আখরোট ও মধু একসাথে মিশিয়ে খাওয়ার উপকারিতা
টবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি ও উপকরণ
মধু এবং আখরোট অত্যন্ত শক্তিশালী রেসিপি। মধু এবং আখরোট একসাথে মিশিয়ে খেলে অবিশ্বাস্য উপকার পাওয়া যায়। মধু এবং আখরোটের মিশ্রণ হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস ।
আখরোট বাদাম এবং আমন্ড দুই ধরনের বাদামই ব্যাপক জনপ্রিয়। আমাদের শরীরের জন্য দুটোই স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুস্বাদু। শরীরের জন্য আখরোট ও আমন্ড দুটোই সমানভাবে উপকারী, তবে একটা ওজন কমাতে সাহায্য করে অন্যটা দরকার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য।আমরা যারা আখরোট নিয়মিত খাই তারা প্রায় সবাই জানি বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। যেমনঃ-ওমেগা থ্রী(৩) ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলোনক এসিডে (এ এল এ) বিদ্যমান
যেকোনো বাদামের চেয়ে আখরোট বাদামের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এছাড়াও আখরোট বাদামে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ।
সূচিপত্রঃ
আখরোট ও মধু মিশ্রণ খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের জন্য বাদাম জাতীয় খাবার অনেক উপকারী । বাদাম বিভিন্ন ধরনের থাকলেও সবচাইতে বেশি উপকারী বাদাম হলো আখরোট বাদাম, যা খেলে আমাদের শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি লাভ করা সম্ভব। আখরোট বাদামের আরেকটি বিশেষ গুন হচ্ছে এটি চুলকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে , চুল পড়া কমায় ও চুল বৃদ্ধি হতে সাহায্য করে।আখরোট ও মধুর মিশ্রণ খাওয়ার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং অনিদ্রা দূর করে থাকে।
আখরোট ও মধু মিশ্রিত বাদাম শিশুদের খাওয়ালে শিশুদের ব্রেন শক্তিশালী করে থাকে।এই মিশ্রন খাওয়ার ফলে ক্যান্সার দূর করাউ সম্ভব এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে। মধু এবং আখরোটের মিশ্রণ গর্ভবতী নারীদের জন্য অনেক উপকার ও কার্যকারী হয়ে থাকে।বাদাম ও মধু দুটি পুষ্টিকর খাবার এজন্যে একসঙ্গে খেলে উপকারিতা বেশি মেলে। হৃদপিণ্ড রোগ , কিডনি রোগ , ডায়াবেটিক , ওজন জনিত সমস্যা ও এলার্জি সহ অনেক কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
মধুতে ক্যালরির পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে বিষয়টি আমাদের মাথায় রেখে এই মিশ্রণটি খেতে হবে।প্রতিদিন আখরোটের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে পুরুষদের জন্য যৌন স্বাস্থ্য উন্নত করার সাথে সাথে শুক্রানুর মান বৃদ্ধি করে থাকে। মধুর সঙ্গে আখরোট মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে পুরুষদের মধ্যে শক্তি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। আখরোটে থাকা উপাদান চুলের জন্য অনেক কার্যকরী, চুলের জন্য উপকারী উপাদান।
যেমনঃ ওমেগা সিক্স , ওমেগা থ্রি , পটাশিয়াম , ওমেগা নাইন , ইত্যাদি আখরোট বাদামে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এই কারণে ওয়ালনাট নিয়মিত খেলে চুল শক্ত করে চুলের গোড়া মজবুত করে ও মুখের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃটবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি ও উপকরণ
সকালে খালি পেটে আখরোট খেলে কী হয়?
আপনারা প্রায় অনেকেই এই আখরোট ফলটিকে চেনেন না। একে এক ধরনের বাদাম জাতীয় ফল বলতে পারেন। অনেকের বিভিন্ন ড্রাই ফুডের সাথে এই ফল খাওয়ার অভ্যাস আছে। অনেকে আছে এটিকে আবার সকালে খালি পেটে খেয়ে থাকে। আপনারা কি জানেন, সকালে এই আখরোট খালি পেটে খেলে শরীরের কি কি উন্নত হয় ও পরিবর্তন ঘটে?মূলত গোলাকার দেখতে এই আখরোট ফলটি। এর ভেতরে থাকে একটি বীজ ,সেটিই মূলত খাওয়ার উপযুক্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন আখরোট খাওয়ার অভ্যাসে এই ফল থেকে আপনি যা পাবেন তা হলোঃ প্রোটিন , ফাইবার , অ্যামিনো এসিড, স্নেহ পদার্থ, ম্যাগনেসিয়াম ও এন্টিঅক্সিডেন্ট এর মত উপকারী ও কার্যকরী গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।সকালে খালি পেটে প্রতিনিয়ত আখরোট খেলে এতে থাকা পুষ্টিগুণ আপনার শরীরের নানান ধরনের রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য সক্ষম করে তোলে। এছাড়াও স্বাস্থ্যের যত্ন নিতো বেশ উপকারী এই আখরোট বাদাম।
কিন্তু আপনাদের অনেকের মনেই জানার ইচ্ছা আগ্রহ হয় যে সকালে খালি পেটে আখরোট খাওয়া কি ঠিক? হয়তো তারা জানে না আখরোটের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এর মতে, খালি পেটে সকালে নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসের কারণে ক্যান্সার, স্নায়ু গত সমস্যা , হার্টের অসুখ , রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ অনেক ধরনের রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে থাকে।দীর্ঘদিন গবেষণার পর যা প্রকাশ হয়েছে , এই আখরোট একই সঙ্গে হৃদযন্ত্র এবং মস্তিষ্ক উভয়ের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে।
আখরোটে বিদ্যমান থাকা ফ্যাটি এসিড , ভিটামিন ই , ওমেগা ৩ এর মত উপাদান গুলো চুল ও ত্বকের জন্য অনেক কার্যকরী। আপনাদের যাদের ঘুম হয় না ওর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকেনা আগরত নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাসের ফলে এই সমস্যা থেকে তারা মুক্তি পাবেন। এছাড়াও আখরোট বাদাম খাওয়ার জন্য হাড়ও দাঁতের যত্নেও দারুন কার্যকরী কাজ করে থাকে।পুষ্টিবিদরা বলেছেন পুষ্টিগুণ সম্পন্ন পেতে হজম শক্তি পাঠাতে পানিতে আখরোটকে ভিজিয়ে সকালে খাওয়া অনেক ভালো ও কার্যকরী।
তবে আপনারা পানির পাশাপাশি দুধ কিংবা মধুর সঙ্গেও ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে আখরোট বাদাম খেতে পারবেন , এতে করে কোন সমস্যা হবে না।সকালে খালি পেটে একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন পাঁচটি আখরোট খাওয়াকে যথেষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন পাঁচটির বেশি আখরোট পূর্ণবয়স্ক মানুষের না খাওয়ায় উত্তম বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ দিনে পাঁচটির বেশি আখরোট খাওয়ার অভ্যাস শরীরের জন্য উপকারী নয় বরং ক্ষতি করে বলে অভিমত করেছেন চিকিৎসকরা।
আখরোট কেন খাবেন? জানুন পুষ্টিগুণ ও পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া
আখরোট হল বাদাম জাতীয় খাবার। অনেকেই আছেন যারা বাদাম খেতে পছন্দ করেন তাদের কাছে আখরোট নামটি অনেক পরিচিত। এর ইংরেজি নাম হলো ওয়ালনাট(Walnuts)। প্রোটিন , ভিটামিন ই , ফাইবার সমৃদ্ধ আখরোটকে সুপার ফুড বলে থাকে।আখরোট ফলটি মূলত গোলাকার এবং এর ভেতরে একটি বীজ থাকে। পাকা ফলের বাইরের খোসা ফেলে দিলে ভেতরের শক্ত খোসাযুক্ত বীজটি পাওয়া যায়। এই খোসার ভেতরে দুই ভাগে বিভক্ত থাকে বাদাম, যাতে বাদামী রঙের আবরণ থাকে যা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হয়ে থাকে।
আখরোটের পুষ্টিগুণঃ
আখরোট বাদাম অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি বাদাম। আখরোটে প্রতি 100 গ্রামে ১৫.২ গ্রাম প্রোটিন, ৬৫.2 গ্রাম স্নেহ পদার্থ, ৬.৭ গ্রাম ফাইবার থাকে। ভিটামিন থাকে 20 আই ইউ(IU), ম্যাগনেসিয়াম ১৫৮ মি.গ্রা, ক্যালসিয়াম ৯৮ মি.গ্রা, পটাশিয়াম ৪৪১ মি.গ্রা,জিংক ৩.০৯ মি.গ্রা। এর প্রোটিনের মধ্যে অনেকগুলো অ্যামিনো এসিড বিদ্যমান থাকে।বাদাম জাতীয় খাবারের মধ্যে আখরোট এমন এক প্রকার বাদাম যার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। শরীরের হাজারো সমস্যা দূর রাখতে আখরোট খাওয়ার উপদেশ ও পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
আখরোটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
আমরা অনেকেই জানি যে, কোন খাবারই প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। নয়তো শরীরের পুষ্টি উপাদানগুলোর ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তাই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে অন্য খাবারের মতোই আখরোট পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া ,বেশি পরিমাণে আখরোট খেলে কিছু কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ-আমাদের যাদের অ্যালার্জি আছে তাদের এলার্জির সমস্যা হতে পারে। লিভারের সমস্যা হতে পারে। আখরোটে থাকা ফাইটেটস শরীরের আয়রন সুষেনাই ফলে বেশি পরিমাণে আখরোট খেলে শরীরের আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।এজন্য আমাদের নিয়ম মেনে আখরোট খেতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের বাদামে এলার্জি আছে তাদের আখলটেও এলার্জির সমস্যা হতে পারে এজন্যে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
পুরুষদের জন্য আখরোটের সাথে মধুর উপকারিতা
আখরোট ও মধুমিস্তন বাদাম পুরুষের জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে। এর মধ্যে থাকা পুষ্টি গুণাবলী পুরুষদের শরীরের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। পুরুষদের জন্য আখরোট বাদামসহ মধুর উপকারী বৈশিষ্ট্য গুলি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি, এর গুণাবলী অনেকগুলো।আখরোট এবং মধু রেসিপি অত্যন্ত শক্তিশালী এবং স্বাস্থ্যকর মিশ্রণ একসাথে মিশ্রণ করে খেলে আখরোট বাদামে অবিশ্বাস্য উপকার পাওয়া যায়। প্রথমত,। এবং মধুর মিশ্রণ হল পুষ্টির পাওয়ার হাউস।
আখরোটের সঙ্গে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন খেলে পুরুষদের মধ্যে এক অন্যরকম শক্তি ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।প্রতিদিন নিয়মিত আখরোট বাদাম সহ মধুরে মিশ্রণটি খেলে পুরুষের শুক্রাণু উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও পুরুষদের শুক্রাণু কোষের স্বাস্থ্য উন্নতি ঘটে। আখরোট ও মধুর মিশ্রণ বাদামটি খেলে পুরুষদের যৌনশক্তি ক্ষমতা বেড়ে যায়।যা দাম্পত্য জীবনকে সুখকর করতে সাহায্য করে এই মধু মিশ্রণ আখরোট বাদাম।অন্য যেকোন সব বাদামের চেয়ে আগ্রহটে সবচাইতে বেশি
আরো পড়ুনঃ পেয়ারা গাছের ফলন ভালো হওয়ার উপায়
পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি ষাডিকেলকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের যুগে কমায়। এছাড়াও আখরোট ও মধু মিশ্রণ বাদামে থাকা বিদ্যমান পুষ্টিগুণ পুরুষদের শরীরে খারাপ কোলেস্টরল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টরল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।বাদাম জাতীয় খাবার শরীরের জন্য অনেক উপকারী ।এজন্য অনেক ধরনের বাদাম থাকলেও সবচাইতে বেশি উপকারী বাদাম হলো আখরোট।
আর তার মধ্যেও আবার যদি আখরোটের সাথে মধু মিশ্রণ করা যায় তাহলে এর পুষ্টিগুণ বেড়ে যায়। এজন্যে বিবাহিতদের জন্য সবচাইতে কার্যকারী একটি রেসিপি এই মধু মিশ্রণ আখরোট বাদামটি।
আখরোটের উপকারিতা ও অপকারিতা
আখরোটের উপকারিতাঃ
নিয়মিত আখরোট খেলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে আমাদের যাদের শরীরের অনেক ধরনের রোগ যেমনঃ ক্যান্সার, গর্ভবতী নারী, ডায়াবেটিস , ত্বকের সমস্যা ,স্মৃতি শক্তি সমস্যা, ঘুমের সমস্যা তাদের জন্য নিয়মিত আখরোট খাওয়া অনেক উপকারী ও কার্যকারী। নিচে আখরোটের ১০ টি উপকারিতা বর্ণনা দেওয়া হলঃ-
- আখরোট বাদাম আমাদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকা ওমেগা থ্রি(৩) অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কোষের সজীবতা বজায় রাখতে অনেক কার্যকরী হয়।
- আখরোটে বিদ্যমান থাকা ওমেগা থ্রি(৩) ফ্যাটি এসিড কাডিওভাস্কুলার সিস্টেমের জন্য অনেক উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আখরোট প্রতিদিন কয়েকটি খেলেই যথেষ্ট।
- আখরোটে থাকা বিদ্যমান ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে থাকে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা সুস্থ ত্বকের জন্য বিশেষ উপযোগী হয়ে থাকে। আমাদের ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
- আখরোটের আরেকটি বিশেষ গুণ হচ্ছে মাতৃগর্ভ থাকা শিশুর জন্য অনেক উপকারী হয়ে থাকে গর্ভবতী মায়েরা আখরোট খেলে এতে থাকা পুষ্টি পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি এসিড গর্ভের শিশুর এলার্জি সমস্যা দূর করতে অনেক কার্যকরী হয়ে থাকে।
- চিকিৎসকরা শেষ করে বলেন যে, যেকোনো ধরনের বাদাম ডায়াবেটিসের যদি কমাতে বিশেষ কার্যকর। আমরা যারা নিয়মিত আখরোট খাই তাদের টাইপ 2 ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেকটাই কম হয়।
- আখরোটে থাকা ওমেগা থ্রি(৩) ফ্যাটি অ্যাসিড পলিফেনলস ও ইউরোলিথিন এন্টি-ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। তাই স্তন, কোলন সেট রোদে ভূমিকা রাখে।
- আখরোটে থাকা ভিটামিন বি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আমাদের শরীরের চামড়া কে দিয়ে যেতে বাধা দেয়। বলা হয় ভিটামিন বি হল সেট্রস রিলিভার ও মুড ম্যানেজার। এটি কম থাকলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় ও চামড়া উজ্জ্বল হয়।
- আখরোট শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে-, এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে আখরোটে থাকা ভিটামিন ই , মোলাটোন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
- আখরোটের রয়েছে অনেক পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম যা আমাদের শরীরের হাড় মজবুত করতে অনেক কার্যকরী। বিশেষ করে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা না থাকলে বয়সের বেশি মহিলাদের জন্য আর মজবুত রাখতে রোড অনেক উপকারী।
- আখরোটে বিদ্যমান থাকা পটাশিয়াম, জিংক, আইরন , ক্যালসিয়াম এসব হজম শক্তিকে বাড়িয়ে দেয়। আর হজম শক্তি ভালোর জন্য আমাদের নিদ্রা(ঘুম) অনেক ভালো হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এবং রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আখরোট খেলে ভালো ঘুম হয়।
আখরোটের অপকারিতাঃ
আমরা সবাই জানি যেঃ-যে কোন খাবারই প্রয়োজনের বেশি অতিরিক্ত খাওয়া ঠিক না। নয়তো আমাদের শরীরের পুষ্টি প্রধান গুলো ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। তাই অন্যান্য খাবার যেমন আমরা পরিমাণ মতো খাই তেমন আখরোট ও মধু মিশ্রণ বাদামটাও আমাদের পরিমাণ মতোই খাওয়া লাগবে যাতে আমাদের শরীর সুস্থ সবল থাকে।
আখরোটে থাকা বিদ্যমান পুষ্টি বিদ্যমান গুলো অনেক বেশি। তাই বেশি খাওয়ার ফলে এটির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে যেমনঃ-
আমাদের যাদের অ্যালার্জি আছে এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আখরোটে থাকাফাইটেটস শরীরের আয়রন এর ফলে বেশি পরিমাণে আখরোট খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
আমাদের যাদের এলার্জি আছে তাদের উচিত বাদাম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া। যাতে আমাদের এলার্জির কোন প্রকার সমস্যা দেখা না দেয়।এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আখরোট খাওয়ার নিয়মাবলী
সাধারণত আখরোট খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই। আখরোট বাদাম যেকোনো সময় যে কোনভাবে খাওয়া যেতে পারে। তবে একে মধু ও আখরোটকে একসঙ্গে মিশিয়ে ভিজিয়ে রেখে খেলে এর গুনাবলী দ্বিগুণ পাওয়া যায় বলে অভিমত দিয়েছেন চিকিৎসকরা।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে আখরোট পানিতে ৫থেকে ৬ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে খেলে এর পুষ্টি গুণাবলী সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায়। এই নিয়মে আখরোট বাদাম খেলে আমাদের শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়া যাবে এবং
বাদামের সঠিক পুষ্টি গুণাবলী পাওয়া যাবে। এতে করে আমাদের শরীরের শক্তি ক্ষমতা বাড়বে।চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা আরো বলেছে যে দুধ বা মধুর সাথে আউট মিশ্রণ করে খেলে এর পুষ্টিগুণ সঠিক পরিমাণে পাওয়া যায়। তবে দুধের চেয়ে মধুর সাথে মিশ্রণ করে খেলে উপকারিতা একটু বেশি হবে। আমরা অনেকেই আছি এটিকে আবার হালকা তেলে ভেজে খেয়ে সন্ধ্যায় নাস্তা করে থাকি।চিকিৎসক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে ,
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন পাঁচটি আখরোট খেলে যথেষ্ট। পাঁচটির বেশি আখরোট বাদাম খেলে 30 বছর বয়সের মানুষদের সমস্যা দেখা দিতে পারে এজন্য আমাদের অতিরিক্ত না খাওয়াই উত্তম।আখরোট বাদাম সকালে খালি পেটে খাওয়ার অনেক কার্যকারী উপকার রয়েছে। যারা সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আখরোট বাদাম খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধিহতে সহায়তা করে। এতে করে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ দূর করা যায়।
আরো পড়ুনঃ কি পরিমান খেদমত করলে স্বামীর হক আদায় হবে
আখরোট খেলে কি ওজন বাড়ে
আখরোট বাদাম এবং আমন্ড দুই ধরনের বাদামই ব্যাপক জনপ্রিয়। আমাদের শরীরের জন্য দুটোই স্বাস্থ্যকর পুষ্টিগুণে ভরপুর ও সুস্বাদু। শরীরের জন্য আখরোট ও আমন্ড দুটোই সমানভাবে উপকারী, তবে একটা ওজন কমাতে সাহায্য করে অন্যটা দরকার মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য।আমরা যারা আখরোট নিয়মিত খাই তারা প্রায় সবাই জানি বিশেষ কিছু পুষ্টিগুণ বিদ্যমান রয়েছে। যেমনঃ-ওমেগা থ্রী(৩) ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলোনক এসিডে (এ এল এ) বিদ্যমান অনেক ভরপুর।আবার অন্যদিকে আমন্ড খনিজ গোষ্ঠীতে পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। আমন্ড সঙ্গে রয়েছে ৩৯ শতাংশ ফ্যাট। যার মধ্যে ২৫ শতাংশ আমাদের শরীরের হাটকে সুস্থ রাখার জন্য উপযোগী।মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট এছাড়াও রয়েছে কার্বো এবং প্রোটিন।ওজন কমানোর জন্য দুটোতেই পুষ্টিগুণ আছে। প্রতিদিন নিয়ম মেনে ডায়েটে কমান্ডো রাখলে মেদ কমাতে প্রভূত সাহায্য করে তবে ওজন কমানোর ব্যাপারে আখরোটে তুলনায় আমান্ড কার্যকরী বেশি।
প্রতিদিন নিয়ম মেনে ডায়েটে আমন্ড রাখলে মেদ কমাতে প্রভূত সাহায্য করে। আমন্ড বিশেষ করে পেটের মেদ ঝরাতে অনেক কার্যকরী হয়ে থাকে।ওজন কমানোর জন্য অল্প কিছু আমন্ড খেলেই পেট লম্বা সময় ধরে ভরে থাকে। তাই বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমে ,আর আমন্ড শরীরের মেটাবলিজকে প্রবাহিত করে, যা আমাদের শরীরের ওজনকে কমাতে অনেক সাহায্য করে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url