাচড়া বের হয় সেগুলো সব সময় সুন্দরভাবে পরিষ্কার করে দিবেন। এতে করে আপনার গাছ শক্তিশালী ও খুব দ্রুত বৃদ্ধি হবে এবং ফলন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে।
তারপর চারা লাগানোর উক্ত সময় থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন পর গাছের গোড়ায় হালকা পরিমাণে জৈব সার দিতে হবে। তবে হ্যাঁ, যুবসাত দেওয়ার আগে গাছের গোড়ার মাটিগুলো হালকা করে কুপিয়ে আলগা করে নিবেন। এতে করে স্যার গুলো মাটির সাথে সম্পূর্ণ রূপে মিশে গাছের পুষ্টি উপাদান তৈরি করতে বেশি সহায়তা পাবে। জৈব সার দেওয়ার পাশাপাশি গাছের গোড়ায় হালকা পরিমাণে বালু,ইটের কুচুরি,পচা গোবর,কোকোপিট এসব উপাদানগুলো সাথে দিবেন।
আরো পড়ুনঃআনারস চাষ পদ্ধতি
উল্লেখিত উপাদানগুলো দেওয়ার কারণে আপনার গাছের সুস্থতা সঠিকভাবে বজায় রাখবে। কারণ এই প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আমি আমার নিজের গাছ গুলোকে সুস্থ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে সাহায্য করি। এই প্রক্রিয়াটি আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। এরপর আপনি গাছ বেড়ে ওঠার সাথে সাথে গাছের ডগা যখন বেশি মেল ও বড় হতে থাকবে তখন আপনি গাছের জন্য সুন্দর ভাবে মাচা তৈরি করে দিবেন, যাতে করে সে সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
আঙ্গুর গাছের কাটিং পদ্ধতি
চারা লাগানোর পর গাছ বেড়ে ওঠার পর আঙ্গুর গাছের কাটিং অত্যন্ত জরুরী। আপনারা হয়তো এখন পর্যন্ত অনেক গাছেরই কাটিং সম্পর্কে জেনেছেন এবং কাটিং করলে কি হয় সেটাও জানেন। তারপরও আপনাদের সুবিধার্থে আবার বলে দিচ্ছি গাছের কাটিং করলে কাজ টি দ্রুত ফলন দেয় এবং গাছে পুরুষ ফুলের থেকে স্ত্রীর ফুলের পরিমাণ বেশি জন্ম নেয়। এতে করে আমরা, গাছ থেকে আসাযোগ্য ফলন পাওয়ার সম্ভাবনাই থাকি এবং কাটিং করলে তাই হয়।
আপনি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়লে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এখান থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে সঠিক উপায় আঙ্গুর গাছের কাটিং বা প্রুনিং করবেন। আঙ্গুর গাছের প্রুনিং বা কাটিং এর জন্য আদর্শ সময় হচ্ছে শীতকাল। আপনারা কিভাবে আঙ্গুর গাছের কাটিং করলে আঙ্গুর গাছের প্রচুর পরিমাণ ফলো পাবেন সেই সংক্রান্ত সম্পূর্ণ তথ্য এখন আপনাদের সাথে আলোচনা করব। দেরি না করে চলুন তাহলে যেনে করা যাকঃ-
আঙ্গুর গাছের কাটিং করার সঠিক সময় অথবা আঙ্গুল গাছের প্রুনিং করার আদর্শ সময় হচ্ছে শীতকাল। বিশেষ করে আপনি মাথায় রাখবেন শুধুমাত্র শীতকালে আঙ্গুর গাছের কাটিং করবেন। এছাড়া অন্য কোন মৌসুমে আপনি গাছের কাটিং করবেন না। শীতকালে আঙ্গুর গাছের পাতা বেশিরভাগই আস্তে আস্তে ঝরে পড়ে যাই, এতে আপনার ভয় পাওয়ার কিছুই নাই এবং পাতা ঝরে যাওয়ার জন্য হতাশ হয়ে গাছ তুলে ফেলে দেবেন না।
আঙ্গুর গাছের পাতা যখন সমস্ত ঝরে যাবে তারপর কিন্তু আপনি আঙ্গুর গাছের কাটিং করবেন। আঙ্গুর গাছের কাটিং কিভাবে করবেন এর আদর্শ কাটিং করার উপরে হবে আপনার আঙ্গুল গাছের ফলন। আঙ্গুর গাছের প্রুনিং বা কাটিং করবেনঃ-
- একটি সুন্দর ধারালো কাটিং মেশিন
- তারপর আঙ্গুর গাছের প্রধান ডাল মানে মোটা ডালটা রেখে তার সাইড দিয়ে বের হওয়া ডোগা গুলো ধরুন
- তারপর সে ডালের ডগা গুলো দুই ফাঁড়(দুইটা চোখ) রেখে মাঝে মাঝে কেটে ফেলুন
- এরপর কেটে দেওয়া ডোগা গুলোর আগালে অল্প পরিমাণে ফাঙ্গিংসাইট লাগিয়ে দিন
- এরপর আপনার কাজ শেষ, এভাবে খুব সহজেই আঙ্গুর গাছের কাটিং করতে পারবেন আপনি
আশা করি আপনাকে বুঝাতে পেরেছি কিভাবে আঙ্গুর গাছের কাটিং করবেন। এ বিষয়ে আলোচনার শুরুতে আপনাদের বলেছি কাটিং করার গুণাবলী সম্পর্কে। তাই শুধু চারা লাগানোর পর এবং ফল পাওয়ার পর্যন্ত শেষ নয় আপনার গাছ থেকে সঠিক পরিমাণে ফলন পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত মৌসুমে কাটিং করতে হবে। আপনি চাইলে এই সময় কাটিং করার অতিরিক্ত অপ্রয়োজনীয় ডালগুলো দিয়ে নতুন(কলম) চারা তৈরি করতে পারেন।
আঙ্গুর চারা তৈরি করার পদ্ধতি
প্রিয় পাঠক,আপনি যদি আঙ্গুর বীজ থেকে আঙ্গুর চারা তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে অবশ্যই একটি সুন্দর আঙ্গুর নিতে হবে এবং আঙ্গুরের বীজগুলো সংগ্রহ করে নিতে হবে। বীজ থেকে আঙ্গুরের চারা তৈরি করতে হলে অবশ্যই পরিপক্ক বীজ হতে হবে তবেই আপনি বীজ থেকে আঙ্গুর চারা গজাতে পারবেন তাই আপনাকে পরিপক্ক বীজ সংগ্রহ করতে হবে।বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হলে মাটির সাথে কোকপিট ও ভার্মি কম্পোস্ট এই দুটি সমান করে আপনাকে দিতে হবে।
আঙ্গুর বীজ থেকে চারা তৈরি খুব ভালো মানের হবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি সুন্দর টপ নিতে হবে এবং এই উপাদানগুলো দিয়ে দিতে হবে। বীজগুলো রোদে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা শুকিয়ে নিতে হবে শুকানোর পর বীজের মাথা গুলো ভেঙে দিতে হবে এতে করে দ্রুত বীজ থেকে চারা তৈরি হবে। ডিজে মাথা গুলো ভেঙে দেওয়ার পর তবে দেওয়া মাটির ভিতরে বীজগুলো হালকা একটু মাটির নিচে বেশি ভিতরে না এমন অবস্থায় দিয়ে পানি দিতে হবে।
এরপর আপনাকে এই টপ এমন একটি জায়গায় রাখতে হবে যেখানে দিনে তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত পরিমাণে রোদ পৌঁছায় এবং বাকি সময় গুলো ছায়া অবস্থায় থাকে। আপনি যদি নিয়মিত ভাবে এভাবে যারা গজানোর জন্য যত্ন নেন তাহলে ১৮ থেকে ২২ দিনের মধ্যে যারা গজাবে। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনি খুব সহজেই বীজ থেকে চারা গজাতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি আঙ্গুরের বীজ ছাড়াও আঙ্গুরের কাছ থেকে চারা তৈরি করে নিতে পারবেন।
এক্ষেত্রে আপনাকে পুরনো কোন সুস্থ মিষ্টি আঙ্গুরের গাছের ডাল প্রুনিং(কলম) করে যারা তৈরি করতে পারবেন। তবে ২০ থেকে চারা তৈরি করার থেকে কলম থেকে চারা তৈরি করার গাছে ফলন অনেক অংশে বেশি হয় এবং ভালো হয়। তাই আপনারা চেষ্টা করবেন অর্থ ঝামেলা না করে অন্য কোন গাছের ডালকে কলম করে ছাড়া বানিয়ে রোপন করার। এতে করে আপনার খুব অল্প সময়ে গাছ বেড়ে উঠবে এবং আশা যোগ্য ফলন পাওয়া যাবে।
টবে আঙ্গুর চাষে কীটনাশক প্রয়োগ
তোমার সময় ছাদ বাগানে যে কোন গাছে পোকামাকড় রোগবালাই অনেক দেখা দেয়। এর মধ্যে আপনি যদি আবার আঙ্গুর চাষ করেন তাহলে আঙ্গুর গাছেও পোকামাকড় বাসা বাঁধবে।টবে কাজগুলো বড় বড়ই মাটির গুনাগুন ও পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত থাকে। যেগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও উপকরণ দিয়ে তৈরি করে টবের দিতে হয় তারপর মাটির গুনাগুন ও পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। চলুন আপনাদের কীটনাশক প্রয়োগ সম্পর্কিত বিষয় বলিঃ-
- যখন আঙ্গুর গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দিবে তখন রিপকরড/ডেসিস ওষুধটি প্রতিলিটার পানিতে ১.৫ মি,লি করে মিশিয়ে এপ্রি করতে হবে।
- আঙ্গুর গাছে মুচি আসার পর প্রায় সব সময় দেখা যায় মুচি পুড়ে যায় বা কালো হয়ে যায় এমন অবস্থায় থেকে গাছকে বাঁচাতে হলে bavistin বা tilt প্রতি লিটার পানিতে ১.৫ মিলি করে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে
- অনেক সময় আঙ্গুর গাছের ফল অপুষ্টির জনিত ঘাটতির কারণে ঝরে পড়ে এবং বড় হতে চাই না এই অবস্থায় ফল ঝরা বন্ধ করার জন্য সঠিক মাত্রায় বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভেজি ম্যাক্স প্রতি লিটার পানিতে ২ থেকে ৩ গ্রাম মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- ভেজি ম্যাক্স ওষুধটি ব্যবহার করলে আঙ্গুর গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়
- আপনাদের গাছে যদি অন্য কোন রোগের সমস্যা দেখা দেয় সে বিষয়ে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের তা প্রতিরোধ করার বিষয় জানিয়ে দেবো।
আঙ্গুর গাছে ফুল আসার সময়
আঙ্গুর গাছ মূলত ৩২ থেকে ৩৬° সেলসিয়াসে খুব ভালো থাকে। প্রতিদিন গাছে ৪ থেকে ৫ঘন্টা রোদ পেলে অনেক সুস্থ থাকে। আঙ্গুর গাছ যে সময় নতুন নতুন কুশি বা আগাছা বের হতে শুরু করেন সে সকলের ডালে খুশির সঙ্গে সঙ্গে আঙ্গুর ফলও ফল বের হতে শুরু করে। ঠিক এই সময় আপনি আঙ্গুর গাছের পাতা খাওয়ার মত একটি রোগ দেখতে পাবেন এ সময় আপনার করণীয় হলো কীটনাশক ও ছত্রাক নাশক ঔষধ প্রয়োগ করা(উপরে উল্লেখিত)।
আরো পড়ুনঃটবে বারো মাসে সবজি চাষ পদ্ধতি ও উপকরণ
যাতে করে গাছের মরা পাতার মতো এই সমস্যা আঙ্গুর গাছে না থাকে। পাতা মরে যাওয়ার পাশাপাশি আঙ্গুর গাছে গুটি ঝরার মত সমস্যা দেখা দেয় এমন অবস্থায় আপনার করণীয় হলো প্রতি লিটার পানিতে ৫ থেকে ৭ ফোটা ক্লোনফিক্স(ওষুধটি একটি হরমোন জাতীয় ওষুধ) যা আঙ্গুর গাছে ফুলের প্রয়োগ করলে আঙ্গুরের গুটি ঝরার সমস্যা আর থাকবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন আঙ্গুর গাছে ফুল আসার সময় আপনার প্রয়োজনীয় গুলো কি কি।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনার বিষয় ছিল বাংলাদেশে টবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতি ও টবে আঙ্গুর গাছ লাগানোর পদ্ধতি চারা তৈরির পদ্ধতি ও আঙ্গুর গাছের কীটনাশক প্রয়োগ পদ্ধতি। আশা করি আপনি যদি আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো আপনি সঠিকভাবে সত্যের উপর জানতে পেরেছেন। আপনি যদি উল্লেখিত প্রক্রিয়াগুলো অনুসরণ করে টবে আঙ্গুর চাষ করেন তাহলে আপনি ১০০% নিশ্চিত ফলন পাবেন।
আজকের আলোচনার বিষয় থেকে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তবে আঙ্গুর চাষ পদ্ধতির বিষয়টি আরেক জনের সাথে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে তারা উপকৃত হতে পারে। আর এই সংক্রান্ত আরও যদি কোন তথ্য আপনার জানা থাকে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। আমরা অতি দ্রুতই চেষ্টা করব আপনাকে সে বিষয়ের সমাধান জানিয়ে দেওয়ার।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url