নিম পাতার ৫টি কার্যকারী উপকারিতা সম্পর্কে জানুন

চর্মরোগ বা চর্মরোগে নিম পাতা খুবই উপকারী। এই নিম গাছের শিকড় থেকে শুরু করে পাতা,ফুল,বীজ, ছাল-বাকল,কাঠ,তেল এগুলোর মধ্যে এমন সব উপাদান ও গুণ রয়েছে যা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রোগ এড়ানো সম্ভব। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গল বৈশিষ্ট্যযুক্ত নিম সব সময় ত্বকের রোগেও ব্যবহৃত হয়।

নিম পাতার ৫টি কার্যকর উপকারিতা সম্পর্কে জানুনআমরা অনেকেই নিম পাতার সঠিক ব্যবহার জানিনা। গাছটির ফল এবং পাতা খেতে তিতো হলেও উপকার কিন্তু অনেক গুন মিষ্টি। তাই আসুন আজকে আমরা নিম গাছের সকল গুনাগুন সম্পর্কে জানব। নিম পাতার ৫টি গোপনীয় উপকার সম্পর্কে জানুন।

সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পরতে চান ক্লিক করুন

চর্মরোগে নিম পাতার ব্যবহার জানুন

চর্মরোগ এক ধরনের মারাত্মক রোগ। আমাদের অতি পরিচিত একটি রোগ হল চর্মরোগ। এই রোগটি কমবে বেশি সকলেরই হয়। চর্মরোগ হবার বিশেষ কোনো কারণ নেই তবে বিশেষজ্ঞরা বলে, দুটি কারণে চর্মরোগ হতে পারে, এক আবহাওয়া জন্য এবং দুই ধুলাবালির জন্য। চর্মরোগ হল একটি মারাত্মক রোগ যা একসময় স্কিন ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়ে দাঁড়ায়। এমন মারাত্মক রোগ থেকে আপনি কিভাবে সহজে রক্ষা পাবেন এ বিষয়ে জানতে চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।

বলা হয়ে থাকে যে বর্ষায় চর্মরোগ খুব বেশি হয়। বর্ষায় আদ্রতার কারণে চর্মরোগ সহজেই ছড়ায় বা হতে পারে। এ ধরনের ত্বকে নিম ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের সংক্রমণের সর্বোত্তম চিকিৎসা হলো নিমের পেস্ট ব্যবহার করা। তাই বর্ষায় চর্মরোগ এড়াতে চাইলে পরিষ্কার শুকনো জামাকাপড় পড়তে হবে এবং হাত পা বারবার বোঝাতে দেওয়া যাবে না। কারণ বেশি জল সংস্পর্শে থাকলে দ্বাদশ চুলকানি সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে। চর্মরোগ বা চর্মরোগে নিম পাতা খুবই উপকারী।

নিমে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুন। এই গাছের শিকড় থেকে শুরু করে পাতা ফুল বীজ বাকল কাঠ তেল এমন সব ধরনের গুণাবলী রয়েছে যা ব্যবহার করার ফলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ এড়াতে সম্ভব। ০-১০ গ্রাম নিমের ছাল এবং নিমের পাতা ও বীজ একসঙ্গে পিষে ভালো করে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর যেখানে আপনার ত্বক সংক্রান্ত রোগ বা চুলকানি অথবা দাদ হয়েছে সেখানে ভালো করে লাগান। দেখবেন এটি আপনাকে সাথে সাথে তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেবে।
চর্ম রোগের জন্য নিম পাতা অনেক বেশি কার্যকরী কারণ নিম পাতায় আছে হাজারো ঔষধি গুনাগুন যার চর্ম রোগের বিরুদ্ধে অনেক কঠোর ভাবে কাজ করে এবং চর্মরোগকে দূর করতে সহায়তা করে। আপনার যদি চর্ম রোগের সমস্যা থাকে তাহলে আপনি নিয়মিত এই নিমপাতার রস কিংবা পেস্ট ব্যবহার করবেন এবং এভাবে ১ থেকে ২সপ্তাহ দিনে তিনবার থেকে চারবার আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করবেন এতে আপনি খুব দ্রুত জন্মরোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রায় 40 থেকে 45 শতাংশ মানুষের চর্মরোগ আক্রান্ত। এমনও হতে পারে যে চর্মরোগ অনেক সাধারন সমস্যা তবুও এটি অনেক অস্বস্তিকর এবং কষ্ট করে একটি রোগ। চর্মরোগ হবার দুটি কারণ আপনাদের একটু আগে উপরে বললাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধুলাবালির জন্য শরীরের চর্ম রোগের বাসা বাঁধে এবং এই জন্য চেষ্টা করবেন সবসময় নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা। আপনার বাচ্চাদের কি পরিষ্কার রাখুন এতে আপনার ফ্যামিলিতে চর্মরোগ ছড়াতে পারবেনা।

মূলত চর্মরোগটি হচ্ছে একটি ছোঁয়াচে রোগের মত যা একজন থেকে আরেকজনের কাছে খুব সহজে ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকটি চর্মরোগ যে সাধারণ ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয়, অনেক জন্মরোগ মারাত্মক হয় যেখানে জীবনের ঝুঁকে অব্দি হয়েছে তাই এখন থেকেই অতি সতর্কবান হয়ে থাকুন এবং চর্মরোগ দূর করার জন্য সবচাইতে ভালো ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিমপাতা। নিম পাতা সাহায্যে আপনি অনায়াসেই চর্ম রোগ দূর করতে পারবেন খুব সহজে।

চর্ম রোগে নিম পাতা যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ-এমন একটি অলৌকিক পাতা এতে রয়েছে হাজারও ঔষধি গুনাগুন, এই পাতা আপনার চমরোগ দূর করতে পারে। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যার চর্ম রোগের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে কাজ করে এবং চর্মরোগকে দূর করে কিন্তু চর্মরোগ থেকে রেহাই পেতে নিমপাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন চলুন জেনে আসি। যেভাবে ব্যবহার করবেনঃ-
  • আপনার অথবা আপনার ফ্যামিলি যদি কারো চর্মরোগ থাকে তাহলে নিয়মিত এক গ্লাস সমান নিম পাতার রস পান করবেন। আপনি যদি চান তাহলে তে তো দূর করার জন্য এক থেকে দুই চা চামচ পরিমাণ মধু মিশ্রিত করতে পারেন।
  • আবার আপনি সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ বার নিম পাতা পিষ পেস্ট বানিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখবেন।তারপর ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর সেটি হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
  • আপনি চাইলে নিম পাতার গুনাগুন বাড়ানোর জন্য নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ দিয়ে পিষে পেস্ট বানিয়ে আপনার আক্রান্ত দেশ থেকে লাগাতে পারেন এটি অনেক কার্যকরী হয়ে থাকে চর্ম রোগের জন্য।
  • আপনি চাইলে নিম পাতার বড়ি খেতে পারবেন। বরি খেলে পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব। নিম পাতার ব্যবহারে চর্মরোগ দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে সমস্ত রোগ বালাই দূর হয়।
আপনি যদি উপরোক্ত উল্লেখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করেন এবং চর্মরোগ থেকে পরিপূর্ণভাবে রেহাই পেতে এসব কাজগুলো আপনি ঠিক মতো করে থাকেন তাহলে আপনি খুব সহজে চর্মরোগ থেকে রেহাই পেয়ে যাবেন এবং আপনাকে আর ডক্টরের কাছে যেতে হবে না আপনি নিজেই তা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার জানুন

বর্তমানে আমাদের প্রত্যেকের শরীরে নানান ধরনের এলার্জি থাকে। এসব এলার্জি প্রতিরোধে নিম পাতার ব্যবহার অনেক উপকারী। এলার্জি দূর করতে নিম পাতার অনেক কার্যকরী, নিমপাতায় রয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক ঔষধি গুনাগুন যা অ্যালার্জি নিমেষে দূর করতে সক্ষম। নিম গাছের পাতা বেটে তার সাথে সামান্য পরিমাণ কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে আপনার এলার্জির জায়গাতে লাগালে ৮ থেকে ১০ দিনের মধ্যে তা প্রতিরোধ হবে।
শরীরে যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি দেখা দেয় তখন শরীরে অ্যালার্জি নামক সমস্যাটি হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় ৮০% মানুষ এই অ্যালার্জি তে আক্রান্ত। এটি তেমন একটা কোন বড়সড়ো রোগ নয় তবুও এটি অনেক অস্বস্তি করে একটা রোগ। এলার্জির জন্য হাত পা চুলকানি সৃষ্টি হয় এবং অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা যায় প্রত্যেকটি এলার্জি যে সাধারণ তেমন কিন্তু নয় অনেক এলার্জি আছে যা মানুষের শরীরলে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে।

এজন্য আগে থেকে একটু সাবধানতার সাথে চলাফেরা করবেন এবং এলার্জি হলে অ্যালার্জি দূর করার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে অ্যালার্জি দূর করতে চান তাহলে আপনার নিমপাতা ব্যবহারের প্রক্রিয়াটি হবে সর্বোত্তম। কারণ নিম পাতার মাধ্যমে আপনি এক মাসের মধ্যেই আপনার অ্যালার্জি দূর করতে পারবেন। কোথায় রয়েছে এতসব এমন গুনাগুন যা এলার্জির বিরুদ্ধে এমন কঠোরভাবে কাজ করে দূর করতে সক্ষম।

আপনাদের যাদের অ্যালার্জি আছে তারা অ্যালার্জি থেকে রেহাই পেতে দৈনিক প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস নিমপাতার রস অথবা শরবত খাবেন। আপনি যদি চান তাহলে নিমপাতার গুঁড়ো করে রেখে দিয়ে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে ২ চা চামচ পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে মিক্স করে খেতে পারেন। আশা করছি আপনি ঠিকমতো বুঝতে পেরেছেন এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার জানুন

আপনাদের যাদের মুখে অনেক ব্রণ আছে তাদের ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য নিমপাতা বিশেষভাবে উপকার করে থাকে। আপনার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হয়েছে? কোন কিছুতেই ব্রণ দূর হচ্ছে না? অনেক কসমেটি আপনি এর থেকে নিরাময় পাচ্ছেন না? ব্রণ আজকাল আমাদের প্রায় সবারই একটি কমন সমস্যা। তহবিল নানান কারণে তাকে ব্রণ দেখা দেয় এবং একটু ধুলাবলি লাগলেই ত্বক চুলকাতে চুলকাতে সেখানে ব্রণের সৃষ্টি হয়।

ব্রণ উঠলে যেমন ব্যাথা হয় তেমন আমাদের আশেপাশের নানান মানুষদের নানান রকম কথাও শুনতে হয়। তাই আজকে আপনাদের সাথে ব্রণ দূরের জন্য নিম পাতার একটি গোপনীয় টিপস শেয়ার করব। যার মাধ্যমে আপনি ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দূর করতে পারবেন। চলুন তাহলে আপনাদের বলি ব্রণের  জন্য নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কেঃ-

নিম পাতা ও টক দইঃ-নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ার উপাদান আমাদের ত্বকের ভেতর থেকে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। মূলত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে আমাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যার দেখা দেয়। আর এই ব্রণের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনি একটি ঘরোয়া বুদ্ধি ব্যবহার করতে পারেন তা হল টক দই ও নিম পাতার ফেসপ্যাক অথবা পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।

নিম পাতার রস ব্যবহারঃ-আমরা আপনাদের একটি কথা বারবার বলে যাচ্ছি নিম পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান একটি আপনি সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন, এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের ব্রণের সমস্যা খুবই সহজেই দূর করবে। তাই চাইলে আপনি নিম পাতার রস বের করে সরাসরি মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে তার সম্পূর্ণ মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিবেন। এভাবে ব্যবহারের ফলে আপনার ব্রণ অতি দ্রুতই দূর হবে।

নিম পাতা ও হলুদের ব্যবহারঃ-নিম পাতার এত কার্যকারিতার পাশাপাশি আপনি যদি একটু পরিমাণ তার সাথে হলুদ মিশিয়ে দিন তাহলে এর ফলাফল আরো বেশি ভালো হবে। হলুদ নিমপাতা এক ত্বকের ব্রণ খুব সহজে দূর হয় ও কালচে ভাব দূর হয়। হলুদ ও নিম পাতায় অ্যান্টি-অক্টেরিয়াল উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে যা আমাদের ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং এর ফলে পকেটে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায় এবং পূরণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

চুলের যত্নে নিমপাতার ব্যবহার জানুন

বর্তমান সময়ে চুল ঝরে যাওয়া আমাদের সবার একটি বড় ধরনের সমস্যা। আমরা অনেকেই অল্প বয়সে চুলের নানান ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকে। চুল ঝরে পড়ছে চুল পড়া কোন কিছুতেই কমছে না আজকাল এই সমস্যাটি সবারই রহিয়াছে। চুল পড়ে যাওয়া চুলে খুশকি হওয়া অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়া সহজ আরও নানান ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের। চুল পড়া সমস্যা নেই এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল ব্যাপার।

আমরা প্রায় সকলেই এই চুল পড়ার সমস্যার ভুক্তভোগী বিভিন্ন কারনে পড়তে পারে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন ও অসুস্থতার খাবার অথবা নোংরা ময়লা পানি দিয়ে গোসল করার জন্য চুল পড়তে পারে। এই সকল সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে নিমপাতার উপকারিতা রয়েছে অপরিসীম। নিম পাতায় ফলে আমাদের চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে আমরা খুব সহজে রক্ষা পেতে পারি। নিম পাতার ব্যবহারের ফলে আমাদের মাথার খুশকি সমস্যা দূর হয়।
আমরা কে না চাই আমাদের চুলগুলো অনেক বড় এবং দৃষ্টিনন্দন হোক। চকচকে উজ্জ্বল ও দৃষ্টিনন্দন চুল পেতে নিমের পাতার ব্যবহার অপরিসীম।মাথায় শ্যাম্পু ব্যবহার করার সময় নিমের পাতা সেদ্ধ করে পানি দিয়ে হালকা করে মেসেজ করলে এর কিছুক্ষণ পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের সব ধরনের খুশকি দূর হয়ে যায়। আপনারা যদি প্রতি সপ্তায় ২-৩ দেন কাঁচা নিমের পাতা ভালো করে পিষে চুলের মধ্যে মেসেজ করে লাগন।

তাহলে এর কিছু সময় পর অন্তত একঘন্টা পর ভালোভাবে গোসল করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে এবং এভাবে সপ্তাহে কয়েকবার করার ফলে আপনার চুলের গোড়া অনেক শক্ত হয়ে যাবে। আপনারা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চুল নরম ও চকচকে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে তাছাড়া নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে চুল পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। নিমপাতা প্রকৃতি কন্ডিশনার হিসেবে চুলে ব্যবহার করা যায়। চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতার কোনো কমতি নেই।

খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মূলত প্রাচীন যুগ থেকেই আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র ও কবিরাজী শাস্ত্রে নিম পাতা বিশেষভাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। নিমহাতা ব্যবহার ফলে কোন ধরনের সাইড ইফেক্ট হয় না আমাদের শরীরে। আমরা অনেকেই জানিনা খালি পেটে নিম পাতার রসের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। নীল পাতার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ঔষধি গুনাগুন যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

আমরা সবাই এখন দৈনন্দিন জীবনে প্রতিনিয়ত ফাস্টফুড ও উচ্চ কোরেস্টেরল যুক্ত খাবার খায় আর এই খাবার খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগের সৃষ্টি হচ্ছে এর মধ্যে প্রধান হচ্ছে ডায়াবেটিস। পুরো পৃথিবীসহ আমাদের দেশেও ডায়াবেটিসের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং একজন সাধারণ মানুষ এখন ভেষজ গুণের পেছনে ছুটছে। তাই আসুন আমরা খালি পেটে নিম পাতা খাওয়ার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জানিঃ-
  • প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ঘুম থেকে উঠে এক চা কাপ সমপরিমাণ নিম পাত আমাদের রক্ত শর্করার মান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
  • আবার নিম পাতার অনেক বড় একটি ঔষধি গুনাগুন আছে যা আমাদের শরীরে প্রবেশ করালে শরীরের রক্ত পুরোপুরি ভাবে পরিষ্কার করতে সক্ষম। এটি আমাদের শরীরে রক্ত খারাপ টক্সিন বের করে এবং রক্তে ডিটকৃফাই বৃদ্ধি করে। আর এর জন্যই আমাদের রক্ত বিশুদ্ধ থাকলে কোন ধরনের রোগের সংক্রামন শরীরের সৃষ্টি হবে না।
  • নিমের পাতায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের এসিডিটি নির্মূল উপাদান এজন্য প্রতিদিন সকালে সিদ্ধ করা নিম পাতার রস খেলে আমাদের পেটের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা পেট ব্যথা বদহজম গ্যাস্ট্রিক সকল ধরনের সমস্যা নিমিষেই খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
  • নিয়মিত প্রতিদিন সকালে নিমপাতা বেটে এর রস বের করে এক গ্লাস করে খেলে আমাদের শরীরের সকল ধরনের রোগের সংক্রমণ নির্মূল হয়ে যাবে।
  • প্রতিদিন সকালে অল্প কিছু পরিমাণে নিম পাতার রস ও মধু এক চা ক্লাস সমান পানিতে মিক্স করে খেয়ে নিলে আমাদের শরীরে নাইবিক অনেক দুর্বলতা কেটে যায় এতে আমাদের শরীরের মন উজ্জীবিত ও ফুরফুরি অবস্থায় থাকে।
  • আমাদের কোলেস্টরলের মাত্রা কমানোর জন্য নিম পাতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এ জন্য প্রতিদিন নিম পাতার রস সেবন করলে আমাদের শরীরে উচ্চ কোলেস্টেরলের ধ্বংস ও কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিকপর্যায়ে নিয়ে আসবে।
অপকারিতাঃ-আমরা সবাই জানি যে কোন জিনিসেরই একটি সুনির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে এজন্য নিম পাতা খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত না। আমরা একটি প্রবাদ কথাই বলে থাকি অতিরিক্ত যে জিনিসই বিষ। তাই আমরা কোন কিছু অতিরিক্ত পরিমাণে খাব না এবং নিম পাতাও খুব বেশি পরিমাণে খাব না কারণ ছোট ছোট পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে বেশি পরিমাণে খেলে আমাদের শরীরে। এজন্য সবসময় নিম পাতার রস খাবেন তবে কোন সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিম পাতার রস সেবন করা ভালো।

নিম পাতার উপকারিতা জানুন

আপনারা সবাই এতক্ষণ উপযুক্ত এতসব আলোচনার মাধ্যমে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে নিম পাতার সাহায্যে নিমিষেই ক্ত রোগ চর্মরোগ,এলার্জি,ব্রণের সমস্যা,চুলের সমস্যা, ত্বকের সমস্যার সমাধান করে থাকে এই নিমপাতা।কিন্তু আরো হাজার উপকারীতা রয়েছে এই নিম পাতায় ও হাজারো পুষ্টি ভিটামিনের ভরপুর একটি ভেষজ উপাদান যদিও এর স্বাদ একটু তিতা তবুও এর উপকারিতা গুলো অনেক মিষ্টি।

আবার এই নিম পাতার মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা আপনার হাড় ক্ষয় রোধ করতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের সব জায়গায় নিম গাছ থাকলো উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে একটু বেশি পরিমাণে নিম্ন দেখা যায়। নিমের ফুল ফল ও ঝাল বাকলের অনেক ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে যেমনঃ-অ্যালকালয়েডনিমবিডিন,নিম্বডল,সাললিন,জৈবএসিড,নিম্বুলাইড,সাপনিন,অ্যাজমডারিন,মারগোসিন,ট্যানিন,গ্লাইকোইড,কুয়ারসেটিন,মেলিয়ানোন।
নিম বসন্ত রোগের মহা ওষুধ নামে পৃথিবীর খ্যাত নিম পাতা। বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে নিম গাছ ও নিম পাতার উপকার হচ্ছে জীবাণু নাশক রক্ত পরিষ্কার,কিডনি,চর্মরোগ,ব্রণ,বসন্ত,এলার্জি শরীরে জ্বালাপোড়া, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন,দাঁতের রক্ত পড়া দাঁতের মাড়ি শক্ত করা শরীরে জ্বালাপোড়া করা মুখে দুর্গন্ধ নাশক হিসাবে ও সবচাইতে গুন হচ্ছে জন্ডিস রোগ প্রতিরোধ করা। একটি শরীরে এনার্জি ও শক্তি যোগায়।

এছাড়াও নিমপাতা রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়া উপাদান যা আমাদের যে কোন বিভিন্ন ধরনের রোগের সাথে কঠোরভাবে লড়াই করে। মূল কথা হচ্ছে নিম পাতার মধ্যে আরও হাজারো উপকারিতা রয়েছে যা এক দু লাইনে বলা সম্ভব নয়। নিম গাছের ঝাল শিকড় থেকে শুরু করে গাছটির সম্পূর্ণ উপাদানই প্রত্যেকটি জিনিসের হাজারো হাজার ঔষধি গুণে ভরপুর আপনি যদি নিম পাতা আর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের জনানবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক,স্যার,ম্যাম জানতে পারলেন নিম পাতার কয়েকটি প্রয়োজনীয় গোপনীয় ব্যবহারের নিয়ম ও রোগ নিরাময়ের নিয়ম। আপনারা যারা আর্টিকেলটি সম্পন্ন করেছেন নিশ্চয়ই জানতে পেরেছেন নেম কতটা পরিমাণ একটি কার্যকারী ভেষজ ওষুধ। আজকে জানতে পারলেন চর্ম রোগের নিম পাতার ব্যবহার এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার চুলের জন্য নিম পাতার ব্যবহার আশা করছি এসব বিষয়গুলো আপনারা আজকের সত্যের উপর জানতে পেরেছেন।

আপনারা যদি এই পোস্টটি সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করে দিবেন আপনার পাশাপাশি তারা অনেক উপকৃত হবে। আপনার  যারা নিমের পাতার বিষয়ক আরো কোন তথ্য জানতে চান নিচের কমেন্ট বক্সে অতি অবশ্যই জানি যাবেন আমরা অতি শীঘ্র আপনাকে আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url