কি পরিমান খেদমত করলে স্বামীর হক আদায় হবে
স্ত্রীর উপর স্বামীর হক কি?
পোস্ট সূচীপত্র:
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি নিজের কন্যাকে নিয়ে হাজির হলেন এবং বললেন, এইটা আমার কন্যা । সে বিবাহ করতে অস্বীকার করছে।
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি তোমার পিতার কথা মেনে নাও। মেয়ে উত্তরে বলল, ওই সত্তার কসম ,যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছে ! আমি ওই সময় পর্যন্ত বিয়ে করব না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার জানা হবে যে স্ত্রীর ওপর স্বামীর হক কি?
স্বামীর হক সম্পর্কে:
স্বামীর হক হল,, যদি স্বামীর কোন স্থানে যখম হয় সে স্থান থেকে,পুঁজ বা রক্ত বের হয়, আর স্ত্রী তার চুষে নেয়, অথবা স্বামীর নাক থেকে পুজ রক্ত প্রবাহিত হয় আর স্ত্রী তা পান করে, তবুও স্বামীর হক আদায় হবে না। (এই কথা দ্বারা মূলত স্বামীর খেদমত এবং তার মহব্বতের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে পান করা উদ্দেশ্য নয় কারণ পূজো রক্ত নাপাক)
এই কথা শোনার পর মেয়েটি বলল,ওই সত্তার কসম যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! আমি বিবাহ করব না (কারণ আমার দ্বারা হক আদায় হবে না) এ কথা শুনার পর নবী করীম (সাঃ) বললেন মেয়েদের অনুমতি ব্যতীত তাদের বিয়ে দেবে না।
হাদিস থেকে যা বোঝা গেলঃ
কোন কারণবশত যদি নারী বিবাহে আগ্রহী না হয়, তাহলে তার উপর বল প্রয়োগ করা উচিত নয়। তবে বিবাহ হয়ে গেলে স্বামীর হক আদায় করতেই হবে। তা না হলে সে গুনাগার হবে।
যেসব নারীরা মনে করে, স্বামীর শারীরিক চাহিদা পূরণ হলে আর কি লাগে বা বাকি থাকে? তার খেদমত তো হয়ে গেল। এর বিনিময়ে স্বামী আমার গোলাম হয়ে গেছে।
আমি যা বলব স্বামী তার গাধার মতো শুনবে আর সব কাজ করে যাবে এমন ধারণা ইসলামের পরিপন্থী বিধানের বাইরে। শারীরিক চাহিদা পূরণ করা ছাড়াও স্ত্রীর উপর স্বামী আর অনেক হক রয়েছে সেগুলো ভালো করে জেনে তারপর আমল করে হক আদায় করতে হবে।
স্বামীকে অসন্তুষ্ট রাখলে তার অভিশাপের কারণঃ
যে নারী তার স্বামীকে অসন্তুষ্ট রেখে রাত যাপন করে, তার উপর নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লানত করেছেন।
তিন ব্যক্তির নামায তাদের কান থেকে দূরে যায় নাঃ তার মধ্যে একটি হলো ওই নারী যার প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট।
স্বামী যে কারণে স্ত্রীর ওপর অসন্তুষ্ট হোক না কেন, স্ত্রীর কর্তব্য হলো, সেই তার স্বামীকে যেকোনোভাবে যেভাবেই হোক সন্তুষ্ট করবে। উদাহরণতঃ সুন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে অথবা ভালো কোন কিছু খেদমতের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করবে, অসন্তুষ্ট অবস্থায় যেন না থাকে আর যদি সেটা না করে স্বামী যদি অসন্তুষ্ট থেকেই যায় এমন নারী লানতের উপযোগী।
যতক্ষণ না পর্যন্ত তার স্বামীকে সে সন্তুষ্ট করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার নামাজ আসমানের সীমা অতিক্রম করবে না। সুন্দর আচরণের মাধ্যমে বা অন্য কোন ভালো কাজের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করতেই হবে।
যে স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া দেয় নাঃ
কোন স্বামী যদি তার স্ত্রীকে নিজ বিছানায় ডাকে, আর স্ত্রী যদি না আস, স্বামী অসন্তুষ্ট হয়ে ঘুমিয়ে যাই এবং এভাবেই রাত যাপন করে, তাহলে সকল হওয়া পূর্ব পর্যন্ত ফেরেশতারা স্ত্রীর উপর অভিশাপ দিতে থাকে।
ঐ বিশ্ব বিধাতার কসম, যার হাতে আমার প্রাণ! স্বামী যখন স্ত্রীকে আপন বিছানায় ডাকে, আর স্ত্রী যদি আসতে অস্বীকার করে , তাহলে আল্লাহ তাআলা তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান, যতক্ষণ পর্যন্ত স্বামী তারপর স্ত্রীর উপর সন্তুষ্ট না হয়।
পুরুষ যখন তার স্ত্রীকে নিজের প্রয়োজনে ডাকে, তখন তার উচিত হল স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া , যদিও রুটি চুলার উপর থাকে। স্বামী যখনই স্ত্রীকে আহবান করবে তাৎক্ষণিক স্ত্রীকে সাড়া দিতে হবে । স্বামীর প্রয়োজনকে গুরুত্ব না দিয়ে ঘোরাফেরা করা গুনাহের কাজ।
স্ত্রী যখন স্বামীর বিছানা থেকে পৃথক হয়ে যায় বা আলাদা হয়ে যায় দিয়ে রাত্রি যাপন করে, ওই সময় ফেরেস্তারা তাকে অভিশপ্ত করতে থাকে, যতক্ষণ না ওই নারী তার স্বামীর বিছানায় চলে আসে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url