ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন হবে বিস্তারিত জানুন
প্রিয় পাঠক,আপনারা যারা ইন্ডিয়া ঘুরতে যেতে চাচ্ছেন তারা অনেকেই জানতে ইচ্ছুক কিভাবে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় ও ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে।জী, আপনি জানার জন্য সঠিক জায়গায় এসেছেন।আজকে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় এবং ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে। তো আসুন আমরা সত্যের উপর এসব বিষয়গুলো বিস্তারিত ভাবে জেনে নিই।
সূচিপত্র-নিচের যে অংশ পড়তে চান ক্লিক করুন
- ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে
- ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানুন
- ভিসা প্রসেসিং ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
- ভিসা আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
- ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা বানাতে কত টাকা খরচ হবে
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা বানাতে কি লাগে
- ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে
- ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র ও ফি
- ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে আপনাদের আরো কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনারা অনেকে আছেন যারা ভারতের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য,ঐতিহাসিক স্থাপনা,সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপভোগ করার জন্য ঘুরতে যান। এজন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা।তবে আপনারা অনেকেই জানেন না ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় ও খরচ কত লাগে। তাই আসুন জেনে নেন ভিসা আবেদনের জন্য কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। আপনাদের সুবিধার্থে আমরা আজকে ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার সম্পর্কে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।
আপনি যখন ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন তখন আপনার গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র লাগবে।যেমনঃ-
- সর্বপ্রথম দরকার টুরিস্ট ভিসা আবেদন পত্র, অনলাইনে আবেদন করবেন।
- বৈধ পাসপোর্ট। একটি বৈধ পাসপোর্ট এবং পাসপোর্ট এর মেয়াদ ভ্রমণের পর কমপক্ষে 6 মাস বেশি থাকতে হবে।
- আবেদনকারীর 2"/2" সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি/রঙিন ছবিও প্রযোজ্য হবে।
- জাতীয় পরিচয় পত্র(NID)/জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি(যেটা দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল)
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি(উক্ত ছবিটি যেন অন্য বিষয়ে ব্যবহৃত না হয়)
- বিগত ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
- পাসপোর্ট এর ফটোকপি এবং আসল পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে যাবেন
- আপনার ঠিকানা প্রমাণস্বরূপ বিগত ৩ মাসের(পানির বিল/বিদ্যুৎ বিল এবং গ্যাস বিলের মূলকপি অথবা ফটোকপি)
- আপনার পেশাগত প্রমাণ স্বরূপ(এনওসি/ট্রেড লাইসেন্স/স্টুডেন্ট কার্ডের ফটোকপি)
- আপনার পুরনো পাসপোর্ট যদি থাকে সাথে নিয়ে যাবেন।
- এর আগে আপনি কখনো ইন্ডিয়া গিয়ে থাকলে সেই ভিসার ফটোকপি।
- সুস্থতা প্রমাণস্বরুপ(করোনা ভ্যাকসিনের টিকার কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন)
- যাদের পাসপোর্ট হারিয়ে গেছে তাদের থানায় জিডি করতে হবে এবং তার একটি কপি জমা দিতে হবে।
উল্লেখিত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ইন্ডিয়ার টুরিস্ট ভিসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ছাড়া আপনার টুরিস্ট ভিসার কাজ সম্পন্ন হবে না। তাই তাড়াহুড়া না করে সব কাগজগুলো গুছিয়ে নিবেন এবং আবেদন ফরম পূরণ করবেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনলাইনে আবেদন করলে তা কনফার্ম হয় না এর বেশিরভাগ কারণ হলো,সঠিকভাবে তা পূরণ করতে না পারা এবং ভুল তথ্য দেওয়া। তাই উল্লেখিত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনারা টুরিস্ট ভিসা জন্য আবেদন করবেন।
ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসা আবেদন করবেন কিভাবে
আপনারা যারা ইন্ডিয়া ভ্রমণের জন্য যেতে চান, তাদের অবশ্যই ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার প্রয়োজন হবে। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল যুগে আপনারা কোন দূতাবাস কাছে না গিয়ে অনলাইনে টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যা যা লাগবে একটু আগে উপরে আলোচনা করেছি। এখন আপনি ভারতীয় জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া কোন কাজের চাহিদা বেশি-বেতন কত
অনলাইনে আবেদন করার জন্য আপনি সরাসরি এই লিংক https://www.ivacbd.com এর উপর চাপ দিন। এরপর আপনার যাবতীয় যে সকল তথ্য চাইবে সে সকল তথ্যগুলো আবেদন ফরমে স্টেপ বাই স্টেপ দিয়ে পূরণ করে সাবমিট করুন। অনেক সময় ভিসা না হওয়ার কারণ হয় এই প্রক্রিয়াটা ঠিকমতো না করার জন্য। তাই আপনারা আবেদন করার সময় উল্লেখিত বিষয়গুলো ঠিকমতো এবং আপনার তথ্য ঠিকমতো দিয়ে পূরণ করবেন।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস জানুন
আপনারা অনেকেই আছেন যারা ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন। কিন্তু মাথায় আসছে না! আসুন আপনাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস বলে দেই।
- ভিসা আবেদন করার আগে ভিসা প্রয়োজনীয়তা গুলো অর্থাৎ কাগজপত্র গুলো সাবধানে পরীক্ষা করে নিন।
- ভিসা ধরন, মেয়াদ এবং ফ্রি সম্পর্কে নিশ্চিত হন।
- ইন্ডিয়া হাই কমিশনের ওয়েবসাইট(https://www.hcidhaka.gov.in/) ক্লিক করুন এবং আপনার জাতীয়তার জন্য রোজার জন্য নির্দিষ্ট প্রয়োজন গুলো যাচাই বা পরীক্ষা করুন।
- আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা সাবধানে পরীক্ষা করুন এবং নিশ্চিত করুন সবকিছু ঠিক আছে।
- সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো সঠিক ও সম্পূর্ণরূপে পূরণ করুন।
- বিশেষ করে ভিসা আবেদন ফরম সাবধানে পূরণ করবেন। মোটেও যেন ভুল না হয়।
- আপনার সবগুলো কাগজপত্রের ফটোকপি যথাযথ শনাক্ত করা এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত।
- সুবিধার্থে প্রয়োজনে, অনুবাদ জমা প্রদান করুন।
- আপনার আবেদন দ্রুত ও সহজ করার জন্য ইন্ডিয়ার হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করুন। এই প্রক্রিয়াটি আপনার সময় বাঁচাবে এবং সহজ করে তুলবে।
- আবেদনের সাথে আপনার আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ জমা দিবেন।
- বিভিন্ন ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা আপনার বেতনের স্লিপ বা অন্যান্য আর্থিক নথি যা আপনার ভ্রমণের খরচ বহন করার মত ক্ষমতা রাখে।
- আপনার ভ্রমণের সময়কালের জন্য নিশ্চিত ফেরত এর টিকিট রয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করুন। এটি ভিসা কর্তৃপক্ষকে দেখাবে যে আপনার ভারতে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে থাকার কোন পরিকল্পনা নেই
- আপনার ভ্রমণের সময়কালের জন্য বৈধ ভ্রমণ বীমা রয়েছে নাকি তা নিশ্চিত করুন। ভ্রমণ বীমা আপনাকে অপ্রত্যাশিত চিকিৎসা খরচ ভ্রমণ বাতিল এবং অন্যান্য জরুরি পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবে।
ভিসা প্রসেসিং ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
আপনারা অনেকেই জানেন না ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের পর ভিসা প্রসেসিং এর সময় ফি কোথায় জমা দিতে হয়। আসুন এবার ভিসা প্রসেসিং ফি জমা দেওয়ার পালা। আগে ভিসা ফি আইভ্যাকে(ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার) জমা দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে এখন যুগ পাল্টে গিয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনের মাধ্যমে সেটা পেমেন্ট করা যায়।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া ওয়ার্ক পারমিট পেতে কতদিন লাগে
৮০০ টাকা ভিসা প্রসেসিং ফি এর সঙ্গে ব্যাংক বা বিকাশ চার্জ দিতে হয়। আর আপনি যদি অনলাইনে না দিয়ে অফলাইনে দেন তাহলে যে কোন আইভ্যাকে (ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার) জমা দিতে পারবেন। এই পদ্ধতিতে খুব সহজেই আপনি ভিসা প্রসেসিং ফি জমা দিতে পারবেন।
ভিসা আবেদন কোথায় জমা দিতে হয়
আপনি এবার এপ্লিকেশন পত্রটির সঙ্গে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইন্ডিয়ার ভিসা সেন্টারে চলে যেতে হবে। ইন্ডিয়ার ভিসা সেন্টারের ভিড় খুব একটা নতুন ব্যাপার নয় আমরা সবাই জানি এখানে কেমন অবস্থা হয়ে থাকে। তাই তাড়াতাড়ি করে কাজ শেষ করার জন্য সকাল সকাল যাওয়াটাই উত্তম হবে।আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা যে বিভাগের থাকে সে বিভাগের ভারতে আবেদন সেন্টারের ভিসা আবেদন পত্র জমা দিতে হবে।
বর্তমানে এখন দেশের আর কোথাও টোকেন লাগে না ভিসা আবেদনের জন্য। দেশের সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত আপনি যেকোনো দিনে সকাল ৯ টা থেকে দুইটার মধ্যে যেকোনো সময় আবেদন জমা দিতে পারবেন।
ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা বানাতে কত টাকা খরচ হবে
প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা রয়েছে। বর্তমানে ভিসা আবেদন করতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। বর্তমানে সাধারণত ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার দাম ৬৫০০ টাকা থেকে ১০হাজার টাকা। তবে বাংলাদেশে ভিসা এজেন্সি এক এক দামে ভিসা বানিয়ে দেয়। ইন্ডিয়ার ভিজিট ভিসার জন্য আবেদন খরচ হয় প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রসেসিং ও ভিসা প্রদানের খরচ ১০০০ টাকা। বেশি আবেদনের জন্য প্রথমে পাসপোর্ট বানাতে হবে।
পাসপোর্ট এর জন্য আপনার খরচ হবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।সবকিছু মিলিয়ে ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা করতে মোট ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হবে।আর ভিসার মেয়াদ যত বেশি দেওয়া হবে তার খরচ তত বেশি লাগবে। ভ্রমণের জন্য প্রতি জনের একটি করে ভিসা ও পাসপোর্ট লাগবে। আপনি চাইলে আবার ফ্যামিলি ভিসা বানাতে পারেন। তবে ফ্যামিলি ভিসা বানানোর জন্য আপনাকে কিছু টাকা বেশি খরচ করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ রোমানিয়া থেকে ইতালি কিভাবে যাওয়া যায়
ইন্ডিয়ান ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার, বাংলাদেশ উল্লেখ করা আছে যে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ধারীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে কোন ভিসা ফি নেই।আপনি তাহলে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে ভ্রমণের জন্য ভিসা বানাতে পারবেন। চাইলে ভ্রমণের জন্য ফ্যামিলি ভিজিট ভিসা বানাতে পারেন সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী ফ্যামিলি ভিজিট ভিসার খরচ নির্ভর করে।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা বানাতে কি লাগে
আপনারা অনেকে আছেন যারা ইন্ডিয়া যেতে চান শুধুমাত্র সুস্বাস্থ্য হচ্ছে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। কিন্তু জানেন না কিভাবে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা বানাতে হয়। কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হয় কত টাকা লাগে এসব বিষয় আজকে আপনাদের জানিয়ে দিব। মেডিকেল ভিসা বানাতে বিস্তারিত পড়ুনঃ-
আরো পড়ুনঃ শরীর ঠিক রাখতে সকালের ২০ টি ব্যায়াম ও নিয়ম
মেডিকেল ভিসার জন্য যে যে কাগজপত্র গুলো লাগবেঃ-
- টুরিস্ট ভিসার সাধারণ কাগজপত্র গুলো(উপরে উল্লেখিত আছে)
- পূরণ করা ফরমের প্রিন্ট
- আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড অথবা আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের কপি
- নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে মেডিকেল আমন্ত্রণ পত্র, সব ওষুধ মূল্য নথি/পেশা প্রমাণ।
- প্রথম ভ্রমণের ক্ষেত্রে, বিদেশের চিকিৎসা সুবিধা উপভোগের জন্য উপস্থিতি ডক্টরের কাছ থেকে সুপারিশ।
- আপনার বর্তমান ঠিকানার বিগত ছয় মাসের বিদ্যুৎ বিল/পানির বিল অথবা গ্যাসবিলের কপি
- বিগত ছয় মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট অথবা বাণিজ্যিক ব্যাংক হতে ডলার এনডোর্সমেন্ট
- ইন্ডিয়ান ডাক্তারের এপয়েন্টমেন্ট
- বাংলাদেশ ডাক্তারের রেফার লেটার
- ৬ মাসের মধ্যে সদ্য মেডিকেলের কাগজপত্র ফটোকপি
- আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- ব্রিঃদ্র=* আপনার সকল পুরাতন পাসপোর্ট ও মেডিকেলের মূল কাগজপত্র অবশ্যই আপনার সাথে নিয়ে আসতে হবে*।
ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগে
আমরা একটু আগে উপরে উল্লেখিত করলাম, ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগে বা কি কি প্রসেসিং সবকিছু করতে হয়। উপরে উল্লেখিত সব কাজগুলো সম্পন্ন করার পর এবার আপনার প্রশ্ন হতে পারে ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে কতদিন লাগবে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ অবস্থানরত অনেক নাগরিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ইন্ডিয়াতে পাড়ি দেয়। এক্ষেত্রে আপনাদের পাসপোর্ট এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসারও প্রয়োজন পড়বে।
আর এজন্য যদি ইন্ডিয়ান মেডিকেল ভিসা পেতে চান তবে আপনাদের আবেদন করার পর আপনি ৪৮ ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে। আপনি এর মধ্যেই পেয়ে যেতে পারেন। যদি অতিরিক্ত এবং আরো দ্রুত প্রয়োজন হয় তবে সেক্ষেত্রে আপনি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আপনি আরো দ্রুত ভিসাটি পেতে পারেন। তবে সাধারণত মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত সময় লেগেই যায় এবং এর মধ্যেই পাওয়া যায়।
ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র ও ফি
আমরা অনেকেই জানি আবার অনেকেই জানিনা যে বাংলাদেশে কোথায় কোথায় ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ভিসা বানানোর অফিস রয়েছে। এই সকল অফিস থেকে আপনি ভারত ভ্রমণের জন্য ভিসা বানাতে পারবেন। বর্তমানে বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন ফি বিনামূল্য করে দেওয়া হয়েছে। তবে আপনাকে ভিসা বানাতে হবেই আর ভিসা বানাতে গেলে আট থেকে দশ হাজার টাকা খরচ হবে।
ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদন কেন্দ্র বাংলাদেশের ভারতীয় সেক্টরগুলো হচ্ছেঃ-ঢাকা(যমুনা ফিউচার পার্ক), চট্টগ্রাম,সিলেট,ময়মনসিংহ,কুমিল্লা,রংপুর,রাজশাহী,নোয়াখালী,ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল,ঠাকুরগাঁও, বগুড়া,যশোর এই জায়গা গুলোতে আবেদন কেন্দ্র ও ফি জমা দেওয়া যায়। তাদের সুবিধার্থে নিজেকে কেন্দ্রের নাম ও কত টাকা ফি তার একটা তালিকা দেওয়া হলোঃ-
ভিসা আবেদন কেন্দ্র | আবেদন ও ভিসা প্রসেসিং ফি |
---|---|
ঢাকা | ৮০০-৯৫০ টাকা |
চট্টগ্রাম | ৮০০-৯৫০ টাকা |
সিলেট | ৮০০-৯৫০টাকা |
রাজশাহী | ৮০০-৯৫০ টাকা |
যশোর | ৮০০-৯৫০টাকা |
ময়মনসিংহ | ৮০০-৯৫০টাকা |
ঠাকুরগাঁও | ৮০০-৯৫০টাকা |
রংপুর | ৮০০-৯৫০টাকা |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ৮০০-৯৫০ টাকা |
বগুড়া | ৮০০-৯৫০টাকা |
নোয়াখালী | ৮০০-৯৫০ টাকা |
বরিশাল | ৮০০-৯৫০টাকা |
কুমিল্লা | ৮০০-৯৫০টাকা |
ইন্ডিয়ান ভিসা সম্পর্কে আপনাদের আরো কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্নঃ-ইন্ডিয়া টুরি স্ট মেয়াদ কতদিন?
উত্তর= নতুন ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৬ মাস করা হয়েছে অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৬ মাস
প্রশ্নঃ-ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তর= বর্তমানে টুরিস্ট ভিসা পেতে ১ মাস থেকে ১মাস ১০ দিন(৩০-৪০) দিন সময় লাগে। অন্যদিকে মেডিকেল ভিসা পেতে ৩ থেকে ৭ দিন সময় লাগে।
প্রশ্নঃ-ভিসা প্রসেসিং করতে কতদিন লাগে?
উত্তর= নির্দিষ্ট কোন সময় নেই, তবে ন্যূনতম ৭ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। কোন নির্দিষ্ট ধরনের ভিসা ইস্যু করার জন্য বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাড়পত্র প্রয়োজন হয় এবং এর জন্য আরো বেশি সময় লাগে।
প্রশ্নঃ-ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার খরচ কত?
উত্তর= ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন খরচ সর্বোচ্চ ৮০০ থেকে ৯৫০ টাকা।{ দালালের মাধ্যমে করে নিলে বেশি টাকা লাগতে পারে}
প্রশ্নঃ-ইন্ডিয়ান টুরিস্ট ভিসা মেয়াদ বাড়ানোর উপায়?
উত্তর= ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য মেয়াদ বাড়ানোর কোন উপায় নাই। টুরিস্ট ভিসার সর্বোচ্চ মেয়াদ ১৮০ দিন।
প্রশ্নঃ-ভিসা সেন্টারে কি কোন ভাইবা নিবে?
উত্তর= না, আপনার কোন ভাইবা এর প্রয়োজন হবে না। আপনি কেন্দ্রে গেলে সব প্রসেস বুঝে যাবেন।
প্রশ্নঃ-বাংলা কত টাকা নিয়ে যেতে পারবো ও আনতে পারব?
উত্তর= দুই ক্ষেত্রেই আপনি লিগালি ১০ হাজার(১০০০০) টাকার বেশি আদান-প্রদান করতে পারবেন না।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক,স্যার/ম্যাম, আজকের আলোচনা ছিল ইন্ডিয়া টুরিস্ট ভিসার জন্য কিভাবে আবেদন করতে হয় ও টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনার কি কি কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। এই বিষয়ে মাথায় রেখে আমরা আপনাকে সত্যের উপর তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনারা সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে উপকৃত হবেন এবং সবকিছু জানতে পারবেন। তো বিশেষ করে আমার মতে মনে হয় আপনি আপনার জেলার কেন্দ্রে গিয়ে সব কিছু প্রসেস ঠিকমতো করবেন।
কোন দালাল না ধরে দালালের চকলেট না পড়ে নিজে গিয়ে সম্পূর্ণ কাজ একদম খুব সহজে করেন। এতে করে আপনার খরচও কম হবে এবং সবকিছু ঠিকভাবে হবে। যদিও দালালের মাধ্যমে করে নিলে কিছু টাকা বেশি লাগে কিন্তু একটু কম সময়ে সব কিছু হয়ে যায় তবে এটা ঠিক না বৈধ উপায় আমাদের সবকিছু করা উচিত। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি পড়ে ভালো লাগলে আপনারা আপনাদের বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনদের সাথে শেয়ার করবেন এতে করে তারা উপকৃত হবে।
আর আপনাদের যদি এই বিষয়ে আরো কোন কিছু বিস্তারিতভাবে জানা থাকে অতি অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানিয়ে যাবেন। আমরা আপনাদের অতি দ্রুত সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url