সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস কোনগুলো ২০২৪ দাম কত
আমাদের দেশে গরমের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আর গরমের এই সময়টা লোডশেডিং এর কারণে অনেক সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে না। তাই নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে আমরা ব্যবহার করতে পারি ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস।
সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস কোনগুলো? আইপিএস এর দাম কত? আইপিএস এর জন্য কোন ব্যাটারি সবচাইতে ভালো হবে? আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানব।
পেজ সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস কোনগুলো
- আইপিএস এর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে জানুন
- আইপিএস কেনার আগে যেগুলো জানবেন
- রহিম আফরোজ আইপিএস সম্পর্কে-দাম কত
- ওয়াল্টন আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
- লুমিনাস আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
- সিঙ্গার আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
- আইপিএস এর জন্য কোন ব্যাটারি ভালো
সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস কোনগুলো
আমাদের দেশে বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের আইপিএস পাওয়া যাচ্ছে। আর এগুলোর মধ্যে কয়েক ধরনের আইপিএস পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে ভালো সার্ভিস দিয়ে যায় এবং ভালো ব্যাকআপ দিয়ে যাচ্ছে। আসুন জেনে নেই বাংলাদেশের সবচেয়ে য়াইপিএস ভাল মানের কোনগুলোঃ-
বাজারে এখন পাওয়া যাচ্ছেঃ- সিঙ্গার আইপিএস, রহিম আফরোজ আইপিএস, ওয়ালটন আইপিএস, নাভানা আইপিএস, ফিলিপস আইপিএস, সুকান আইপিএস, লুমিনাস আইপিএস এইগুলো হচ্ছে এখনকার বর্তমান বাজারে সবচাইতে ভালো মানের আইপিএস।এই আইপিএস গুলো আপনাকে দীর্ঘদিন ধরে সার্ভিস দিয়ে যাবে এবং ঠিকমতো রাখতে পারলে কোন সমস্যা হবে না।
আপনাদের চাহিদা মেটাতে বাজারে বিক্রেতারাও এনেছেন নানান ধরনের আইপিএস। বাজারে এখন বিভিন্ন মডেলের আইপিএস পাওয়া যায় বাসা ও কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে। যদিও সাধারণত আইপিএস এর দাম নির্ভর করে আইপিএস এর ওয়ার্ড বা কার্যক্ষমতা ও ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে। বিক্রয়োত্তর সেবা পাওয়ার অসুবিধা আছে ব্র্যান্ডের আইপিএস এ।
আপনারা চাইলে ফরমাশ দিয়ে বানিয়ে নিতে পারবেন নির্দিষ্ট ওয়াটের আইপিএস। আমাদের দেশে বেশি চাহিদা পণ্য আইপিএস হলো একসঙ্গে দুই তিনটি বাতি ও ফ্যান চালানো যেন যেতে পারে এমন আইপিএসের চাহিদা বেশি। অবশ্য বেশি ওয়াটের আইপিএস তৈরি করে নিলে কম্পিউটার , দুই টনের এসি মাইক্রোওভেন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
আইপিএস এর কার্যক্ষমতা সম্পর্কে জানুন
আমাদের দেশে লোডশেডিং এর মাত্রা দিন দিন ক্রমশাই বেড়েই চলেছে। আর এই লোডশেডিং থেকে বাঁচার জন্য বিকল্প প্রন্থা ব্যবহার করছে। আর এর বিকল্প প্রন্থা হলো নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই বা আইপিএস। আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস কোন গুলো।
আমরা আবার অনেকে এটাও জানি না যে আইপিএস কত ওয়াটের হলে নিজের চাহিদা অনুযায়ী তা ব্যবহার করা যায়। তাই আসুন আমরা জানি আই পি এস এর কার্যক্ষমতাঃ
৬০ ওয়াটে ক্ষমতার আইপিএস এ একটি এনার্জি লাইট, ৮০ ওয়াটে একটি টিউবলাইট, ১০০ ওয়াটের আইপিএসে একটি দেশি ফ্যান, 750 ওয়াটের আইপিএসে একটি ফ্রিজ চালাতে পারবেন , আর ৫০০ ওয়াটের আইপিএসে তিনটি ফ্যান ও তিনটি এনার্জি লাইট, দুইটিটিউবলাইট চালাতে পারবেন।
৫৫০ ওয়াটের আইপিএসে তিনটি ফ্যান, চারটি এনার্জি লাইট ও তিনটি টিউবলাইট চালাতে পারবেন। ৬০০ ওয়াটে চারটি ফ্যান ,তিনটি এনার্জি লাইট আর তিনটি টিউবলাইট চালাতে পারবেন। ৬৫০ ওয়াটের আইপিএসে চারটি ফ্যান, চারটি এনার্জি লাইট ও চারটি টিউবলাইট চালাতে পারবেন। ৭০০ ওয়াটে পাঁচটি ফ্যান, তিনটি এনার্জি লাইট ও তিনটি টিউবলাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্রিঃদ্র= আপনার বাসা বাড়ি বা ফ্লাটের ভোল্টেজ পরীক্ষা করে আইপিএস ব্যবহার করুন ।এতে করে আপনি ও আইপিএস দুটোই সুরক্ষিত থাকবে। নির্দিষ্ট সময় পর পর আইপিএসের ব্যাটারির পানির মাত্রা পরীক্ষা করুন যাতে করে আপনার আইপিএসের সমস্যা না হয় এবং আপনার নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগের কোন ত্রুটি না হয়।
আইপিএস কেনার আগে যেগুলো জানবেন
আমাদের দেশের অতিরিক্ত তাপমাত্রা ও লোডশেডিং এর কারণে মানুষের জীবনযাপনের অনেক কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর এই কষ্ট এড়াতে মানুষ ইলেকট্রনিক্সের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি থাকা সত্ত্বেও বাসস্থান বা অফিস রুমের জন্য ঝুটঝামেলাবিহীন জীবন যাপনের জন্য বিদ্যুতের বিকল্প এখন সবাই আই পি এস ও ইউপিএস কিনছে।
আমরা প্রায় অনেকেই আইপিএস কেনার সময় বিক্রেতার মিষ্টি কথায় তাদের দেওয়া ধারণা অনুযায়ী পণ্য কিনে থাকি।তারা আমাদের ভুল ভাল বুঝিয়ে ভালো খারাপ না বুঝেই দেয় এইজন্য আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত পণ্যটি ঠিকমতো পাই না। তাই আমরা আইপিএস ও ইউ পি এস কেনার সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রেখে কিনব সেগুলো নিয়ে আজকের আলোচনাঃ-
চলুন আমরা আগে জেনে নেই আইপিএস এবং ইউপিএস এর পার্থক্যঃ- ইউ পি এস(UPS){আনিন্টারাপ্টেড পাওয়ার সাপ্লাই}এবং আই পি এস(IPS){ ইনস্ট্যান্ট পাওয়ার সাপ্লাই} তখন বিদ্যুতের যোগান দেয়, যখন বিদ্যুতের প্রধান লাইনে সরবরাহ বন্ধ থাকে। কিন্তু ইউ পি এস এই সংযোগ বদলের বিষয়টি লোডশেডিং এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে করতে পারে যা কিনা এক সেকেন্ডেরও কম।
আর আই পি এস এর ক্ষেত্রে এক সেকেন্ড বা এর চেয়ে কিছুটা বেশি সময় লাগে। আজকাল সাধারণত প্রায় বেশির ভাগ আইপিএস এ ইউপিএস মোড থাকে, তাই দুইভাবে কাজ চালানো সম্ভব হয়।
আরো পড়ুনঃ শরীর ঠিক রাখতে সকালের ব্যায়াম ও নিয়ম
ধরণঃ-পণ্য কেনার আগে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমরা বাসা বাড়ি বা অফিসের জন্য কোন ধরনের আইপিএস বা ইউপিএস চাচ্ছি। আমাদের দেশের দুই ধরনের আইপিএস রয়েছেঃ বৈদ্যুতিক এবং সোলার সিস্টেম। বৈদ্যুতিক আইপিএস এর ক্ষেত্রে বাসস্থানের বিদ্যুতের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং বিদ্যুৎ থাকাকালীন এটি চার্জ গ্রহণ করে।
আবার অন্যদিকে সোলার সিস্টেম আইপিএস সূর্যালোক থেকে শক্তির যোগান নেয় এবং এর জন্য কোন ধরনের প্রধান বিদ্যুতের সংযোগ থাকতে হয় না। বিদ্যুতের বাড়তি খরচ হিসাবে সোলার আইপিএস অনেক সাশ্রয়। এছাড়াও এ তালিকায় আছে মিনি আইপিএস যা কিনা প্রতিটি ডিভাইসের ক্ষমতা ১০০ ওয়াট পর্যন্ত বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়।
ক্ষমতাঃ-আইপিএস ও ইউ পি এস কেনার আগে আপনাদের মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার ব্যবহৃত ডিভাইস গুলোতে ঠিক কতটুকু বিদ্যুৎ প্রয়োজন এবং কতগুলো ডিভাইস সংযুক্ত করা হবে. যদি যোগানের চেয়ে চাহিদা বেশি হয়, তাহলে প্রয়োজন পূরণ হবে না। এজন্যে হিসাব করার সময় ডিভাইস গুলোর পাওয়ার বা ওয়াট শক্তি পরিমাপ করে নিতে হবে।
বিদ্যুৎ পেতে চাইলে আপনি যত ঘন্টা একটি ডিভাইস ব্যবহার করবেন, ঠিক সে সংখ্যা দিয়ে ওয়াটের পরিমাণকে গুণ দিন এবং এরপর ফলাফল কে 1000 দিয়ে ভাগ করুন। সহজ কথায় বলা যায় যে, স্থানীয় বাজারের বৈদ্যুতিক পাখাগুলোতে প্রয়োজন হয় ১০০ ওয়াট আর অন্যদিকে বিদেশি ফ্যানগুলোতে লাগে ১৫০ ওয়াটের মত।
সাধারণত একটি টিভি চালু রাখতে প্রয়োজন হয় ১০০ ওয়াট এবং একটি টিউবলাইট জ্বালিয়ে রাখতে প্রয়োজন হয় ৬০ ওয়াট। 'ওয়াটেজ' ঠিক করার আগে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কতক্ষণ ধরে একটি ডিভাইস চালাবেন।
যেহেতু বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে ব্ল্যাকআউট হচ্ছে, স্বাভাবিকতই মানুষ চাইবে যেন পুরোটা সময় জুড়ে আইপিএস ও ইউপিএস এর মাধ্যমে যাতে কাজ চালিয়ে দেওয়া যায়। সব সময় নিশ্চিত করতে হবে যে আইপিএস ও ইউপিএস এর ২০ শতাংশ যেন সবচেয়ে অনুকূলমাত্রায় ব্যকআপ পারফরমেন্সের জন্য প্রস্তুত থাকে।
ফিচারঃ-কিছু নির্দিষ্ট ফিচার আইপিএস ও ইউপিএসকে সহায়তা করে অনেকক্ষণ ধরে চালানোর জন্য। পাওয়ার সাপ্লাই ডিভাইসে যাতে ওভারচার্জিং, ওভারলোডিং এবং শর্ট সার্কিট সুরক্ষা ফিচারগুলো থাকে। এছাড়াও আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, আইপিএস ও ইউপিএস যেন সব ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে যাতে সুরক্ষা ব্যবস্থা সবসময় বজায় রাখা যায়।
বিশেষ করে দেখতে হবে যে, বিবাহের মধ্যে ঠিক মাত্রা সাইন তরঙ্গ আউটপুট আছে কিনা বিশেষ ভাবে দেখতে হবে। এই সাইনওয়েভটি মূলত একটি স্পষ্ট সংকেত দেয় এবং বজ্রপাতের সময় ডিভাইস গুলো কি ঠিকভাবে চলতে সহায়তা করে থাকে। আজকাল আইপিএস ও ইউপিএস এর মধ্যে ডিজিটাল ডিসপ্লে আছে ।
যাতে ডিভাইসের স্ট্যাটাস দেখা যায় এই সবগুলো ফিচার যাতে ঠিকভাবে কাজ করে এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।যাতে কোন ধরনের কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন আমাদের না হতে হয়। অনেক ঝড় বৃষ্টি হয়ে থাকে আর আর্থিক তখনি আমাদের এসব জিনিসের প্রতি সচেতন থাকতে হবে সমস্যা এড়াতে।
রহিম আফরোজ আইপিএস সম্পর্কে-দাম কত
প্রশ্ন-বাংলাদেশের রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম কত? কেন রহিম আফরোজ আইপিএস কিনব?
উত্তরঃ-বাংলাদেশে রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ৩৪,০০০ টাকা থেকে শুরু যাতে সাধারণত ২৮০ ওয়াট ক্যাপাসিটি, নিরাপত্তা ফাংশনালিটি এবং ১০০ অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারি রয়েছে। এছাড়া রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ওয়াট ক্যাপাসিটি ,ফাংশনালিটি এবং সাথে থাকা ব্যাটারির ক্যাপাসিটির ভিত্তিতে নির্ধারণ হয়ে থাকে।
বর্তমান বাজারে বেশ সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে যাচ্ছে রহিম আফরোজ আইপিএস। বাজারে বেশ কয়েক ধরনের আইপিএস আছে তাদের। এর মধ্যে ২৮০ ওয়াট থেকে শুরু করে ৭৫০০ ওয়াট পর্যন্ত। ২৮০ ওয়াটের রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ৩৩ হাজার ৯০০ টাকা। যা আপনাকে দুই ঘন্টা পর্যন্ত .৪টি এলইডি লাইট, দুটি ফ্যান চালানোর সুবিধা দেবে।
৪০০ ওয়াটের রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ৪১ হাজার টাকা। ৪০০ ওয়াটের আইপিএস আপনাকে ছয়টি এলইডি লাইট ও তিনটি ফ্যান চালানোর সুবিধা দিবে। ৫০০ ওয়াটের রহিম আফরোজ আইপিএস এর দাম ৪৯ হাজার ২০০ টাকা, যা আপনাকে এলইডি লাইট ও তিনটি ফ্যান ও একটি টিভি চালানোর সুবিধা দিবে।
রহিম আফরোজ এর ৭ হাজার ৫০০ ওয়াটের এর আইপিএসে আপনার দুই টনের এসি ছাড়াও 12 টি লাইট ও ১০টি ফ্যান ওর ২টি টিভি চালানোর সুবিধা দিবে।
আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরো পোস্ট
কেন রহিম আফরোজ আইপিএস কিনবঃ-রহিম-আফরোজ গ্রুপ বাংলাদেশের সর্বপ্রথম আইপিএস বিক্রি শুরু করে। গুণগত মানের কারণে রহিম আফরোজ আইপিএস বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। রহিম আফরোজ আইপিএস এর বিশেষ কিছু সুবিধা সম্পর্কে নিজে আলোচনা করা হলোঃ-
ক্যাপাসিটিঃ-বর্তমানে বাংলাদেশে বাজারে বাসা বাড়ি, অফিস এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন ক্যাপাসিটি রহিম আফরোজ আইপিএস পাওয়া যায়। বিশেষ করে ২৮০-ওয়াট, ৪০০-ওয়াট, ৬০০-ওয়াট, ৭৫০-ওয়াট ৮৮০-ওয়াট, ১০০০-ওয়াট ও১২০০-ওয়াট ক্যাপাসিটর বর্তমানে রহিম আফরোজ আইপিএস অধিক হারে ব্যবহার করা হয়।
ডিসপ্লে ইন্ডিকেশনঃ-বর্তমানে রহিম আফরোজ আইপিএস এর মধ্যে ডিজিটাল ডিসপ্লে, এলসিডি ডিসপ্লে থাকে। যাতে আইপিএস এর বর্তমান লোড এবং পরিস্থিতি প্রদর্শিত হয় বা দেখা যায়। এছাড়াও আফরোজ আইপিএস অতিরিক্ত লোড করলে তার ডিসপ্লেতে প্রদর্শিত হয় বা নির্দিষ্ট এলইডি লাইট মিট মিট করে জ্বলতে থাকে।
স্বয়ংক্রিয় রিসেট সিস্টেমঃ-রহিম আফরোজ আইপিএস এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় রিসেট সিস্টেম থাকে অতিরিক্ত লোড চলাকালীন সময় আইপিএস ভালো লাগবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিসেট করে দেয়। আর এই দেশের সিস্টেমের ফলে আইপিএস এর ব্যাটারি কন্ডিশন অনেক ভালো থাকে।
ওভার ভোল্টেজ প্রটেকশনঃ-রহিম আফরোজ আইপিএস মূলত বৈদ্যুতিক শক্তিকে ব্যাটারি শক্তিতে রূপান্তর করে থাকে। বৈদ্যুতিক শক্তি ভোল্টেজ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে ওভার ভোল্টেজ প্রটেকশন আইপিএসকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়াও রহিম আফরোজ আইপিএস এর ওপেন সার্কিটে কোন সমস্যা হলে ওভার ভোল্টেজ প্রটেকশন অভ্যন্তরীণ পাওয়ার সুরক্ষিত রাখে।
শর্ট সার্কিট প্রটেকশনঃ-রহিম আফরোজ আইপিএস এর বেশিরভাগ শর্ট-সার্কিট প্রটেকশন যুক্ত থাকে। যা অস্বাভাবিক ইলেকট্রিসিটি বা ওভার কারেন্ট সনাক্ত হওয়ার সাথে সাথে শর্ট সার্কিট প্রটেকশন ফিউজটি কেটে যায় ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে সম্ভব হয়।
ব্যাটারির ক্যাপাসিটিঃ-আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট অ্যাম্পিয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাটারির সাথে ব্যবহার করা যায়। এমনকি, অধিক ওয়াট ক্যাপাসিটি সম্পন্ন আই পি এস এর সাথে একাধিক ব্যাটারি সহজেই ব্যবহার করা যায়। রহিম আফরোজ আইপিএস এর ওয়ার্ড ক্যাপাসিটর ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট ওয়ার্ডের আউটপুট দিতে পারে
এবং ব্যাটারির এম্পিয়ার ক্যাপাসিটির ভিত্তিতে ব্যাকআপ সময় বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে রহিম আফরোজ আইপিএস এর সাথে একবার একাধিক ১০০ এম্পিয়ার, ১৫০এম্পিয়ার, ১৮০ এম্পিয়ার এবং ২০০ এম্পিয়ার ব্যাটারী ব্যবহার করা হয়।
ওয়াল্টন আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
প্রশ্ন-বাংলাদেশের ওয়াল্টন আই পি এস এর দাম কত?
উত্তর-বাংলাদেশে ওয়ালটন আইপিএস এর দাম মূলত দুই তিন হাজার টাকা থেকে শুরু। ওয়াট ও গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে আইপিএস এর দাম নির্ধারণ করা হয়। ভালো মানের আইপিএস গুলোর মধ্যে ওয়ালটন হলো একটি। ওয়ালটন আইপিএস এর বিভিন্ন মডেল আছে যার উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নিচে ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরনের মডেলের নাম ও দাম দেওয়া হলোঃ-
- ওয়াল্টন WVP-SG15 মডেলের দাম ১২০০ টাকা
- ওয়াল্টন WVS-600 SD মডেলের দাম ৩,৩০০ টাকা
- ওয়াল্টন WVP-JV200 মডেলের দাম ১,৫০০ টাকা
- ওয়াল্টন WVS-1000SD মডেলের দাম ৪,৭০০ টাকা
- ওয়াল্টন WVS-1000HSD মডেলের দাম ৩,৪০০ টাকা
- ওয়াল্টন WVS-1000SDR80V মডেলের দাম ৩,৯০০ টাকা
- ওয়াল্টন SUPREME-2100JV মডেলের দাম৩,৩৫০ টাকা
- ওয়াল্টন SUPREME-2100JV80V মডেলের দাম ৩,৫৫০ টাকা
ওয়াল্টন WVP-SG15 বৈশিষ্ট্য ও দামঃ-আপনারা যারা এখন এক হাজার টাকার মধ্যে আইপিএস কয় করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই মডেলের আইপিএসটি। বর্তমানে সবচেয়ে কম দামে ওয়ালটনের মধ্যে আইপিএস হলো এটি এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা। এর বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত দেখুনঃ-
- মাইক্রোকন্ট্রোলার ডিজাইন আছে এই আইপিএসে।
- ইন্ডিকেটর এলইডি লাইট পাওয়ার অন অফ রয়েছে।
- আরো রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে ইনপুট ও আউটপুট
- হাই ভোল্টেজ বা লো ভোল্টেজ ও শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন সিস্টেম দেওয়া রয়েছে এই আইপিএস।
- ইনপুট ভোল্টেজ-১৪০থেকে ২৭০ ভোল্ট/ইনপুট ফ্রিকুয়েন্সি-50/60Hz
ওয়াল্টন WVS-600SD বৈশিষ্ট্য ও দামঃ-ব্যাটারির ক্ষমতা বর্তমানে আপনার যদি বেশি হয়ে থাকে অথবা বেশি কিছু ব্যবহার করেন তাহলে ওয়ালটনের এই আইপিএসটি মোটামুটি ভাবে ব্যবহার করতে পারেন। এই মডেলের আইপিএসটি আপনি নিতে পারবেন ৩ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে। এর বৈশিষ্ট্য বিস্তারিত দেখুনঃ-
- মাইক্রোকন্ট্রোলার ডিজাইন রয়েছে।
- তিনটি এলইডি কন্ট্রোল লাইট রয়েছে।
- ইনপুট ভোল্টেজ হলো ১০০-২৮০ ভোল্ট
- এই আইপিএসটিতে রয়েছে ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে
- হাই ও লো ভোল্টেজ প্রটেকশন দ্বারা পরিচালিত
- ওভারলোড ,অতিরিক্ত গরম, শর্ট সার্কিট সুরক্ষা দেওয়া আছে এই আইপিএস টিতে
- ট্রান্সফর্মার-toroidal./ক্যাপাসিটি-600VA/আউটপুট ভোল্টেজ-220+ ভোল্ট/সার্কিট ব্রেকার-7A. অ্যাম্পিয়ার।
ওয়াল্টন WVP-JV200 বৈশিষ্ট্য ও দামঃ-কম দামের মধ্যে আপনারা যারা ওয়ালটনের আইপিএস খুজছেন তাদের জন্য মূলত এই মডেলের আইপিএসটি। এই মডেলের আইপিএসটি আপনারা মাত্র ১৫০০টাকার মধ্যে ক্রয় করতে পারবেন। এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ-
- আইপিএস টিতে রয়েছে মাইক্রোকন্ট্রোলার ডিজাইন।
- ডিজিটাল ডিসপ্লে ইনপুট ও আউটপুট রয়েছে।
- ইন্ডিকেটর এলইডি লাইট আছে। কন্ট্রোল
- হাই ভোল্টেজ, লো ভোল্টেজ ও শর্ট সার্টিফিকেট প্রটেকশন সিস্টেম রয়েছে এই আইপিএসে
- ট্রান্সফর্মার-Toroidal/ইনপুট ভোল্টেজ-140v-270. ভোল্ট/ইনপুট ফ্রিকুয়েন্সি-50Hz।
ওয়াল্টন WVS-1000SD বৈশিষ্ট্য ও দামঃ-আপনারা যারা একটি ভাল মানের আইপিএস কিনতে চান তাদের জন্য এই মডেলের আইপিএসটি অনেক মোটামুটি আকারের ভালো। আর এই মডেলের আইপিএসটি আপনি 4700 টাকা দিয়ে ক্রয় করতে পারবেন। আইপিএসটির বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ-
- মাইক্রো কন্ট্রোলার ডিজাইন রয়েছে
- আরো রয়েছে ভালো মানের সিপিইউ কন্ট্রোল সার্কিট
- ইনপুট ভোল্টেজ ১০০ থেকে ২৮০ ভোল্টেজ দারুন ক্ষমতা
- তিনটি এলইডি ইন্ডিকেটর রয়েছে
- এটিতে ডিজিটাল এলইডি ডিসপ্লে রয়েছে
- হাইভোল্টেজ ও লো ভোল্টেজ প্রটেকশন দ্বারা পরিচালিত
- ওভারলোড ও অতিরিক্ত গরম ও শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন রয়েছে এই আইপিএস টি তে।
- টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেসন= ট্রান্সফর্মার-Toroidal/ক্যাপাসিটি-1000VA/আউটপুট ভোল্টেজ--220+ ভোল্ট/সার্কিট ব্রেকার-10A অ্যাম্পিয়ার।
- মাইক্রো প্রসেসর কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে।
- সাথে ডিজিটাল ডিসপ্লেও রয়েছে
- ইনপুট ভোল্টেজ ১০০ থেকে ২৮০ ভোল্ট
- ওভার কারেন্ট অতিরিক্ত গরম শর্ট সার্কিট ও রেপিড ইমপোর্ট ভোল্টেজ প্রোডাকশন রয়েছে
- হাইভোল্টেজ ও লো ভোল্টেজ । প্রটেকশন সিস্টেম রয়েছে এই আইপিএলটিতে।
- ট্রান্সফর্মার-Toroidal.
- ক্যাপাসিটি-1000VA
- আউটপুট ভোল্টেজ-220+ ভোল্ট
- সার্কিট ব্রেকার-10A.
লুমিনাস আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
প্রশ্ন-এর বাংলাদেশের লুমিনাস আইপিএস এর দাম কত? লুমিনাস আইপিএস কেন কিনব?
উত্তর-বর্তমানে বাংলাদেশের লুমিনাস আইপিএস এর দাম ৭৮০০ টাকা থেকে শুরু যা সাধারণত ৫০০ ওয়াট ক্যাপাসিটর হয়ে থাকে। এবং এই আইপিএস এর সাথে ১৫০ এ এইচ ব্যাটারি ব্যবহার করলে তিনটি ফ্যান ও 6 থেকে .৭টি লাইট এবং দুই ঘন্টা সম্পূর্ণ ব্যাক-আপ দিতে পারে। তাছাড়া, উন্নত প্রযুক্তি ও অধিক ক্যাপাসিটি সম্পূর্ণ লোমিনাস আই পি এস এর দাম কিছুটা বেশি।
ওয়াট হিসাবে লিমুনাস আইপিএস এর দাম লিখা হলঃ-
- ৫০৪ ওয়াট-৩৯,০০০ টাকা /৬৭২ ওয়াট-৪২,০০০থেকে৪৭,০০০ টাকা
- ৭৫৬ ওয়াট-৫২,০০০ টাকা/৮০০ ওয়াট-৫৫,০০০ থেকে ৫৭,০০০ টাকা
- ৯৬০ ওয়াট-৬০,০০০ টাকা/১১০০ ওয়াট-৫৮,০০০ টকা
- ১২০০ ওয়াট-৬৬,০০০ টাকা/১৫০০ ওয়াট-৯৭,০০০ টাকা।
- ২৩০০ ওয়াট-১,৫৩,০০০ টাকা/৪৪২০ ওয়াট-৩,৫৫,০০০ টাকা
লুমিনাস কোম্পানির বাসা-বাড়ি ও অফিসের ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ক্যাপাসিটি প্রযুক্তি সম্বলিত লুমিনাস আইপিএস সরবরাহ করে থাকে। বর্তমানে বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে লুমিনাস আইপিএস পাওয়া যায় বাংলাদেশে। লুমিনাস আইপিএস উপাদান গুলো উন্নতমানের ইন্টারভার দিয়ে তৈরি যার ফলে দীর্ঘদিন ঝামেলা মুক্তভাবে ব্যবহার করা যায়।
কেন লুমিনাস আইপিএস কিনবোঃ-লুমিনস আইপিএস লুমিনার আইপিএস এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য কারণে বাংলাদেশের ব্যাপক জনপ্রিয়ভাবে খ্যাতি অর্জন করেছে। এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা বর্ণনা করা হলোঃ-
নিরাপত্তা ব্যবস্থাঃ-লুমিনাস আইপিএস এর মধ্যে বিশেষ কিছু গুণাবলী রয়েছে তা হল প্রটেকশন, ওভার চার্জিং প্রটেকশ্ শর্ট-সার্কিট প্রোডাকশন, অন্তঃনির্মিত রয়েছে যা এই আইপিএসের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস আউটপুট প্রদান কালে আইপিএস এ অধিক পরিমাণে লোড পরলে ওভারলোড প্রটেকশন সিস্টেম লুমিনাস আইপিএসকে সুরক্ষিত রাখে।
অন্যদিকে রুমিনাস আইপিএস এর সাথে যুক্ত থাকা ব্যাটারিকে ওয়ার্ড চারজিং থেকে সুরক্ষিত রাখে ওভার চার্জিং প্রটেকশন সিস্টেম কাজ করে। লুমিনাস আইপিএস এর শর্ট সার্কিট এর কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে শর্ট সার্কিট প্রোটেকশন বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে।
ক্যাপাসিটিঃ-বর্তমানে বাংলাদেশের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা মেটাতে বিভিন্ন ক্যাপাসিটির লুমিনাস আইপিএস বর্তমানে সহজল্ভ্য। ৫০০ ওয়াট থেকে ১২০০ ওয়াটের লুমিনাস আইপিএস শুধুমাত্র একটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা হয়। প্রতিষ্ঠানের পরিসর বেহেস্তে ৫কেভিএ পর্যন্ত উন্নত মানের লুমিনাস আইপিএস বাংলাদেশ বাজারে পাওয়া যায়।
ব্যাটারিঃ-যেকোনো ব্র্যান্ডের এক বা একাধিক আইপিএস প্রয়োজনীয়তার অনুপাতে ব্যাটারি আইপিএস এর সাথে ব্যবহার করা যায়। তাই কতক্ষণ সময় ব্যাকআপ এর প্রয়োজন হবে সে অনুসারে ব্যাটারি নির্বাচন করতে হবে। নির্দিষ্ট সংযোগ রাখতে সর্বোচ্চ পরিমাণের ভালো ব্যাটারি ব্যবহার করাই উত্তম।
ভোল্টেজঃ-লুমিনাস আইপিএস এর ক্যাপাসিটি ও মডেল ভেদে ইনপুট ভোল্টেজের সক্ষমতা পরিবর্তন হয়ে থাকে। 220 থেকে 240 ভোল্টেজে আউটপুট প্রদান করতে পারে লুমিনাস আইপিএস। লুমিনাস আইপিএস নির্বাচন করতে হবে এলাকাভিত্তিক ভোল্টেজ সরবরাহের পরিসীমার ভিত্তিতে।
সিঙ্গার আইপিএস সম্পর্কে জানুন-দাম কত
আমাদের দেশের বর্তমান বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের আইপিএস গুলোর মধ্যে সিঙ্গার আইপিএস অন্যতম একটি। রহিম আফরোজ আইপিএস, ওয়াল্টন আইপিএস,লুমিনাস আইপিএস এসব ভালো মানের ব্র্যান্ডের আইপিএস গুলোর মধ্যে সিঙ্গার গুণগত মান দিক দিয়ে প্রায় তাদের মতই ভালো খ্যাতি অর্জন করেছে।
বর্তমান বাজারে সিঙ্গার আইপিএস ব্যান্ডেরও জনপ্রিয়তা কম নয়। সিঙ্গারের এসবিআর 8340 এসডব্লিউ মডেলের সাহায্যে তিনটি এনার্জি লাইট তিনটি ফ্যান ও একটি রঙিন টিভি চালানো যায়। বর্তমান বাজারে যার দাম পড়বে ২৯ হাজার ৯০০ টাকা। ২১ হাজার 900 টাকা দামের এসবিআর ৮৩৪০ এসডব্লিউ এর সাহায্যে দুটি লাইট একটি ফ্যান ও একটি টিভি চালানো যাবে।
সিঙ্গার কোম্পানির ৭৪০ ওয়াটের আইপিএস অনেক বেশি মনের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। সিঙ্গারের আইপিএসটি বর্তমান বাজারে দুই বছরের ওয়ারেন্টি সহ এই পণ্যটির দাম পড়বে ৩৯ হাজার টাকা সাধারণত আইপিএস এর ওয়াট ও গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে।
আইপিএস এর জন্য কোন ব্যাটারি ভালো
আইপিএস এর জন্য টিউবলার ব্যাটারি আলাদা ভাবে তৈরি করা হয়ে থাকে। ফ্ল্যাট ব্যাটারির চেয়ে বেশি স্থায়ী এবং টেকসই হয় টিউবলার ব্যাটারি। সাধারণত আমাদের বাংলাদেশে রহিম-আফরোজ,হামকো,লুমিনাস,সিঙ্গার অ্যাপোলো,সাইফ পাওয়ার,ওয়াল্টন,রিমোস ইত্যাদি সহ আরো অনেক কোম্পানি ব্যাটারি উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাত করে থাকে।
প্রযুক্তির ভিত্তিতে মূলত আইপিএস এর ব্যাটারি দুই ধরনের পাওয়া যায়। একটি হলো (ওয়েট-লিড-এসিড আইপিএস ব্যাটারি) এবং দ্বিতীয় টি হলো (সিল্ড লিড-এসিড আইপিএস ব্যাটারি)। নিচে ব্যাটারি সম্পর্কে বিস্তারিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হলোঃ-
ওয়েট-লিড-এসিড আইপিএস ব্যাটারিঃ-লিকুইড ইলেকট্রোলাইট স্ল্যুশনের এর মাধ্যমে ওয়েট-লিড-এসিড ব্যাটারি মূলত কাজ করে। প্রাচীন প্রযুক্তিতে নির্মিত ওয়েট-লিড-এসিড ব্যাটারিগুলো। ব্যাটারিগুলো তুলনামূলক দামে সস্তা হয়ে থাকে। ঘন ঘন রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন ওয়েট-লিড-এসিড ব্যাটারি।ড্রাই সেল ব্যাটারি নামে পরিচিত সিল্ড -এসিড ব্যাটারিগুলো।
সিল্ড লিড-এসিড আইপিএস ব্যাটারিঃ-সিল্ড লিড-এসিড আইপিএস ব্যাটারিগুলো সাধারণত ভেল্ভ রেগুলেটেড লিড এসিড ব্যাটারি বলা হয়।অ্যাবসবড গ্লাস ম্যাট(এজিএম)এবং জেল টাইপ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যাটারিগুলো তৈরি করা হয়। তাপমাত্রায় নির্ভরযোগ্য ভাবে কাজ করেসিল্ড লিড-এসিড ব্যাটারিগুলো। যে কোন অ্যাঙ্গেলে ব্যাটারিগুলোকে সেট করা যায়।
কত এম্পিয়ারের ব্যাটারি কিনবঃ-বর্তমানে বাসার বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোডশেডিং সমস্যা মোকাবেলা আইপিএস এর ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজনীয়তা অনুসারে আইপিএস এর সাথে সাথে মানানসই ব্যাটারি নির্বাচন করতে হবে।ব্যাটারি কেনার পূর্বে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ওয়ার্ড ক্যাপাসিটর আইপিএস ইনভার্টার নির্বাচন করতে হবে।
আমাদের দেশের চাহিদা অনুবাদে বিভিন্ন ক্যাপাসিটর আইপিএস ইনভার্টার পাওয়া যায়। আর বাসা বাড়িতে ব্যবহারের জন্য কমপক্ষে ৫০০ থেকে ৬০০ ওয়াট সম্পূর্ণ আইপিএস ইনভার্টার প্রয়োজন হয় যার সাথে ১০০ এম্পিয়ার ব্যাটারী ব্যবহার করে ৩ থেকে ৪টি সিলিং ফ্যান ও ৬ থেকে ৭টি এলইডি লাইট, এনার্জি লাইট ব্যবহার করা যাবে।
কত ওয়াট আইপিএস এর সাথে কত এম্পিয়ার ব্যাটারি প্রয়োজন নিচে বিস্তারিত দেখুনঃ-
মূলত বৈদ্যুতিক শক্তি বা চার্জ ব্যাটারিতে সঞ্চয় করে আইপিএস। আইপিএস ইনভার্টার এর ক্যাপাসিটর ভিত্তি করেওয়াট কত পর্যন্ত পাওয়ার আউটপুট দিতে পারবে তা নির্ভর করে। তবে আইপিএস ইনভার্টার এর ক্যাপাসিটর ২০% কম ওয়াটের ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত। নির্বাচনের ক্ষেত্রে কত ওয়াট পাওয়ার প্রয়োজন হবে এবং কত সময় ব্যাকআপ এর প্রয়োজন সেই অনুপাতে নির্বাচন করতে হবে।
এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ক্যাপাসিটর আইপিএস এর সাথে নির্দিষ্ট কোন অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারির ব্যবহারের কোন বাধ্যবাধকতা নেই। আমাদের দেশের বর্তমানে ৬০ এম্পিয়ার, ৬৫ অ্যাম্পিয়া্ ৭০ অ্যাম্পিয়ার, ৮০ এম্পিয়ার ১০০ অ্যাম্পিয়ার, ১২০ অ্যাম্পিয়ার ,১২৫ আম্পিয়ার, ১৩০ অ্যাম্পিয়ার, ১৩৫ এম্পিয়া্ ১৫০ অ্যাম্পিয়ার, ১৮০ এম্পিয়ার এবং ২০০ এম্পিয়ার আইপিএস ব্যাটারি পাওয়া যায়।
আইপিএস ব্যাটারির দাম কত বাংলাদেশেঃ-
ব্যাটারি টাইপ ব্র্যান্ড ও ব্যাটারির অ্যাম্পিয়ার এর উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশে আইপি এস ব্যাটারির মূল্য নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে ব্র্যান্ড ও ব্যাটারি অ্যাম্পিয়ারের ভিত্তিতে ৮৫০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে শুরু হয়। ১০০ অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারীগুলো ১২ হাজার টাকা থেকে ১৪ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
150 অ্যাম্পিয়ার আইপিএস ব্যাটারির দাম ১৮০০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। ব্যাটারির টাইপের ভিত্তিতে ও গুণগতমানের ভিত্তিতে ২০০ এম্পিয়ার আইপিএস ব্যাটারিগুলো ২৪ হাজার টাকা থেকে ৩১ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। নিচে বাংলাদেশের ভালো মানের আইপিএস ব্যাটারির মূল্য তালিকা দেওয়া হলঃ-
- Hamko HPD 200TB Tall Tubular IPS Battery=33,000 টাকা
- Hamko HPD-215 IPS Battery=30,000 টাকা
- Rimso 6RBT 150AH Tubular IPS Battery=18,800 টকা
- Hamko IPS Battery HPD-130=17,300 টাকা
- হামক ১৬৫য়াহ ঈপশ বাত্তের্য=২০,৮০০ টাকা
- Apollo HPD-165 LOw Maintenance Battery=19,500 টাকা
- Rahimafrooz ITB 200 Tubular Battery=28,000 টাকা
- Eastren e-max 6ETT 230T TAll Tubular Battery=31,500 টাকা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url