টবে বারোমাসি সবজি চাষ পদ্ধতি ও উপকরণ
টবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষ না করার কারণে ভালো ফলন পাওয়া যায় না।টবে সঠিক পদ্ধতিতে চাষের মাধ্যমে অনেক ভালো ফলন পাওয়া যায়। টবে যেসব সবজি চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায় তা হলঃ
টমেটো, মরিচ, বেগুন, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, শসা, মটরশুটি , কলমি শাক,পুঁইশাক , কলমি, ধনেপাতা পুদিনা,থানকুনি ও কিছু ফল যেমন আম , আমড়া , কামরাঙ্গা , ডালিম , পেয়ারা , ইত্যাদি টবে আবাদ যোগ্য সবজি ও ফল।
সূচিপত্রঃ
টবে সবজি চাষ পদ্ধতিঃ
গাছের আকার ও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের টব ব্যবহার করতে হবে। টবের নিচে কয়েকটি ছিদ্র রাখতে হবে যেন অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন হয়ে বের হয়ে যেতে পারে। টবে গাছ লাগানোর আগে দুই ভাগ দো-আঁস মাটি ও এক ভাগ গোবর সারমাটি এবং এর সঙ্গে ১০০ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম এমওপি সার ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মাটির উর্বর ও পুষ্টির জন্য ১০ থেকে ১৫ দিন এটা ঢেকে রেখে দিতে হবে।
টবে লেবু ,পেয়ারা , ডালিম ,কামরাঙ্গা , আম , আঙ্গুর , জলপাই এসব ফল লাগিয়ে অধিক লাভবানও ফলন পাওয়া যায়। টবে এসব ফল গাছের সাথী ফসল হিসাবে থানকুনি ও পুদিনা চাষ করা যায়। টবের গাছের ফলন ভালোর জন্য মাটির পাত্র অথবা প্লাস্টিকের ড্রামে তিল বা সরিষার খৈল পরিমাণ মতো পানিতে ভিজিয়ে পচাতে হবে।
তারপর পচা খোলের সঙ্গে পানি মিশিয়ে তরল তৈরি করে টবে আকার অনুযায়ী পরিমাণ মতো ১২ থেকে ১৫ দিন পর পর নিয়মিত প্রয়োগ করতে হবে এর ফলে গাছের ফলন ও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে । টবের গাছে বেশি ফলন পাওয়ার জন্য কাঙ্খিত গাছের অতিরিক্ত ডালপালা ছাটাই করতে হবে। এই কাজ করতে হবে ফল সংগ্রহের পর।
টব ও বেডের গাছের শিকড় থেকে বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা বের হয় এর ফলে শিকর মাটি থেকে তুলনামূলক খাদ্য কম সংগ্রহ করতে পারে। এর জন্যে গাছের ফলন কমে যায় ক্রমশাই কমই পাওয়া যায়। এসব প্রতিরোধ করার জন্য গাছের শিকড় ও ডাল ছাটাই করতে হবে, প্রয়োজনে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে এবং নিয়মিত পানি দিতে হবে।
বীজ রোপন পদ্ধতি ও সেচঃ
তৈরি মাটি হালকা ঝুরঝুরে ও উর্বর করে সমতল ভাবে টবের উপর রাখতে হবে। এরপর বীজ হালকাভাবে টবের ভিতর রোপন করতে হবে। তারপর জৈব সার দিয়ে বীজগুলিকে ঢেকে দিতে হবে। এসবের উপর পানি হালকা করে দিতে হবে, যেন বীজ তার নিজ জায়গা থেকে সরে না যায়।
যেসব বীজ আকারে ছোট এগুলার ক্ষেত্রে উপর দিয়ে পানি দিলে বীজগুলো পানির ধাক্কায় স্থানে
অঙ্গরদকম ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এসব বীজের ক্ষেত্রে পানি উপর দিয়ে না দিয়ে নিচ দিয়ে সেচের ব্যবস্থা করা উত্তম।
পরিচর্যাঃ
ছাদে টবে লাগানো শাক-সবজির চারা বিভিন্ন প্রকার পোকামাকড় মাকড়সা পিঁপড়া ইত্যাদি নষ্ট করে দেয়। এর জন্য রাসায়নিক সার যেমন (হেপ্টাক্লোর ৪০) পরিমাণ মতো দিয়ে, এসব পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে ফসল বীজ রক্ষা করা যায়।
প্রায় সময় দেখা যায় মাটিতে বীজ বপণের পর পরই বিভিন্ন প্রকার আগাছা জন্মে যায়। এসব আগাছা গুলো নিড়ানি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে।এ কাজ করার সময় যেন বীজ অথবা চারার গোড়ায় কোন প্রকার আঘাত না লাগে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে এই দিকে।
টবে লাগানো শাক-সবজি গুলো এমন জায়গায় রাখতে হবে যেখানে আলো বাতাস পর্যাপ্ত পরিমাণ মতো পেয়ে থাকে। লক্ষ্য রাখতে হবে অতিরিক্ত রোদ যেন এসব ফসল ও বীজ নষ্ট করতে না পারে । অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টি ও রোদ এরজন্যে টপ নিরাপদ স্থানে সারানো যেতে পারে এর জন্য বীজের কোন সমস্যা হবে না।
সবজি সংগ্রহঃ
ঠিক সময় মত সবজির সংগ্রহ করা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং খুশির ব্যাপার। বেশি দিন ধরে গাছের সবজি না রেখে নরম থাকতে তুলে নেওয়া উত্তম ও খাওয়া ভালো। বেশি পাকাপোক্ত করে সবজি তুললে সবজিতে তেমন গুণাবলী থাকে না।
গাছের পরিপূর্ণ ও নরম সবজি তুলে নিলে গাছে আরও বেশি সবজি আসার সম্ভাবনা থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে গাছ থেকে সবজি ছিড়ে সংগ্রহ করার থেকে কাটিং করে সংগ্রহ করা উত্তম। এতে করে গাছের কোন ক্ষতি হবে না ও গাছ সুস্থ থাকবে।
বারোমাসি সবজির তালিকা ও কোন মাসে কোন সবজি চাষ করবেনঃ
বারোমাসি সবজির তালিকা-আমাদের দেশ ছয় ঋতুর হিসাবে পরিচিত। এদেশের মাটিতে বৈচিত্র্যের কারণে বিভিন্ন রকম ফল ও সবজি ফলে আমাদের দেশের কৃষির মৌসম তিনটি মৌসুমে বিভক্তঃ
খরিফ-১,খরিফ-২ ও রবি।
যদিও উৎপাদনের উপর ভিত্তি করে কৃষি মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু ভৌগোলিক অবস্থান, আবহাওয়া ও জলবায়ু এবং আমাদের প্রয়োজনের তাগিদে প্রতি মাসেই প্রতিটি দিনই কিছু না কিছু কৃষিকাজ করতে হয়।
এপ্রিল ও মে মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য এপ্রিল -মাধ্য মে (বৈশাখ) ঃ
- পাতাপেঁয়াজ , ডাটা , গিমাকলমী , লাল শাক , পাট শাক , মরিচ , আদা , হলুদ , বেগুন , ঢেঁড়স বীজ রোপন এর উত্তম সময়। এর সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারাও লাগানো যায়।
- মিষ্টি কুমড়া , করলা ,ধন্দুল , ঝিঙ্গা , শসা , চাল কুমড়া মাচা তৈরি ও বীজ উৎপাদন করতে হবে।
- কুমড়া জাতীয় সবজির রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা করতে হবে ও নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে।
- খরিফ-১ মৌসুমের সবজি যেমনঃ ডাটা , পুঁইশাক , লাল শাক , পাট শাক , বরবটি এসবের বীজ বপন ও চারা রোপন করতে হবে ।
- খরিফ-২ ফসল সবজির বেড ও চারা তৈরি করতে হবে। বাঙ্গি , তরমুজ , সজিনা সংগ্রহ করতে হবে।
- চাষের জন্য নির্দিষ্ট স্থান , ভালো মানের ফলে চারা ও কলম সংগ্রহ , পুরনো গাছে সার প্রয়োগ করতে হবে ও ফলন্ত গাছে নিয়মিত সেচ প্রদান করতে হবে।
মে ও জুন মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য মে মধ্য জুন (জৈষ্ঠ) ঃ
- খরিফ-১ এর বীজতলায় বপনকৃত খরিফ-২ সবজি চারা রোপন। সেচ দিতে হবে সার প্রয়োগের পাশাপাশি সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
- গ্রীষ্মকালীন টমেটো চারা এবং সজিনা চারা সংগ্রহ করতে হবে ও সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
- করলা , ঝিঙ্গা , চিচিংগা,ধুন্দল,পটল সংগ্রহ করতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধ দমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
- চারা রোপণের জন্য গর্ত প্রস্তুত করতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক গাছে পরিমাণ মতো সার প্রয়োগ করতে হবে , ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ করতে হবে এবং বাজারজাতকরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
জুন ও জুলাই মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য জুন মধ্য জুলাই((আষাঢ়) ঃ
- টমেটো , কাঁচা মরিচ , ও গ্রীষ্মকালীন বেগুনের পরিচর্যা, সিমের বীজ বপন , কুমড়া জাতীয় সবজির পোকামাকড় রোগ ধমনের ব্যবস্থা করতে হবে।
- আগে লাগানো টমেটো , ঢেঁড়স , বেগুন এসব বাগান থেকে ফল সংগ্রহ করে নিতে হবে।
- খরিফ-২ সবজির চারা রোপন সঠিক পরিচর্যা সঠিক নিয়মের সার প্রয়োগ ও সেচ দিতে হবে।
- ফল গাছের চারা বা কলম রোপন, খুটি দিয়ে চারা দিতে হবে , ফল গাছে সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে যেন ফলন ও গাছ বৃদ্ধি পায়।
জুন ও আগস্ট মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য জুন মধ্য আগস্ট(শ্রাবণ) ঃ
- রবি মৌসুমীর সবজি যেমনঃলাউ , টমেটো , ফুলকপি , বাঁধাকপি ও বেগুনের বীজতলা তৈরি করা এবং বীজ রোপণ শুরু করা যেতে পারে।
- খরিফ-২ এর সবজি উঠানো ও পোকামাকড় রোগ দমন ব্যবস্থা করতে হবে।
- লাল শাক ,পালং শাক ও সিমের বীজ বপণের ব্যবস্থা করতে হবে ।
- লাগানো ফলের চারা পরিচর্যা, উন্নত চারা বা কলম রোপন ,খুটি দেওয়া , খাচি দেওয়া , বেড়া দেওয়া ও ফলন্ত গাছের ফল সংগ্রহ করা
আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য আগস্ট মধ্য সেপ্টেম্বার (ভাদ্র) ঃ
- আগাম রবি সবজি যেমনঃফুলকপি , বাঁধাকপি , টমেটো , বেগুন , ওলকপি , কুমড়া , লাউয়ের জমিতে চারা রোপন ও পর্যাপ্ত পরিমান সার প্রয়োগ করতে হবে।
- রবি সবজির মধ্য ও নবী বীজতলা তৈরি বীজ বপন করতে হবে।
- আগে লাগানো ফলের চারা পরিচর্যাসহ ফলের উন্নত চারা বা কলম লাগানো , খুঁটি দেওয়া , বেড়া দেওয়া , চারা সংরক্ষণ ,এরপর গাছের অঙ্গ ছাটাই করতে হবে এবং নিয়ম অনুযায়ী গাছে সার প্রয়োগ করে সঠিক পরিচর্যায় যত্ন নিতে হবে।
সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য সেপ্টেম্বর ও মধ্য অক্টোবর(আশ্বিন) ঃ
- রবি সবজির চারা রোপন করতে হবে , চারা যত্ন সেচ ও নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে, রবি সবজির বীজ তোলা তৈরি করতে হবে, বীজ বপন , বাঁধাকপি , ফুলকপি , আগাম টমেটো , ওলকপি এসব গাছের আগাছা দমন করতে হবে।
- বরবটি্ , সিম , লাউ , এর মাচা তৈরি করতে হবে।
- পেঁয়াজ রসুনের বীজ বপন ও আলু লাগাতে হবে।
- বিভিন্ন ফল গাছের গোড়ায় গাছ বৃদ্ধির জন্য মাটি দিতে হবে, গাছের গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করতে হবে ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত সার প্রয়োগ করতে হবে।
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য অক্টোবর ও মধ্য নভেম্বর(কার্তিক) ঃ
- আলুর কেইল বাধা , রবি সবজির সঠিক পরিচর্যা ও বীজ সংগ্রহ করা।
- সবজি পরিচর্যা(মধ্যম রবি), সেচ প্রদান ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত সার প্রয়োগ করা।
- নাবী রবি সবজির চারা উৎপাদন, চারা লাগানোর ব্যবস্থা ও জমি তৈরি করতে হবে।
- ফুলকপি, ওলকপি ও বাঁধাকপির গোড়া বাধা ও আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
- মরিচ গাছের চারা রোপন ও বীজ বপন করতে হবে।
- বিভিন্ন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা ও পরিমাণ মতো সার প্রয়োগ করতে হবে।
নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য নভেম্বর ও মধ্য ডিসেম্বঃ(অগ্রহায়ণ) ঃ
- রসুন, পেঁয়াজ ও মরিচের চারা রোপন, মিষ্টি আলুর লতার ওপর ও পূর্বের রোপনকৃত আলুর পরিচর্যা, আলুর জমিতে সেচ প্রদান ও প্রয়োজন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে।
- অন্যান্য ফসল যেমনঃ ফুলকপি, ওলকপি , বেগুন, বাঁধাকপি, টমেটো, শালগমের চারার পরিচর্যা , আগাছা দমন করা , সেচ প্রদান করা , প্রয়োজন অনুযায়ী সার প্রয়োগ করতে হবে।
- ফল গাছের পরিচর্যা ও প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়মিত সার প্রয়োগ করা , এতে করে গাছ বৃদ্ধির পাবে।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে কি কি সবজি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য ডিসেম্বর ও মধ্য জানুয়ারি (পৌষ) ঃ
- মধ্যম ও আগাম রবি সবজির রোগ দমনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং সবজি সংগ্রহ করতে হবে।
- রবি সবজির পরিচর্যা , বিভিন্ন ফল গাছের রোগ দমনের ব্যবস্থা ও সঠিক নিয়মে অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।
- এ সময় মৌসুমী ফুল অনেক হয় এজন্য ফুলের চাষ ভালোর জন্য সঠিক পরিচর্যা ও স্যারের উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য জানুয়ারি ও মধ্য ফেব্রুয়ারি(মাঘ) ঃ
- পেঁয়াজ রসুন ও আলুর গোড়ায় মাটি তুলে দেওয়া , সার প্রয়োগ সেচ প্রদান করা , ফল ও টমেটোর ডাল ছাটা, মধ্যম ও রবি সবজির সেচ প্রদান ,সার প্রয়োগ ও গোড়া বাধা , মাচা দেওয়া।
- খরিফ-১ সবজির বীজ তোলা তৈরি ও বীজ রোপন করা ও মাদা তৈরি করতে হবে।
- বীজতলার যারা উৎপাদনে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন রোগমুক্ত চারা রোপন করা যায় এতে করে পরবর্তী সময়ে ফলন ও ফসল অনেক সুন্দর অনায়াসে পাওয়া যাবে।
- বিভিন্ন ফল গাছের রূপবান ব্যবস্থা ও অন্যান্য পরিচর্যা সঠিকভাবে করতে হবে।
ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য ফেব্রুয়ারি ও মধ্য মার্চ(ফাল্গুন) ঃ
- ঢেঁড়স ডাটা ও লাল শাকের বীজ বপন করতে হবে। খরিফ-১ এর বীজতলা তৈরি বীজ বপন ও মাদা তৈরি করতে হবে।
- খফির-১(আগাম) সবজি চারা উৎপাদনের জমি তৈরি , সার প্রয়োগ ও রোপন করতে হবে।
- মিষ্টি আলু, আলু সংগ্রহ করে নিতে হবে , রবি সবজির বীজ সংগ্রহ , ও অন্যান্য ফসলের সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।
- আলু সংরক্ষণে বেশি সচেতন ও যত্নবান হওয়া দরকার, এতে করে আলুর গাছের বয়স জমিতে ৯০ দিন হলে মাটি সমান করে গাছ কেটে গর্তে পুতে আবর্জনা ওর সার তৈরি করুন।
- বিভিন্ন ফল গাছের গোড়ায় মাটির রস কম থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী শেষ প্রদান করতে হবে রোগ দমনের ব্যবস্থা ও অন্যান্য সঠিক পরিচর্যা নিয়মিত করতে হবে।
মার্চ ও এপ্রিল মাসে কি কি চাষ করা যায়ঃ
মধ্য মার্চ ও মধ্য এপ্রিল(চৈত্র) ঃ
- টমেটো বেগুন মরিচ ও গ্রীষ্মকালীন বেগুনের চারা রোপন ও বীজ বপন করতে হবে।
- বীজ থেকে যেসব সবজি চারা হয়েছে সেগুলো জমিতে রোপন করতে হবে।
- সব ধরনের সবজি ক্ষেতের আগাছা দমন রোগ বালাই দমন ব্যবস্থা সেচ প্রদান ও সার প্রয়োগ করতে হবে ।
- রবি সবজি উঠানো , বীজ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে হবে।
- বিভিন্ন ধরনের ফল গাছের গোড়ায় মাটির রস না থাকলে প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ প্রদান করতে হবে রোগবালায় দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সঠিক পরিচর্যা করতে হবে এতে করে গাছের ফলন ভালো হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url