প্রতিদিন ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো জানতে চাচ্ছেন প্রতিদিন ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে।জী,আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন সঠিক তথ্য জানার জন্য। আজকে আমরা আপনাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রতিদিন ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব।
আজকের আর্টিকেলের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার নিয়ম। ছোলা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা, কিসমিস শুকনো ভিজিয়ে খাওয়ার উপকারিতা, খেজুর ও কিসমিস একসাথে খাওয়ার উপকারিতা। তাই চলুন দেরি না করে আপনাদের এসব বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে দেই।
সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার নিয়ম
আমরা সবাই ছোলা বাদাম কিসমিসের সাথে অনেক পরিচিত। এবং আমরা এটা প্রায় সবাই খেয়ে থাকি, কিন্তু কোন নিয়মে খেলে সবচাইতে বেশি উপকার মিলবে সেটা আমরা অনেকেই জানিনা। এই খাবারগুলো মূলত সবদিক থেকে পুষ্টি সমৃদ্ধ। আপনি যদি ছোলা বাদাম ও কিসমিস প্রতিদিন রাতে এক গ্লাস(৫০০ গ্রাম) পানিতে একসাথে ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে উঠে ২০ মিনিট হাঁটাচলা করার পর ভেজানো পানি খেয়ে নেন তাহলে আপনার শরীরে সারাদিনের জন্য ক্লান্ত দূর হয়ে যাবে।
তারপর পানি খাওয়ার পর আপনি ভিজিয়ে রাখা খাবারগুলো একসাথে মিক্স করে কয়েকবারে সম্পূর্ণটা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন আপনার সকালের ক্ষুধা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এবং আপনি শরীরে ফিল করতেছেন। তবে খেয়াল রাখবেন খাবার মাত্রা যেন বেশি না হয়। না হলে আবার হীতে বিপরীত হতে পারে। আপনি এর সাথে ৩থেকে ৪টি খেজুর যুক্ত করে ভিজিয়ে রাখবেন। দেখবেন আপনার ক্ষুধা সাথে সাথে নেমেছে শেষ হয়ে গেছে। আশা করি সম্পূর্ণটা বুঝতে পেরেছেন।
কিসমিস খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
কিসমিস আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি খাবার। বিজনেস আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। আমরা কখনো পায়খানা করার সময় সাথে কিসমিস,পোলাও রান্না করার সময় সাথে কিছু কিসমিস দিই,বিরানি রান্না করার সময় কিছু দিই,আবার আমরা তো এটিকে খালি মুখেও বেশি খেয়ে থাকি। এভাবে খাওয়া যায় কিন্তু এভাবে খাওয়াটা অনেকটাই ভুল, কিসমিস খাওয়ার আদর্শ নিয়ম হলো আহরনের আগে কিছুক্ষণ কিসমিস ভেজিয়ে রাখা।
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা= আমরা চিনি থেকে যে গ্লুকোজ পাই তার থেকে কিসমিসে গ্লুকোজের খাদ্যমান অনেক বেশি। আমাদের যাদের ও ডায়াবেটিস অনেক হাই তাদের জন্য চিনি যেরকম একেবারেই নিষেধ। অন্যদিকে আবার কিসমিস থেকে পাওয়া মিষ্টি ও গ্লুকোজের কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না, বিষয়টা কি রকম আশ্চর্যজনক না। তবে হ্যাঁ,এটাই সত্যি। তবে আমাদের সরাসরি কিসমিস গ্রহণ করা মোটেও উচিত নয়। অতিরিক্ত কিসমিস আমাদের শরীরে গরম ভাব বয়ে আনে।
আরো পড়ুনঃআখরোট ও মধু মিশ্রণের উপকারিতা সম্পর্ক
একটু আগে আমরা চেয়ে নিয়মটা বললাম ওই নিয়মে অর্থাৎ কিসমিসকে কিছুক্ষণ পানিতে ভিজিয়ে তারপর খাওয়া উচিত। করে কিসমিসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পানিতে যেমন- লৌহ,ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম,বোরন ইত্যাদি মিশে যায় আর এই পানি খেলে আমাদের রক্ত পরিশুদ্ধ হয় এবং শরীরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হিসেবে কাজ করে। কিসমিসে থাকা লৌহ উপাদানটি আমাদের রক্ত উৎপাদনে প্রধান ভূমিকা হিসেবে কাজ করে।
তাছাড়াও কিসমিসে থাকা আরো উপাদান যেমন পূরণ আমাদের শরীরের হাড় গঠন ও হাড় করনে ভূমিকা পালন করে। আপনারা যারা হাড়জনিত সমস্যায় আছেন তারা প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করার পর কিসমিস ভিজিয়ে খালি পেটে খেতে পারেন।এতেকরে সম্পূর্ণটা না হলেও কিছুটা পরিমাণ আপনি সুস্থতা অনুভব করবেন ও উপকৃত হবেন। নিয়মিত কিসমিস খেলে আমাদের ত্বককে মসৃণ করে তুলে। এছাড়াও ক্যান্সার ও টিউমারের মত বড় বড় রোগ থেকে রেহায় পাওয়া যায়।
আমাদের অনেকে সবচাইতে একটি বড় সমস্যা হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। এই সমস্যায় ভোগান্ত দের অনেক কষ্ট ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু আপনারা কি জানেন, এই সমস্যা দূর করার জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে ১০থেকে ১৫টি কিসমিস ভিজিয়ে রেখে প্রতিদিন সকালে খাবেন। দেখবেন এই সমস্যা আপনার চিরতরে চলে যাবে। আপনি এটা কয়েকদিনের মধ্যেই ফলাফল দেখতে পাবেন ৭ থেকে১০ 10 দিনের মধ্যে।
ছোলা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বর্তমান সময়ে আমাদের সব মানুষদেরই প্রায় শরীরে কোনো না কোনো একটা সমস্যা দেখা দেয়। আর আমরা এতে করে সরাসরি ডক্তরের কাছে চলে যায় এ থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য। কিন্তু আমরা একবারও নিজে ঘরে বসে ঘরোয়া উপায়ে কোন কিছু চেষ্টা করি না ঠিক হওয়ার জন্য। আমরা চাইলে এরকম বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে ধারণা নিয়ে ঘরোয়া উপায় অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। চলুন ছোলা বাদাম খাওয়ার নিয়ম উপকারিতা সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত বলি।
কাঁচা ছোলা ও কাঁচা বাদামে অনেক উপকার রয়েছে। এই দুইটি জিনিস আমাদের সকলেরই চেনা। যারা বেশিরভাগ মানুষই আছেন যারা এই দুইটা ভিজে কাঁচা খেতে মোটেও পছন্দ করেন না এর কারণ কাঁচা অবস্থায় এটা খেতে কিছুটা অস্বাদের মত লাগে। কিন্তু কাঁচা অবস্থায় খোলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এটির সাথে যদি এক টুকরা আদা খাওয়া যায় তাহলে এটি এন্টিবায়ক হিসেবে কাজ করে থাকে। চলুন কাঁচা ছোলার বাদাম খাওয়ার উপকারিতা বিস্তারিত জানি।
ছোলায় বিদ্যমান রয়েছে ভিটামিন সি ভিটামিন বি আইরন ম্যাগনেসিয়াম পটাশিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো উপকারী ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। এছাড়াও ছোলাই বিদ্যমান থাকা প্রোটিন আমাদের শরীরের আমিষের অভাব পূরণে বেশ সহায়তা করে। অন্যদিকে বাদামে রয়েছে ভিটামিন বি আয়রন ম্যাগনেসিয়াম ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম সোডিয়াম ফ্যাট এবং একাধিক জরুরি উপাদান। এছাড়াও বাদামী কিছু পরিমাণে ওমেগা থ্রি নামক ফ্যাটি এসিড থাকে।
আরো পড়ুনঃ শরীর ঠিক রাখতে সকালের২০টি ব্যায়াম ও নিয়ম
আর এই ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা থেকে শুরু করে হৃদরোগ প্রতিরোধ করা পর্যন্ত সাহায্য করে। অনেক পুষ্টিবিদদের মতে বাদামো ছোলা উভয়ী অত্যন্ত উপকারী খাবার। আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ঝোলা ও বাদাম রাখলে শরীর সুস্থ ও সবল ও সতেজ থাকবে। আমাদের দেহের নতুন কোষ তৈরি থেকে শুরু করে বেশি গঠন করার মত কাজও করে উপকারী ছোলা ও বাদাম। তাই আমাদের নিয়মিত প্রতিদিন ছোলা ও বাদাম খাওয়া উচিত।
খালি পেটে কাঁচা ছোলা খাওয়ার উপকারিতা
আপনারা যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি উপর থেকে মনোযোগ দিয়ে পড়ে আসেন তাহলে অন্তত একটু হলেও জেনেছেন কাঁচা ছোলার উপকারিতা কি। কাঁচা ছোলার সম্বন্ধে আমাদের অনেকেরই জানা আছে। ১০০ গ্রাম ছোলাতে ৮০ গ্রাম আমিষ বিদ্যমান উপস্থিত থাকে। এতে কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট ইত্যাদি বিদ্যমান রয়েছে। আপনাদের সুবিধার্থে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগের সমস্যার সমাধানের জন্য খালি পেটে ছোলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বর্ণনা করা হলোঃ-
- হৃদরোগের ঝুঁকি কম করে= নিয়মিত ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের দূষিত কোলেস্টেরল অনেক অংশে দূর হয়ে যায়। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় এই দুইটি আঁশ ছোলাতে বিদ্যমান থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।
- রক্ত চলাচল= নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের পায়ের আর্টারিতে দ্রুত গতিতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি হয়।
- ক্যান্সার রোগ প্রতিরো= প্রতিদিন নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাওয়ায় একটি ক্যান্সার প্রতিরোধের মূল ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে এটি নারীদের কোলন ক্যান্সারের প্রতিরোধে বেশি সাহায্য করে থাকে।
- এলার্জি কমাতে= কাঁচা ছোলাই থাকা বিদ্যমান ফলিক এসিড থাকার কারণে আমাদের দেহের বিভিন্ন এলার্জি কমাতে সাহায্য করে। এই ফলিক অ্যাসিড আমাদের শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা= আপনি যদি দৈনিক খালি পেটে কাঁচা ছোলা খান তাহলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে। এছাড়াও কাঁচা ছোলা নিয়মিত খাওয়ায় আমাদের শরীরের হাড় গুলোকে শক্তিশালী করতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
- হজম শক্তি= হজম শক্তি বাড়াতে কাঁচা ছোলা খাওয়ায় যথেষ্ট উত্তম। হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, এই কাঁচা ছোলা।
- ব্যথা কমায়= আমি তো কাঁচা ছোলা ফেটে খাওয়ার ফলে আমাদের দেহের মেরুদন্ডের ব্যথা অনেকাংশেই কমে যায়। এতে ভিটামিন বি থাকাই মেরুদন্ডের ব্যথা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ভূমিকা পালন করে।
- যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে= নিয়মিত কাঁচা ছোলা খাওয়ার ফলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়।
কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা
বর্তমান সময় বিভিন্ন ধরনের বাদাম রয়েছে। কিন্তু চিনা বাদাম হলো অন্যতম পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি বাদাম। এই বাদাম মূলত অনেক রকম ভাবেই খাওয়া যায়। আমাদের দেশে প্রচলিত এই বাদামটি বেশি ভেজে খাওয়া হয় এবং সাধু বেশি পাওয়া যায় এজন্যে সবাই ভেজে খেতে চাই। এছাড়াও এ বাদাম বিরিয়ানি পোলাও, সেমাই, পায়েস ইত্যাদি কয়েক জায়গায় ব্যবহার করে খাওয়া হয়। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা এই কাঁচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা কি।
কাঁচা বাদামে বিদ্যমান থাকা পুষ্টি সমৃদ্ধ উপাদানগুলো আমাদের দেহের অনেক উপকার করে। থাকে আমরা কাঁচা বাদাম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের আর্টিকেল শুরুতেই বলেছি। চলুন এবার আপনাদের কাচা বাদাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে বলে দিই।
- কাঁচা বাদাম পুষ্টিকর এবং শরীরের শক্তি ও উদ্দীপনা বজায় রাখতে সাহায্য করে
- সাধারণ পেটের রোগ ও ক্ষত নিরাময়ে অনেক উপযোগী কাঁচা বাদাম
- স্নায়বিক দুর্বল ও চিত্ত চাঞ্চল্য চক্ষুরোগে হিতকর
- প্রসূতির স্তন্যদুগ্ধ বৃদ্ধি কারক
- মূত্রাশয়ের রোগের নিরাময়কারী
- শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর
- স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়
- চোখের জন্য বেশ উপকারী
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে চিরতরে নিরাময়।
- বাদাম পেস্ট দুধের সঙ্গে নিয়মিত খেলে তা পুষ্টিতে সহায়তা হয় এবং মানসিক শক্তিবর্ধক। এটি আপনার হালকা খাবারের নাস্তার একটি অন্যতম খাদ্য। খেলেই সাময়িক সময়ের জন্য ক্ষুধা মিটে যায়
- কাজা বাদাম খাওয়ার ফলে আপনার ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
খেজুর ও কিসমিস একসাথে খাওয়ার উপকারিতা
আমরা এতক্ষন ছোলা বাদাম কিসমিস এগুলো কিভাবে খায় খাওয়ার উপকারিতা খাওয়ার নিয়ম কোনগুলো কোনটা খেলে কি উপকারিতা হয় এসব বিষয়ে জানলাম। কিন্তু আপনারা কি জানেন এগুলোর মতই আরেকটি খাবার আছে যেটা আপনাকে আপনার শরীরের শক্তি বৃদ্ধি হতে সহায়তা করবে এবং নিয়মিত প্রতিদিন খেলে আপনার শরীরের ক্লান্তিটা দূর করবে। চলুন আপনাদের জানিয়ে দেই খাবারটা কি ও খাওয়ার উপকারিতা কি।
খাবারটি আপনাদের অতি পরিচিত। খাবারটি হল খেজুর ও কিসমিস। আপনারা হয়তো ভাবছেন খেজুর কিসমিস খেলে কেমন আবার কি হয়। কিন্তু যারা জানে তারা এটাকে তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি খাবার হিসেবে বেছে নিয়েছে। তাই আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আপনারাও এখনই জেনে নিন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং একসাথে খেজুর ও কিসম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ লটকন খাওয়ার ৫টি কার্যকারিতা উপকারিতা
খিচুড়ে আছে প্রচুর পরিমাণে শক্তি এমাইনো এসিড শর্করা ভিটামিন ও মিনারেল। খেজুর আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় গ্লুকোজের ঘাটতি যোগান দিতে সাহায্য করে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক খেজুরের মধ্যে থাকা পোস্টিং হলো স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ-
- কোলেস্টেরল এবং ফ্যাট= খেজুরে কোন কোলেস্টেরল এবং চর্বি বাড়তি পরিমাণ থাকে না। তাহলে আপনি যখনই খেজুর খাওয়া শুরু করবেন তখন থেকেই আপনি অন্যান্য ক্ষতি কারক চর্বি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে পারবেন
- প্রোটিন= আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন অনেক জরুরি। খেজুর হল প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি খাবার। আমাদের বেশি গঠন করতে সহায়তা করে এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য খুব অপরিহার্য প্রোটিন সরবরাহ করে
- ভিটামিন= খেজুরে বিদ্যমান রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। ভিটামিন ব১ ভিটামিন বি২ ভিটামিন বি৩ ও ভিটামিন বি৫ বিদ্যমান আছে। এবং ভিটামিন সি পাওয়ার আরও একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে খেজুর
- এছাড়াও দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে খেজুর বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। রাতকানা রোগ প্রতিরোধ খেজুর অত্যন্ত কার্যকারী
- আয়রন= আমাদের মানব দেহের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আর এই খেজুরে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে রয়েছে। খেজুর খাওয়ার ফলে আমাদের হৃদপিন্ডের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
- আপনাদের যাদের দুর্বল হার্ড আছে তারা খেজুর খেতে পারেন তাদের এই অসুস্থতার জন্য খেজুর হতে পারে সবচাইতে বড় নিরাপদ ঔষধ।
- ক্যালসিয়াম= ক্যালসিয়াম হার গঠনে আমাদের দেহে অনেক সাহায্য করে। আর খেজুরের পরিমাণ আমাদের শরীরে হাড় কে মজবুত করে
- খেজুর শিশুদের মাড়ি শক্ত করত সহায়তা কর
- ওজন কমাতে= মাত্র কয়েকটা খেজুর কমে দিতে পারে আমাদের ক্ষুধার জ্বালা এবং পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। কয়েকটা খেজুরই কিন্তু আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয় আর এর ফলে আমাদের শরীরের ওজন অতিরিক্ত ওজন কমে যায়।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে= খেজুর আছে এমন সব পুষ্টিগুণ যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। কখনো কখনো ডায় এটি অনেক উপকারী হয়ে থাকে
- রক্তশূন্যতা প্রতিরো= বর্তমান সময়ে দেখা যায় আমাদের অনেকেরই রক্তশূন্যতায় ভোগান্তি হয়ে থাকে। প্রচুর মিনারেল সঙ্গে আয়রন থাকার কারণে সে যে রক্তশূন্যতার রোধ করতে অনেক কার্যকরী। তাই আপনাদের যাদের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম তারা নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন এবং এটি খেতে হবে সকালে
- হৃদরোগ প্রতিরোধ= খিচুড়ি বিদ্যমান রয়েছে পটাশিয়াম বিভিন্ন ধরনের প্রতিরোধ করে এবং স্টকে ঝুঁকি কমায়। বিভিন্ন গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছি যে, চোর শরীরে খারাপ ধরনের কোলেস্টেরল কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল পরিমাণ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- তাই আমাদের উচিত শুধু রোজার মাসে খেজুর না খেয়ে প্রতি বছরে নিয়মিত দৈনিক ৩ থেকে ৫টা খেজুর সকালবেলায় উঠে প্রতিদিন খাওয়া।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনার বিষয় প্রতিদিন ছোলা বাদাম কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করি আপনাকে এসব বিষয়ের উপর সত্যের ওপর জানাতে পেরেছি এবং আপনিও বুঝেছেন। সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে এটাই বুঝা যাচ্ছে যে আপনি যদি নিয়মিত এসব খান তাহলে আপনার শরীরের রোগের ঝুঁকি ও মাত্রা অনেক কমে যাবে। এজন্য আপনি উপরে আলোচনা করা বিষয়গুলো মেনে নিয়মিত এসব খাবার গুলো খান।
আশা করা যায় এসব খাবারগুলো যদি আপনি প্রতিদিন নিয়ম মেনে নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে যা যা বলা হয়েছে তা আপনার সম্পূর্ণরূপে ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক জিনিসেরই ভালো ও খারাপ আছে সেহেতু সব খাবার পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। এসব খাবারের তেমন অপকারিতা নাই বললেই চলে। তাই এমন আরো পুষ্টিকর খাবার জানতে চাইলে আমাদের অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে জাবেন। আমরা আপনাদের সব কিছু তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url