রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে- রোমানিয়া ভিসা আবেদন
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসার চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই দেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আগে খুব সহজেই পাওয়া যেত। কিন্তু গত বছর কিছু নিয়ম পরিবর্তন করার জন্য এখন এই ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছে।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে? আপনার সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। শুধুমাত্র কোম্পানির ওয়ার্ক পারমিট পেতে ৪০ দিন থেকে ৬০ দিন সময় লাগে।
সূচিপত্র-নিচে যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কী জানুন
- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে
- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে
- রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করার নিয়ম
- রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
- রোমানিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কী জানুন
আপনি কি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে রোমানিয়া যেতে চান, তাহলে কিছু নিয়মকানুন অবশ্যই মানতে হবে আপনাকে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার পরিপূর্ণ যোগ্যতা থাকা লাগবে আপনার। ইউরোপের একটি দেশ হলো রোমানিয়া। এই দেশের ভিসার কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়েছে। আর এর কারণেই এই দেশের ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। এছাড়াও বর্তমানে এই দেশটি শেনজেনভুক্ত হয়েছে। আর এর ফলেই ভিসা পাওয়ার অনুপাত অনেকটাই কমে গেছে।
প্রতিবছর রোমানিয়া এই ইউরোপ দেশটিতে হাজার হাজার মানুষ ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে যাচ্ছে। আর এই ভিসা পেলে মূলত আপনি রোমানিয়ায় একটি ভালো বেতনের কাজ করতে পারবেন। তুলনামূলকভাবে এই দেশের কাজের বেতন মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটা বেশি হয়ে থাকে। অন্য দেশে তুলনায় এই দেশের জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম। রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা বলতে বুঝায় কাজের ভিসা কে। সকল ধরনের কাজ বৈধভাবে করার অনুমতি পাবেন এই দেশে এই ভিসা দিয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি দেশ হচ্ছে রোমানিয়া। এখানে প্রতিনিয়ত কর্মসংস্থানের সুযোগ ক্রমশ পেয়ে যাচ্ছে। রোমানিয়ায় কাজ করতে আপনি যদি আগ্রহী হন তাহলে আপনার একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকতে হবে। অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশে কাজের অন্যতম বেতন অনেক বেশি।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে
মূলত ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মেয়াদ এবং আপনার কাগজপত্রের উপর নির্ভর করে, যে আপনি রোমানিয়া ওয়ার্রক পারমিট পেতে কতদিন সময় লাগবে। আশা করা যায় সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে যাবেন। দ্রুত ভিসা প্রসেসিং করার জন্য আপনাকে সঠিকভাবে আবেদন করতে হবে। শুধুমাত্র কোম্পানি ওয়ার্ক পারমিট পেতে ৪০ দিন থেকে ৬০ দিন সময় লাগে। ওয়ার্ক পারমিট পেলে কোম্পানি আপনাকে জব অফার লেটার কিংবা কন্টাক্ট পেপার দিবে যেটি ভিসা আবেদন করার সময় আপনার লাগবে।
অন্যদিকে আবার আপনি যদি সরকারিভাবে রোমানিয়া যেতে চান ,তবে আপনি সরকারিভাবে রোমানিয়া যেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কোন একটা কাজের উপর প্রচুর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তবে সরকারিভাবে যাওয়াটা অনেক কষ্টের। প্রথমত আপনাকে যে কোন কোম্পানিতে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে কোম্পানিগুলো বিভিন্নভাবে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে পর ক্ষেপণ অনুযায়ী আপনার কাজে দক্ষতা এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ক্ষেত্রে ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত রোমানিয়া এম্বেসিতে আবেদন পত্র জমা দিতে হবে। আবার কখনো কখনো রোমানিয়া ভিসা টিম বাংলাদেশেও আসে সেখানে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন। এরপর ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আপনাকে অনুমোদন দেওয়া হবে ইন্টারভিউ সাধারণত এম্বাসিতে সরাসরি নেওয়া হয় এবং ইংরেজি অথবা রোমানিয়ান যে কোন ভাষাতে ইন্টারভিউ দিতে পারবে।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম
ইউরোপীয় ইউনিয়নের(EU) সদস্য রাষ্ট্র রোমানিয়া। ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে। আপনারা যদি রোমানিয়ায় কাজ করার স্বপ্ন দেখেন তাহলে ,আপনার একটি বৈধ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থাকা অবশ্য অবশ্যক। আর এই ভিসা পেতে হলে আপনাকে প্রথমে কোম্পানির ওয়ার্ক পারমিট নিতে হবে। তারপর ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। নিচে আবেদন করার নিয়ম দেওয়া হলোঃ
- রোমানিয়া অফিশিয়াল ইমিগ্রেশন অফিসের ওয়েবসাইট থেকে ওয়ার্ক পারমিটের আবেদন ফরম ডাউনলোড করে পূরণ করতে হবে।
- প্রকৃত আবেদন ফরমটি এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রোমারিনিয়ান দূতাবাস বা কন্স্যুলেটে জমা দিতে হবে। বাংলাদেশের এদের কোন দূতাবাস নেই। ভারতের নয়াদিল্লিতে তাদের দূতাবাস আছে।
- আবেদনের ক্ষেত্রে আপনাকে নির্ধারিত ভিসা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে। আর এই আবেদন প্রক্রিয়াটি বিশ্বস্ত এজেন্ট কিংবা এজেন্সির মাধ্যমে সম্পূর্ণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞতা মানুষের সহযোগিতা নিবেন।
- রোমানিয়ান ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনটি পর্যালোচনা করবে এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিবে আপনাকে।
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কি কি লাগে
সম্প্রতি সময়ে রোমানিয়া যাওয়ার নিয়ম কানুন পরিবর্তিত করা হয়েছে। আপনি যদি এখন রোমানিয়া যেতে চান তাহলে কাজের ভিসা নিয়ে আপনাকে অবশ্যই ওই দেশের কোন কোম্পানি থেকে জব অফার করা লাগবে। কোম্পানি যখন আপনাকে সর্বনিম্ন ২৫০০ এর উপর বেতন অফার করবে তখনই আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। রোমানিয়া অর পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনার অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে।
তবে হ্যাঁ অবশ্যই আবেদন করার আগে জেনে নিবেন রোমানিয়া অফ পারমিট ভিসার দাম কত। কম খরচে যেতে চাইলে আপনাকে জানতে হবে সরকারিভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে। সরকারিভাবে রোমানিয়া যাওয়ার উপায় সম্পর্কে জানুনঃ-
- পাসপোর্ট(সর্বনিম্ন ১৮ মাস মেয়াদ থাকতে হবে)
- সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি(ছবি অবশ্যই ন্যাচারাল হতে হবে)
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট(সর্বনিম্ন মেয়াদ দুই মাস হতে হবে)
- দক্ষতার সার্টিফিকেট(প্রযোজ্য ক্ষেত্রেদিতে হবে)
- আপনাকে অবশ্যই শারীরিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক মানুষ হতে হবে।
- কোম্পানির জব অফার লেটার বা চুক্তিপত্র লাগবে\
- রোমানিয়া ভাষা দক্ষতার সার্টিফিকেট
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট চেক করার নিয়ম
রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার পর আমাদের সকলের উচিত সেটাকে চেক করে নেওয়া। বর্তমানে আমাদের দেশের বেশিরভাগ দালাল এবং এজেন্টরা জাল ভিসা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেই। তাই আপনার উচিত হবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ধাপে ধাপে রোমানিয়া ওর পারমিট ভিসা চেক করে নেওয়া। রোমানিয়া অর পারমিট ভিসা দেখতে কেমন হবে যেখানেঃ ভিসাধারির ব্যক্তিগত সকল তথ্য দেওয়া থাকবে, যেমন নাম , জন্ম সাল ,কোম্পানির নাম , কোম্পানির নাম্বার CNP নম্বর ইত্যাদি।
রোমানিয়া অর পারমিট ভিসা আসল নাকি নকল সেইটা চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার বর্তমান ডিভাইসের ফোন অথবা ল্যাপটপের একটি ব্রাউজারে প্রবেশ করতে হবে। এরপর google এ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক লিংকে যেতে হবে। এই লিংকে গেলে একটি ফাঁকা বস আপনার সামনে আসবে। মানে আপনাকে কোম্পানির চিএনপি(CNP) নাম্বার বসাতে হবে। তারপর সার্চ অপশন এ ক্লিক দিলে আপনার কোম্পানির নাম চলে আসবে।
আর তখন আপনি এই পেজে কোম্পানির সকল ইনফরমেশন দেখতে পাবেন। পর আপনাকে উত্তর পেজ থেকে থ্রি ডট মেনুতে ক্লিক করতে হবে। সেখানে আপনি অনলাইন এক্সেস(Online Access) নামক অপশন দেখতে পাবেন।আর সেখানে ক্লিক করলে আপনার সামনে পাবলিক প্রোফাইল(Public Profile) অপশন আসবে, সেখানে আবার ক্লিক দিতে হবে। এই অপশনে ক্লিক দিলে একটি নতুন পেজ আপনার সামনে আসবে। সেখানে আপনি কোম্পানির আরো কিছু তথ্য পেয়ে যাবেন।
সেখানে আপনাকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট এন্ড অ্যাসিস্ট্যানি।(Technical Support and Assistance) সেখানে আপনি কাস্টমার কেয়ারের ইমেইল(Email) নাম্বার এবং whatsapp নাম্বার পেয়ে যাবেন।এসব ইমেইল এবং হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারের মেসেজ করে জেনে নিতে পারবেন আপনার ভিসাটি আসল কিনা। তারা আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জানিয়ে দিবে এইসব বিষয়গুলো। তাছাড়াও আপনার যদি পরিচিত আত্মীয়-স্বজন কিংবা বন্ধুবান্ধব বা অন্য কোন ব্যক্তির রোমানিয়াতে কর্ম অবস্থায় থাকে তাহলে উক্ত ব্যক্তিকে আপনার দৃশ্যের ছবিটি পাঠাতে পারেন চেক করার জন্য।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার নিয়ম
সরকারি বিভিন্ন ধরনের ভিসা অফার করে থাকে রোমানিয়া। তবে প্রচলিত ভিসা গুলো হলোঃ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা , স্টুডেন্ট ভিসা , এবং ভ্রমণ ভিসা। তবে বাংলাদেশের জন্য দুঃখের একটা বিষয় হলো আমাদের দেশের রোমানিয়া সরকারের অফিসিয়াল কোন দূতাবাস নেই। যদি আপনি রোমানিয়া যেতে চান তাহলে আপনাকে ভারতে দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে রোমানিয়া ভিসার আবেদন করতে হবে।
রোমানিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভিসার ক্যাটাগরি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। আর এই বিষয়গুলো ক্যাটাগরির উপর ভিত্তি করে কিছু কাগজপত্র আলাদা হয়ে থাকে। এজন্য আপনাকে রোমানিয়া যেতে কি কি লাগবে সেটা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। এরপর আপনাকে রোমানিয়া ভিসা আবেদন সংগ্রহ করে তা পূরণ করতে হবে। আপনি চাইলে অনলাইন থেকে এই ভিসা আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
আর অবশ্যই আপনি এটি প্রথম রোমানিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে ফর্মটি পূরণ করেন তাহলে ফরমটি পূরণ করার পূর্বে অভিজ্ঞ কোন মানুষের সহযোগিতা নিবেন। তবে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে এজেন্সি থেকে সাবধান থাকা ভালো। অনেক ভুয়া এজেন্সি রয়েছে বাংলাদেশে যারা ভিসা প্রত্যাশীদের জাল ভিসা দিয়ে প্রতারণার শিকার করে থাকে। মানুষের কষ্টের টাকা এরা হাতে নিয়ে চলে যায়। রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম তিন ধরনের হয়ে থাকে মূলত।যথাঃ-
- শর্ট স্টে ভিসা আবেদন ফরম
- লং স্টে ভিসা আবেদন ফরম
- ডিপ্লোম্যাটিক আবেদন ফরম
চাপ দিলে মূলত আপনি তিন ধরনের ভিসা আবেদন ফরম পূরণের লিংক পাবেন। আর এই উত্তর পেজ থেকে আপনার প্রযোজ্য ভিসা আবেদন ফরমটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।ফরমগুলো সম্পূর্ণ রোমানিয়া ভাষায় লেখা থাকে।
তাই আপনি অবশ্যই ফরম পূরণের সময় একজন অভিজ্ঞ মানুষ অথবা কোন এজেন্সির সহযোগিতায় ফর্মটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন।
রোমানিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
- ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে আপনার ভিসার কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজের কাছে রাখতে হবে
- ভিসা ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে রোমানিয়া ভিসা আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে ।এই ফর্মটি অনলাইন থেকে খুব সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন।
- ভিসা আবেদন ফরম টি সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই অভিজ্ঞ সম্পন্ন মানুষের সহযোগিতা নিবেন। সেটা হতে পারে কোন এজেন্সি , আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিচিত বন্ধু-বান্ধব যারা রোমানিয়ায় কর্মরত অবস্থায় রয়েছেন।
- যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা (work permit visa) প্রত্যাশী তাদের অবশ্যই কোম্পানির অফার লেটার লাগবে। আর এটা পেতে হলে আপনাকে রোমানিয়ার বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে জবের জন্য আবেদন করতে হবে এরপর কোম্পানি আপনার অনলাইনে ইন্টারভিউ নিয়ে ওয়ার্ক পারমিট দিবে।
- অন্যদিকে স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই রোমানিয়ার কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির অফার লেটার লাগবে। টুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্যই উদ্দেশ্য এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা থাকা লাগবে। তাছাড়া প্রমাণের জন্য কিছু ডকুমেন্টস লাগবে।
- এরপর সকল ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ করার পর এবং আবেদন ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে আপনাকে রোমানিয়া দূতাবাসের এপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। এটা হতে পারে অনলাইন কিংবা অফলাইনে।
- ইন্টারভিউ দেওয়ার পর রোমানিয়া ভিসা কর্তৃপক্ষ আপনার অবদানটি যাদের বাঁচায় করে দেখবেন। এরপর পর্যবেক্ষণ করে দেখার পর ভিসার অনুমোদন দিবে। প্রায় ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে রোমানিয়া ভিসা প্রসেসিং হতে। আর এই সময়টা অপেক্ষা করা ছাড়া আপনার অন্য কিছু করার নেই।
রোমানিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম
সকল ধরনের জাল ভিসা সমস্যার সমাধান করতে রোমানিয়া সরকার অনলাইনে রুমানিয়া ভিসা চেক করার অনলাইন সিস্টেম চালু করেছে। আর এর জন্যই বিভিন্ন দেশের রোমানিয়া ভিসা প্রত্যাশীদের অনেক বেশি উপকার হয়েছে। তাই তারা এখন অনেক কম প্রতারিত হচ্ছেন। এর কারণ ঘরে বসে অনলাইনে খুব সহজে এখন তাদের হাতে থাকা ভিসাটি চেক করে নিতে পারে ভিসাটি আসল কিনা নকল।
রোমানিয়ার যেকোনো ধরনের ভিসা চেক করার জন্য আপনাকে প্রথমে তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। আপনাকে প্রথমে আপনার ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন কিংবা কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ বিয়ে যেকোনো একটি ব্রাউজারে নিচের লিংকটিতে প্রবেশ করতে হবে। রোমানিয়া ভিসা চেক করার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট লিংকের উপর চাপ দিন।এরপর আপনাকে আপনার ভিসার স্টিকার নাম্বার এবং পাসপোর্ট নাম্বার নির্দিষ্ট ফাঁকা বক্সে বসাতে হবে।
মূলত ভিসা স্টিকার নাম্বারটি ৯ ডিজিটের হয়ে থাকে। এটা আপনার পাসপোর্টে থাকা রোমানিয়া ভিসায় পেয়ে যাবেন। এই নাম্বারটি মূলত দুই জায়গায় থাকে প্রথমত আপনার ছবির পাশে এবং দ্বিতীয়তঃ একদম উপরের দিকে এই দুটি ইনফরমেশন সঠিকভাবে বসানোর পর আপনাকে চেক ইউর ভিসা স্টিকার অপশনে ক্লিক করতে হবে এভাবে আপনি আপনার রোমানিয়া ভিসাটি চেক করে নিতে পারবেন।
লেখকের শেষ কথা
সম্মানিত বন্ধুরা, স্যার/ম্যাম আশা করছি আমাদের দেওয়া তথ্য থেকে আপনারা রোমানিয়ার ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সম্পর্কে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে কতদিন লাগে এবং ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার নিয়ম ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করার নিয়ম ইত্যাদি বিষয় সত্যের উপর জানতে পেরেছেন। আমাদের দেওয়া তথ্যটি আপনার ভালো লাগলে অনুরোধ করবো এই পোস্টটিতে অতি অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং আপনাদের রোমানিয়া যাত্রা সংক্রান্ত আরো কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না। সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url